দুনিথ ওয়েলালাগে
এশিয়া কাপে মাঠে জয়ের উল্লাসের মাঝেই জীবনের সবচেয়ে বড় শোকের খবর পেলেন শ্রীলঙ্কার তরুণ অলরাউন্ডার দুনিথ ওয়েলালাগে। তার বাবা সুরঙ্গা ওয়েলালাগে, কলম্বোতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কান দলের গণমাধ্যম বিভাগ ও এসিসি মিডিয়া। অথচ তখনও মাঠে ব্যস্ত দুনিথ; আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছিলেন। ম্যাচ শেষে জানতে পারেন এই হৃদয়বিদারক সংবাদ। ম্যাচ শেষ হতে দুই দলের ক্রিকেটাররা যখন সৌজন্যতা বিনিময় করছিলেন, তখন শ্রীলঙ্কার মিডিয়া ম্যানেজার ছুটে যান ওয়েলালাগের কাছে, গিয়ে কানে কানে দেন খারাপ খবর। মুহূর্তেই ভেঙে পড়েন এই ক্রিকেটার।
ওয়েলালাগের বাবা নিজেও ছিলেন ক্রিকেটার। ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কান দলের সূত্র বলছে, ম্যাচটি চলাকালে হার্ট অ্যাটাক হয় সুরঙ্গার। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও জয় ছাপিয়ে কিছুটা বিহবল হয়ে পড়েন। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে সংবাদ সম্মেলনে আসে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচেও আলোচনায় ছিলেন দুনিথ, তবে ভুল কারণে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবির একটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন তিনি। এরপরই রূপ নেয় ভয়াবহ পরিণতিতে, নবি এর পরের ১৫ বলে খেলেন বিধ্বংসী ৫৫ রানের ইনিংস। বিশেষ করে দুনিথের করা শেষ ওভারটি যেন ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সেই ওভারে নবি মারেন টানা পাঁচটি ছক্কা। শেষ বলেও যদি ছক্কা হতো, তবে ইতিহাসে জায়গা করে নিত এক ওভারে ছয় ছক্কার দুঃসহ রেকর্ড।
তবুও ক্রিকেট মাঠের হতাশার চেয়ে অনেকগুণ গভীর আঘাত হেনেছে ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষত। মাত্র ২২ বছর বয়সী দুনিথ ওয়েলালাগে ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে সম্ভাবনাময় প্রতিভা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের এই শুরুর সময়েই বাবার মৃত্যু তার জীবনকে ঢেকে দিলো বেদনার ছায়ায়।
ওয়েলালাগের তাৎক্ষণিকভাবে আবুধাবি থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন। ওই যাত্রায় তার সঙ্গী হন লঙ্কান টিম ম্যানেজার মাহিন্দা হালাঙ্গোদা। লঙ্কান এই স্পিনার এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে গেছেন শেষবারের মতো নিজের বাবাকে দেখতে।
দুনিথ ওয়েলালাগে
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এশিয়া কাপে মাঠে জয়ের উল্লাসের মাঝেই জীবনের সবচেয়ে বড় শোকের খবর পেলেন শ্রীলঙ্কার তরুণ অলরাউন্ডার দুনিথ ওয়েলালাগে। তার বাবা সুরঙ্গা ওয়েলালাগে, কলম্বোতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কান দলের গণমাধ্যম বিভাগ ও এসিসি মিডিয়া। অথচ তখনও মাঠে ব্যস্ত দুনিথ; আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছিলেন। ম্যাচ শেষে জানতে পারেন এই হৃদয়বিদারক সংবাদ। ম্যাচ শেষ হতে দুই দলের ক্রিকেটাররা যখন সৌজন্যতা বিনিময় করছিলেন, তখন শ্রীলঙ্কার মিডিয়া ম্যানেজার ছুটে যান ওয়েলালাগের কাছে, গিয়ে কানে কানে দেন খারাপ খবর। মুহূর্তেই ভেঙে পড়েন এই ক্রিকেটার।
ওয়েলালাগের বাবা নিজেও ছিলেন ক্রিকেটার। ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কান দলের সূত্র বলছে, ম্যাচটি চলাকালে হার্ট অ্যাটাক হয় সুরঙ্গার। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও জয় ছাপিয়ে কিছুটা বিহবল হয়ে পড়েন। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে সংবাদ সম্মেলনে আসে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচেও আলোচনায় ছিলেন দুনিথ, তবে ভুল কারণে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবির একটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন তিনি। এরপরই রূপ নেয় ভয়াবহ পরিণতিতে, নবি এর পরের ১৫ বলে খেলেন বিধ্বংসী ৫৫ রানের ইনিংস। বিশেষ করে দুনিথের করা শেষ ওভারটি যেন ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। সেই ওভারে নবি মারেন টানা পাঁচটি ছক্কা। শেষ বলেও যদি ছক্কা হতো, তবে ইতিহাসে জায়গা করে নিত এক ওভারে ছয় ছক্কার দুঃসহ রেকর্ড।
তবুও ক্রিকেট মাঠের হতাশার চেয়ে অনেকগুণ গভীর আঘাত হেনেছে ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষত। মাত্র ২২ বছর বয়সী দুনিথ ওয়েলালাগে ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে সম্ভাবনাময় প্রতিভা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের এই শুরুর সময়েই বাবার মৃত্যু তার জীবনকে ঢেকে দিলো বেদনার ছায়ায়।
ওয়েলালাগের তাৎক্ষণিকভাবে আবুধাবি থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন। ওই যাত্রায় তার সঙ্গী হন লঙ্কান টিম ম্যানেজার মাহিন্দা হালাঙ্গোদা। লঙ্কান এই স্পিনার এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে গেছেন শেষবারের মতো নিজের বাবাকে দেখতে।