জাকের আলি
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে নিজেদের সুবিধাজনক জায়গায় দেখছিলেন বাংলাদেশ খেলোয়াড়রা, জয় নিয়ে সুপার ফোরে এক পা দেয়ার দিকে নজর ছিল তাদের। কিন্তু দ্বৈরথ পরিণত হলো একপেশে লড়াইয়ে। সামান্য লড়াইও জমাতে পারেনি । তবে এখনই আশা না হারিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে আসার কথা বলেছেন জাকের আলি।
গতকাল শনিবার রাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। লিটন দাসদের ১৩৯ রান তুলে নেয় ৩২ বল আগে। এমন বড় হারে সুপার ফোরের পথে এখন বড় প্রশ্ন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে কেবল জিতলেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকেও।
তবে জটিল সমীকরণে পড়েও আশা হারাতে রাজি নন জাকের। দলের চরম বিপর্যয়ে ৩৪ বলে ৪১ করা জাকের গণমাধ্যমে হাজির হয়ে জানান মানসিকতায় কোনো হেরফের হচ্ছে না তাদের, ‘আশা ছাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। একই মানসিকতা থাকবে। লঙ্কান ম্যাচেও আমাদের জেতার মানসিকতা ছিল, হয়নি। পরের ম্যাচেও জেতার মানসিকতা নিয়েই নামবো। আমরা তো টুর্নামেন্ট স্রেফ ম্যাচ খেলার জন্য আসিনি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এসেছি। এক ম্যাচ হারাতে আশা হারিয়ে ফেলা যাবে না।’
এই ম্যাচে শুরু থেকেই কেমন ছন্নছাড়া মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একপর্যায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। পরে জাকের আর শামীম পাটোয়ারি লড়াই করলেও পুঁজি হয়নি যথেষ্ট। তবে ম্যাচে নামার সময় মনসংযোগের কোনো ঘাটতি দেখেন না এই ব্যাটার, ‘আমরা ভালো না করলে অনেক কিছুই মনে হয়। কিন্তু যেটা বললাম যে পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি উইকেট হারালে বড় স্কোর করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করেছি আমি আর শামীম যতটুকু নেয়া যায়। যদি হাতে উইকেট থাকতো আরও ঝুঁঁকি নেয়া যেতো।’
৫ উইকেট পড়ার পর শামীমকে নিয়ে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জাকের। তবে তাতে খেলেন ৬১ বল। জানান, ‘যেহেতু গরম ছিল। বাতাস একটা ফ্যাক্ট। এই মাঠে দুই সাইডে মারা যায় না। তারা ভালো বল করেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করিনি।’
জাকের বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের দলে ওপেনার আর তিন নম্বর ব্যাটারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমরা সবাই জানি এবং এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে পাওয়ার প্লেতে প্রতিটি বলে চার-ছক্কার জন্য খেলতে হবে। ড্রপ অ্যান্ড রান, স্ট্রাইক রোটেট করা, এসব মাথায় রাখতে হবে। আশা করি, সতীর্থরা বিষয়টা ভেবে পরের ম্যাচে ভালো করবে।’
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে জাকের অবশ্য কৌশলে মন্তব্য করেছেন, ‘পাওয়ার প্লের ব্যর্থতা নিয়ে ওরাই ভালো বলতে পারবে। তবে আমার মনে হয়, যদি শুরুতে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা পরিকল্পনা মেনে মনোযোগী হতে পারতাম, তাহলে ফল ভালো আসতো। ব্যাটিং ইউনিট মানে সবাই, আমি বা শামীম ভালো খেলেছি মানে শুধু আমরাই ভালো করেছি তা নয়। সবাই মিলে খারাপ খেলেছি, আর সবাই মিলে হেরেছি।’
জাকের আলি
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে নিজেদের সুবিধাজনক জায়গায় দেখছিলেন বাংলাদেশ খেলোয়াড়রা, জয় নিয়ে সুপার ফোরে এক পা দেয়ার দিকে নজর ছিল তাদের। কিন্তু দ্বৈরথ পরিণত হলো একপেশে লড়াইয়ে। সামান্য লড়াইও জমাতে পারেনি । তবে এখনই আশা না হারিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে আসার কথা বলেছেন জাকের আলি।
গতকাল শনিবার রাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। লিটন দাসদের ১৩৯ রান তুলে নেয় ৩২ বল আগে। এমন বড় হারে সুপার ফোরের পথে এখন বড় প্রশ্ন। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে কেবল জিতলেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকেও।
তবে জটিল সমীকরণে পড়েও আশা হারাতে রাজি নন জাকের। দলের চরম বিপর্যয়ে ৩৪ বলে ৪১ করা জাকের গণমাধ্যমে হাজির হয়ে জানান মানসিকতায় কোনো হেরফের হচ্ছে না তাদের, ‘আশা ছাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। একই মানসিকতা থাকবে। লঙ্কান ম্যাচেও আমাদের জেতার মানসিকতা ছিল, হয়নি। পরের ম্যাচেও জেতার মানসিকতা নিয়েই নামবো। আমরা তো টুর্নামেন্ট স্রেফ ম্যাচ খেলার জন্য আসিনি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য এসেছি। এক ম্যাচ হারাতে আশা হারিয়ে ফেলা যাবে না।’
এই ম্যাচে শুরু থেকেই কেমন ছন্নছাড়া মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একপর্যায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। পরে জাকের আর শামীম পাটোয়ারি লড়াই করলেও পুঁজি হয়নি যথেষ্ট। তবে ম্যাচে নামার সময় মনসংযোগের কোনো ঘাটতি দেখেন না এই ব্যাটার, ‘আমরা ভালো না করলে অনেক কিছুই মনে হয়। কিন্তু যেটা বললাম যে পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি উইকেট হারালে বড় স্কোর করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করেছি আমি আর শামীম যতটুকু নেয়া যায়। যদি হাতে উইকেট থাকতো আরও ঝুঁঁকি নেয়া যেতো।’
৫ উইকেট পড়ার পর শামীমকে নিয়ে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জাকের। তবে তাতে খেলেন ৬১ বল। জানান, ‘যেহেতু গরম ছিল। বাতাস একটা ফ্যাক্ট। এই মাঠে দুই সাইডে মারা যায় না। তারা ভালো বল করেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করিনি।’
জাকের বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের দলে ওপেনার আর তিন নম্বর ব্যাটারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমরা সবাই জানি এবং এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে পাওয়ার প্লেতে প্রতিটি বলে চার-ছক্কার জন্য খেলতে হবে। ড্রপ অ্যান্ড রান, স্ট্রাইক রোটেট করা, এসব মাথায় রাখতে হবে। আশা করি, সতীর্থরা বিষয়টা ভেবে পরের ম্যাচে ভালো করবে।’
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে জাকের অবশ্য কৌশলে মন্তব্য করেছেন, ‘পাওয়ার প্লের ব্যর্থতা নিয়ে ওরাই ভালো বলতে পারবে। তবে আমার মনে হয়, যদি শুরুতে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা পরিকল্পনা মেনে মনোযোগী হতে পারতাম, তাহলে ফল ভালো আসতো। ব্যাটিং ইউনিট মানে সবাই, আমি বা শামীম ভালো খেলেছি মানে শুধু আমরাই ভালো করেছি তা নয়। সবাই মিলে খারাপ খেলেছি, আর সবাই মিলে হেরেছি।’