পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দেয়া নিয়ে ১০ মাসে অনেক প্রশ্ন সম্মুখীন হয়েছেন কোচ মাইক হেসন। তারপরও দলের এশিয়া কাপ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আসা কোচ মাইক হেসনের সামনে প্রশ্ন ‘বাবর-রিজওয়ানকে বাদ দেয়ার কারণ প্রকাশ্যে বলার সাহস আছে আপনার?’
এমন প্রশ্ন ও এতটা আগ্রাসী ধরন হয়তো আশা করেননি পাকিস্তান কোচ। কিছুটা চমকে গিয়ে তিনি আবার প্রশ্নটি শুনতে চাইলেন।
এবার প্রশ্নকর্তার গলার সুর ও বলার ভাষা একটু স্তিমিত হয়েই ফুটে উঠলো। হেসনের উত্তরটাও হলো পরিমিতি ও সুচিন্তিত। পাকিস্তান কোচ পরিশীলিত ভাষায় বলেন, কারও বিরুদ্ধে তার কোনো অ্যাজেন্ডা নেই, আছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে সত্যতা।
‘ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের মূল্যায়নে সৎ থাকা জরুরি। সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা না থাকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাপারগুলো বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা জরুরি। আমি তো কারও দুর্বলতা নিয়ে কোনো কথা বলিনি।’
‘আমি বরাবরই যেদিকে ইঙ্গিত দিয়েছি, সেটি হলো বর্তমান ক্রিকেটে যে ধরনের খেলার প্রয়োজন হয় এবং যে স্ট্রাইক রেট প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে ভালো কন্ডিশনে। সব ক্রিকেটারের চাওয়া থাকে, কোচ যেন তাদের প্রতি সৎ থাকেন। এই ভাবনা মাথায় রাখতে হয় কোচদের। কোনো একজন ক্রিকেটারকে পছন্দ করা বা কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার মানে এই নয় যে, সৎ থাকা যাবে না।’
বাবর ও রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেটে যে উন্নতি করতে হবে, সেটা নানা সময়েই বলেছেন হেসন। গত মাসে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পরও তিনি তা উল্লেখ করেছিলেন। বিভিন্ন ম্যাচে, বিশেষ করে সামনের বিগ ব্যাশে স্ট্রাইক রেট ও খেলার ধরনে উন্নতি দেখাতে পারলে যে জাতীয় দলের ফেরার দুয়ারও খুলতে পারে, তা বলে রেখেছেন কোচ।
বাবর-রিজওয়ানের না থাকা নিয়ে প্রশ্ন বেশি উঠছে পাকিস্তানের বর্তমান দলের ব্যাটারদের অধারাবাহিকতায়। সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, ফাখার জামান, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ হারিসের মতো প্রতিভাবান ব্যাটাররা কেউই খুব ধারাবাহিক হতে পারছেন না।
সেটি মানছেন হেসনও। তবে পাকিস্তান কোচ তুলে ধরছেন এই ব্যাটারদের প্রতিভা ও সম্ভাবনার দিকটি। শারজাহতে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে ব্যাটারদের পারফরমেন্সের কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
‘এই ব্যাটিং লাইনআপ মাত্র গড়ে উঠছে। দলে বেশ ক’জন আছে, যারা নিজেদের দিনে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। তবে এই মুহূর্তে সেই দিনগুলো খুব বেশি বয়ে আনতে পারছে না তারা। সেটা ঠিক আছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটি হলো ব্যাটিং গ্রুপে কে কী করতে পারে।’
‘শারজাহতে প্রতিটি ম্যাচে আমরা ‘পার’ স্কোরের চেয়ে সম্ভবত ২০ রান করে বেশি করেছি। যদিও বিভিন্ন সময়ে বেশ ক’জন ব্যাটার ভালো করতে পারেনি, তারপরও আমি বেশি আগ্রহী এটাতে যে, শেষ পর্যন্ত আমরা কত রান করেছি ও কীভাবে করেছি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ১৪০ রান করেছি, ওই উইকেটে আসলে ১২০ রানই অনেক রান।’
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দেয়া নিয়ে ১০ মাসে অনেক প্রশ্ন সম্মুখীন হয়েছেন কোচ মাইক হেসন। তারপরও দলের এশিয়া কাপ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আসা কোচ মাইক হেসনের সামনে প্রশ্ন ‘বাবর-রিজওয়ানকে বাদ দেয়ার কারণ প্রকাশ্যে বলার সাহস আছে আপনার?’
এমন প্রশ্ন ও এতটা আগ্রাসী ধরন হয়তো আশা করেননি পাকিস্তান কোচ। কিছুটা চমকে গিয়ে তিনি আবার প্রশ্নটি শুনতে চাইলেন।
এবার প্রশ্নকর্তার গলার সুর ও বলার ভাষা একটু স্তিমিত হয়েই ফুটে উঠলো। হেসনের উত্তরটাও হলো পরিমিতি ও সুচিন্তিত। পাকিস্তান কোচ পরিশীলিত ভাষায় বলেন, কারও বিরুদ্ধে তার কোনো অ্যাজেন্ডা নেই, আছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে সত্যতা।
‘ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের মূল্যায়নে সৎ থাকা জরুরি। সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা না থাকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাপারগুলো বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা জরুরি। আমি তো কারও দুর্বলতা নিয়ে কোনো কথা বলিনি।’
‘আমি বরাবরই যেদিকে ইঙ্গিত দিয়েছি, সেটি হলো বর্তমান ক্রিকেটে যে ধরনের খেলার প্রয়োজন হয় এবং যে স্ট্রাইক রেট প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে ভালো কন্ডিশনে। সব ক্রিকেটারের চাওয়া থাকে, কোচ যেন তাদের প্রতি সৎ থাকেন। এই ভাবনা মাথায় রাখতে হয় কোচদের। কোনো একজন ক্রিকেটারকে পছন্দ করা বা কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার মানে এই নয় যে, সৎ থাকা যাবে না।’
বাবর ও রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেটে যে উন্নতি করতে হবে, সেটা নানা সময়েই বলেছেন হেসন। গত মাসে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পরও তিনি তা উল্লেখ করেছিলেন। বিভিন্ন ম্যাচে, বিশেষ করে সামনের বিগ ব্যাশে স্ট্রাইক রেট ও খেলার ধরনে উন্নতি দেখাতে পারলে যে জাতীয় দলের ফেরার দুয়ারও খুলতে পারে, তা বলে রেখেছেন কোচ।
বাবর-রিজওয়ানের না থাকা নিয়ে প্রশ্ন বেশি উঠছে পাকিস্তানের বর্তমান দলের ব্যাটারদের অধারাবাহিকতায়। সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, ফাখার জামান, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ হারিসের মতো প্রতিভাবান ব্যাটাররা কেউই খুব ধারাবাহিক হতে পারছেন না।
সেটি মানছেন হেসনও। তবে পাকিস্তান কোচ তুলে ধরছেন এই ব্যাটারদের প্রতিভা ও সম্ভাবনার দিকটি। শারজাহতে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে ব্যাটারদের পারফরমেন্সের কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
‘এই ব্যাটিং লাইনআপ মাত্র গড়ে উঠছে। দলে বেশ ক’জন আছে, যারা নিজেদের দিনে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। তবে এই মুহূর্তে সেই দিনগুলো খুব বেশি বয়ে আনতে পারছে না তারা। সেটা ঠিক আছে। আমাদের জন্য ব্যাপারটি হলো ব্যাটিং গ্রুপে কে কী করতে পারে।’
‘শারজাহতে প্রতিটি ম্যাচে আমরা ‘পার’ স্কোরের চেয়ে সম্ভবত ২০ রান করে বেশি করেছি। যদিও বিভিন্ন সময়ে বেশ ক’জন ব্যাটার ভালো করতে পারেনি, তারপরও আমি বেশি আগ্রহী এটাতে যে, শেষ পর্যন্ত আমরা কত রান করেছি ও কীভাবে করেছি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ১৪০ রান করেছি, ওই উইকেটে আসলে ১২০ রানই অনেক রান।’