সাইফ হাসান
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি এখন বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ঐ ম্যাচটি টাইগারদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। ভারতের বিপক্ষে জয় পেলে বাংলাদেশের ফাইনালের পথে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পরদিনই পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হবে টাইগারদের।
দুবাইতে তীব্র গরমের কারণে টানা দুই দিনে দুই ম্যাচ খেলা সব সময় কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। তারপরও শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
আপাতত ভারত ম্যাচ ঘিরেই সব ভাবনা বাংলাদেশের। ভারতকে হারানোর পরিকল্পনা কষছে তারা। যদিও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান খুবই খারাপ। তারপরও টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতার কারণে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা।
অতীতে পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা থাকায় ভারতকে হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সব সময়ই উজ্জীবিত থাকে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের গুরুত্বপূর্ণ জয়ে ৪৫ বলে ৬১ রান করে অবদান রাখা সাইফ হাসান বলেন, ‘আমরা ফাইনালে পৌঁছানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ড্রেসিংরুমে সবার বিশ্বাস আছে, আমরা ফাইনালে উঠবো। তাই শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর আমরা এখন এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি আছে।’
এ পর্যন্ত তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে দু’বার এবং একবার পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হার মানে টাইগাররা।
সুপার ফোরের উদ্বোধনী ম্যাচ এক বল আগে বাংলাদেশ জিতেছে ৪ উইকেট। ফাইনালের পথে লড়াই বাকি আরও দুটি, তার মধ্যে একটা জিতলেই সম্ভাবনা হয়ে যাবে উজ্জ্বল। ৪ ছক্কা, দুই চারে ৪৫ বলে ৬১ করা সাইফের কণ্ঠে মিললো সেই সুর, ‘এখানে আসার আগে সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে আমরা ফাইনাল খেলবো। কাজেই ওয়ান স্টেপ এহেড এখনও দুটো ম্যাচ বাকি। পরের ফোকাস পরের ম্যাচের জন্যই।’
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ২৪ সেপ্টেম্বর, টুর্নামেন্টের ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে। পরদিনই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। পরপর দুইদিনে নির্ধারিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের গতিপথ।
এশিয়া কাপে এর আগে তিনবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছে একবার। শিরোপার কাছে গিয়েও আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে। ফাইনাল তো বটেই, স্বপ্নের সীমানা শিরোপার দিকেই রাখছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সাইফ বলেন স্বপ্ন দেখলে দেখতে হবে বড়, ‘স্বপ্ন দেখলে বড় স্বপ্নই দেখা উচিত। আমাদের ধাপে ধাপে আগানো উচিত। আমাদের পরের ফোকাস কেবল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিকেই। এরপর দেখা যাক কী হয়।’
ওপেনিংয়ে নেমে ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়া সাইফ গতকাল শনিবার ম্যাচ শেষে আরও জানান, ‘এখানে আসার আগেই সবার বিশ্বাস ছিল আমরা ফাইনাল খেলবো। এখন আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেছি। সামনে এখনও দুটি ম্যাচ আছে। আপাতত আমাদের মনোযোগ শুধু পরের ম্যাচে।’
লঙ্কান ম্যাচ নিয়ে তিনি জানান, লিটন দাসকে পাশে পেয়েই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি, ‘তামিম (তানজিদ) আউট হওয়ার পরই পরিকল্পনা ছিল কাউন্টার অ্যাটাক করার। খুব নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছিল না, তবে লিটন ভাই আমাকে দারুণভাবে গাইড করেন। আলহামদুলিল্লাহ, সেটা কাজ করেছে।’
পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত রান তোলার বিষয়ে সাইফ বলেন, ‘এ সময় ফিল্ডিংয়ের সীমাবদ্ধতা থাকে, তাই সুযোগটা কাজে লাগাতে হয়। প্রতিটি ম্যাচের আগে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে প্রতিটি বোলারকে নিয়ে। আমরা কেবল সেটি মাঠে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে বড় ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। সাইফের চোখে মোস্তাফিজ ‘ম্যাচ উইনার’, ‘মোস্তাফিজ ভাই সব সময় ভালো বোলিং করেন। আজও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন। তিনি বিশ্বমানের বোলার, তাই সংকট মুহূর্তে দায়িত্বটা ভালোভাবে সামলান।’
বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে
আটকে যাই: শানাকা
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা মনে করেন, তাদের ইনিংসে ১৫-২০ রান কম হয়েছে। ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও দলের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি, ‘প্রথমে ১৬০ রানকেই লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাট করতে গিয়ে বোঝা গেল ১৮০ করা যেত। তবে শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের বোলিং ছিল দুর্দান্ত, তাই ১৬৮ রানেই আটকে যাই। আসলে দুটো বাউন্ডারির ঘাটতি ছিল।’
এছাড়া বল হাতে ছন্দে ফিরতে না পারাকেও দায়ী করেন শানাকা, ‘আমাদের পেসাররা সাধারণত হিট দ্য ডেক বল করে, কিন্তু আজ (শনিবার) সেটা হয়নি। নতুন বলে দ্রুত উইকেট না পেলে স্পিনাররা চাপ তৈরি করতে পারে না। তারপরও আমরা ভালো ম্যাচ খেলেছি। সামনে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ আছে। যদি জিততে পারি, ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে।’
সাইফ হাসান
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি এখন বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ঐ ম্যাচটি টাইগারদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। ভারতের বিপক্ষে জয় পেলে বাংলাদেশের ফাইনালের পথে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পরদিনই পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হবে টাইগারদের।
দুবাইতে তীব্র গরমের কারণে টানা দুই দিনে দুই ম্যাচ খেলা সব সময় কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। তারপরও শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
আপাতত ভারত ম্যাচ ঘিরেই সব ভাবনা বাংলাদেশের। ভারতকে হারানোর পরিকল্পনা কষছে তারা। যদিও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান খুবই খারাপ। তারপরও টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতার কারণে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা।
অতীতে পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা থাকায় ভারতকে হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সব সময়ই উজ্জীবিত থাকে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের গুরুত্বপূর্ণ জয়ে ৪৫ বলে ৬১ রান করে অবদান রাখা সাইফ হাসান বলেন, ‘আমরা ফাইনালে পৌঁছানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ড্রেসিংরুমে সবার বিশ্বাস আছে, আমরা ফাইনালে উঠবো। তাই শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর আমরা এখন এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি আছে।’
এ পর্যন্ত তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলে সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে দু’বার এবং একবার পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হার মানে টাইগাররা।
সুপার ফোরের উদ্বোধনী ম্যাচ এক বল আগে বাংলাদেশ জিতেছে ৪ উইকেট। ফাইনালের পথে লড়াই বাকি আরও দুটি, তার মধ্যে একটা জিতলেই সম্ভাবনা হয়ে যাবে উজ্জ্বল। ৪ ছক্কা, দুই চারে ৪৫ বলে ৬১ করা সাইফের কণ্ঠে মিললো সেই সুর, ‘এখানে আসার আগে সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে আমরা ফাইনাল খেলবো। কাজেই ওয়ান স্টেপ এহেড এখনও দুটো ম্যাচ বাকি। পরের ফোকাস পরের ম্যাচের জন্যই।’
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ২৪ সেপ্টেম্বর, টুর্নামেন্টের ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে। পরদিনই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। পরপর দুইদিনে নির্ধারিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের গতিপথ।
এশিয়া কাপে এর আগে তিনবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছে একবার। শিরোপার কাছে গিয়েও আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে। ফাইনাল তো বটেই, স্বপ্নের সীমানা শিরোপার দিকেই রাখছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সাইফ বলেন স্বপ্ন দেখলে দেখতে হবে বড়, ‘স্বপ্ন দেখলে বড় স্বপ্নই দেখা উচিত। আমাদের ধাপে ধাপে আগানো উচিত। আমাদের পরের ফোকাস কেবল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিকেই। এরপর দেখা যাক কী হয়।’
ওপেনিংয়ে নেমে ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়া সাইফ গতকাল শনিবার ম্যাচ শেষে আরও জানান, ‘এখানে আসার আগেই সবার বিশ্বাস ছিল আমরা ফাইনাল খেলবো। এখন আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেছি। সামনে এখনও দুটি ম্যাচ আছে। আপাতত আমাদের মনোযোগ শুধু পরের ম্যাচে।’
লঙ্কান ম্যাচ নিয়ে তিনি জানান, লিটন দাসকে পাশে পেয়েই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি, ‘তামিম (তানজিদ) আউট হওয়ার পরই পরিকল্পনা ছিল কাউন্টার অ্যাটাক করার। খুব নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ছিল না, তবে লিটন ভাই আমাকে দারুণভাবে গাইড করেন। আলহামদুলিল্লাহ, সেটা কাজ করেছে।’
পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত রান তোলার বিষয়ে সাইফ বলেন, ‘এ সময় ফিল্ডিংয়ের সীমাবদ্ধতা থাকে, তাই সুযোগটা কাজে লাগাতে হয়। প্রতিটি ম্যাচের আগে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে প্রতিটি বোলারকে নিয়ে। আমরা কেবল সেটি মাঠে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে বড় ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। সাইফের চোখে মোস্তাফিজ ‘ম্যাচ উইনার’, ‘মোস্তাফিজ ভাই সব সময় ভালো বোলিং করেন। আজও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন। তিনি বিশ্বমানের বোলার, তাই সংকট মুহূর্তে দায়িত্বটা ভালোভাবে সামলান।’
বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে
আটকে যাই: শানাকা
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা মনে করেন, তাদের ইনিংসে ১৫-২০ রান কম হয়েছে। ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও দলের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি, ‘প্রথমে ১৬০ রানকেই লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাট করতে গিয়ে বোঝা গেল ১৮০ করা যেত। তবে শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের বোলিং ছিল দুর্দান্ত, তাই ১৬৮ রানেই আটকে যাই। আসলে দুটো বাউন্ডারির ঘাটতি ছিল।’
এছাড়া বল হাতে ছন্দে ফিরতে না পারাকেও দায়ী করেন শানাকা, ‘আমাদের পেসাররা সাধারণত হিট দ্য ডেক বল করে, কিন্তু আজ (শনিবার) সেটা হয়নি। নতুন বলে দ্রুত উইকেট না পেলে স্পিনাররা চাপ তৈরি করতে পারে না। তারপরও আমরা ভালো ম্যাচ খেলেছি। সামনে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ আছে। যদি জিততে পারি, ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে।’