সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন তামিম ইকবাল
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি হস্তক্ষেপ ও প্রক্রিয়াগত অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কেবল একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তামিম জানান, কিছুদিন আগে তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে শুধু একটি কথাই বলেছিলেন, ‘আমি আপনার থেকে কিছু চাই না, আমি একটা জিনিসই চাই, যেটা হলো একটা ফেয়ার ইলেকশন হোক।’ কিন্তু এরপর জেলা, বিভাগ ও ক্লাবপর্যায়ে সরকারি বিভিন্ন মহল থেকে প্রচ- পরিমাণে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
?তিনি অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে কাউন্সিলর মনোনীত করার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার কথায়, ‘অ্যাডহক কমিটি থেকেই কাউন্সিলর দিতে হবে, এই কথাটা কিন্তু আমাদের সংবিধানের কোনো জায়গায় উল্লেখ করা নাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, নিজেদের পছন্দের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অ্যাডহক কমিটি থেকে যখন-তখন সদস্য সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা নির্বাচনকে একটি ‘সিলেকশনে’ পরিণত করেছে।
এ সময় তামিম ইকবাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিবের দপ্তর থেকে সরাসরি চিঠি দিয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন, যা তার মতে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। তিনি বলেন, ‘বিসিবি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নয়, এর মালিক দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এখানে কেন পক্ষপাতিত্ব বা সরকারি হস্তক্ষেপ থাকবে?’
?বিসিবি সভাপতির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সভাপতির কোনো চিঠিতে সই করার এখতিয়ার না থাকলেও তিনি কাউন্সিলরসংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন। একই সঙ্গে, অন্য একজন কর্মকর্তা নির্বাচন সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করলেও কাউন্সিলর বাতিলের চিঠিতে সই করেছেন, যা পরস্পরবিরোধী।’
?সর্বশেষে তামিম ইকবাল বলেন, ‘এই নোংরামিটা আমাদের করার দরকার নেই। ক্রিকেট সবার জন্য।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ১৭ সেপ্টেম্বরের ডেডলাইন অনুযায়ী ঘোষিত কাউন্সিলর তালিকা বহাল রাখা হবে এবং একটি হস্তক্ষেপবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যিনিই জয়ী হোন, তাকেই সবাই স্বাগত জানাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন তামিম ইকবাল
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি হস্তক্ষেপ ও প্রক্রিয়াগত অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কেবল একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তামিম জানান, কিছুদিন আগে তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে শুধু একটি কথাই বলেছিলেন, ‘আমি আপনার থেকে কিছু চাই না, আমি একটা জিনিসই চাই, যেটা হলো একটা ফেয়ার ইলেকশন হোক।’ কিন্তু এরপর জেলা, বিভাগ ও ক্লাবপর্যায়ে সরকারি বিভিন্ন মহল থেকে প্রচ- পরিমাণে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
?তিনি অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে কাউন্সিলর মনোনীত করার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার কথায়, ‘অ্যাডহক কমিটি থেকেই কাউন্সিলর দিতে হবে, এই কথাটা কিন্তু আমাদের সংবিধানের কোনো জায়গায় উল্লেখ করা নাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, নিজেদের পছন্দের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অ্যাডহক কমিটি থেকে যখন-তখন সদস্য সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা নির্বাচনকে একটি ‘সিলেকশনে’ পরিণত করেছে।
এ সময় তামিম ইকবাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিবের দপ্তর থেকে সরাসরি চিঠি দিয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন, যা তার মতে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। তিনি বলেন, ‘বিসিবি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নয়, এর মালিক দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এখানে কেন পক্ষপাতিত্ব বা সরকারি হস্তক্ষেপ থাকবে?’
?বিসিবি সভাপতির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সভাপতির কোনো চিঠিতে সই করার এখতিয়ার না থাকলেও তিনি কাউন্সিলরসংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন। একই সঙ্গে, অন্য একজন কর্মকর্তা নির্বাচন সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করলেও কাউন্সিলর বাতিলের চিঠিতে সই করেছেন, যা পরস্পরবিরোধী।’
?সর্বশেষে তামিম ইকবাল বলেন, ‘এই নোংরামিটা আমাদের করার দরকার নেই। ক্রিকেট সবার জন্য।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ১৭ সেপ্টেম্বরের ডেডলাইন অনুযায়ী ঘোষিত কাউন্সিলর তালিকা বহাল রাখা হবে এবং একটি হস্তক্ষেপবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যিনিই জয়ী হোন, তাকেই সবাই স্বাগত জানাবে।