দুই অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ও চারিথ আশালঙ্কা
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ সুপার ফোর শুরুর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শনিবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।
দুবাই স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত সাড়ে আটটায়।
গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হারের পরও সুপার ফোর নিশ্চিত ছিল না বাংলাদেশের। তাকিয়ে থাকতে হয়েছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচের দিকে। সমীকরণ ছিল- ম্যাচে আফগানরা হারলেই সুপার ফোর নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা, এতে সুপার ফোর নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা আফগানিস্তানের বিদায়ে এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের ফাইনালে ওঠা এবং প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের।
ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পর্বে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে খেলতে নামবে টাইগাররা।
গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট সুপার ফোরে বিবেচ্য হবে।
গত দুই মাসে চারবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণেই সম্প্রতি লঙ্কানদের সর্ম্পকে ভালো ধারণা আছে টাইগারদের।
মাত্র দুই মাস আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু চলমান এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে এই শ্রীলঙ্কার কাছেই ৬ উইকেটে হেরেছিল লিটন দাসের দল।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে করে ১৩৯/৫ রান। সেই ম্যাচে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জাকের আলী ও শামিম হোসেন ১০.১ ওভারে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত দু’জনেই অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৪১ ও ৪২ রানে করে। খেলেন সমান ৩৪ বল। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৩২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ৪ উইকেট হারিয়ে।
কিন্তু ঐ হারের পরও আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি বাংলাদেশের। দলের ব্যাটার জাকের আলী অনিক বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর দল চাপে পড়লেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলে দুর্দান্ত জয়ে সুপার ফোরের দৌড়ে টিকে থাকে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে লঙ্কানদের জয় ১৫টিতে এবং হার তিনটিতে। তবে এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টিতে সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনবারের মোকাবিলায় দু’বার জয় ও একবার হেরেছে লঙ্কানরা।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে প্রথমবার অনুষ্ঠিত ২০১৬ এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে এশিয়ার কাপ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে দুই উইকেটে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিল লঙ্কানরা। আসরে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লঙ্কানরা।
শনিবারের ম্যাচে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তীব্র গরম আবহাওয়ায় দু’টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। পাশাপাশি টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে আবুধাবি থেকে দুবাই যেতে হবে লঙ্কানদের।
পক্ষান্তরে, গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর চার দিন বিশ্রাম পায় বাংলাদেশ। এছাড়াও আরও একটি বিষয় হলো- সুপার ফোরে দুবাইয়ের উইকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচই আবুধাবির ধীর গতির উইকেটে খেলেছে লিটন-জাকেররা। এখন দেখার বিষয়, দুবাইয়ের স্পোর্টিং উইকেটে কীভাবে নিজেদের মানিয়ে নেয় টাইগাররা।
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হাসান ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
দুই অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ও চারিথ আশালঙ্কা
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ সুপার ফোর শুরুর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শনিবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।
দুবাই স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত সাড়ে আটটায়।
গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হারের পরও সুপার ফোর নিশ্চিত ছিল না বাংলাদেশের। তাকিয়ে থাকতে হয়েছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচের দিকে। সমীকরণ ছিল- ম্যাচে আফগানরা হারলেই সুপার ফোর নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা, এতে সুপার ফোর নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা আফগানিস্তানের বিদায়ে এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের ফাইনালে ওঠা এবং প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের।
ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পর্বে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে খেলতে নামবে টাইগাররা।
গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট সুপার ফোরে বিবেচ্য হবে।
গত দুই মাসে চারবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণেই সম্প্রতি লঙ্কানদের সর্ম্পকে ভালো ধারণা আছে টাইগারদের।
মাত্র দুই মাস আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। কিন্তু চলমান এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে এই শ্রীলঙ্কার কাছেই ৬ উইকেটে হেরেছিল লিটন দাসের দল।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে করে ১৩৯/৫ রান। সেই ম্যাচে ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জাকের আলী ও শামিম হোসেন ১০.১ ওভারে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত দু’জনেই অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৪১ ও ৪২ রানে করে। খেলেন সমান ৩৪ বল। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৩২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ৪ উইকেট হারিয়ে।
কিন্তু ঐ হারের পরও আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি বাংলাদেশের। দলের ব্যাটার জাকের আলী অনিক বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর দল চাপে পড়লেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলে দুর্দান্ত জয়ে সুপার ফোরের দৌড়ে টিকে থাকে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে লঙ্কানদের জয় ১৫টিতে এবং হার তিনটিতে। তবে এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টিতে সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনবারের মোকাবিলায় দু’বার জয় ও একবার হেরেছে লঙ্কানরা।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে প্রথমবার অনুষ্ঠিত ২০১৬ এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে এশিয়ার কাপ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে দুই উইকেটে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিল লঙ্কানরা। আসরে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লঙ্কানরা।
শনিবারের ম্যাচে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তীব্র গরম আবহাওয়ায় দু’টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। পাশাপাশি টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে আবুধাবি থেকে দুবাই যেতে হবে লঙ্কানদের।
পক্ষান্তরে, গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর চার দিন বিশ্রাম পায় বাংলাদেশ। এছাড়াও আরও একটি বিষয় হলো- সুপার ফোরে দুবাইয়ের উইকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচই আবুধাবির ধীর গতির উইকেটে খেলেছে লিটন-জাকেররা। এখন দেখার বিষয়, দুবাইয়ের স্পোর্টিং উইকেটে কীভাবে নিজেদের মানিয়ে নেয় টাইগাররা।
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হাসান ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।