এক সপ্তাহ আগে শ্রীলঙ্কার কাছে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হেরে সুপার ফোরের আগেই বিদায়ের শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। দোলাচল পেরিয়ে দিন সাতেক পর দলের গোটা চেহারা এখন ভিন্ন। এখন এশিয়া কাপের ফাইনাল মঞ্চে একটা দলের নাম বাংলাদেশ হতেই পারে। দুবাইয়ে দলের এক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমাদের এখন হারানোর কিছু নেই। কেবল পাওয়ার আছে।’ দলের ভেতর নাকি এই বিশ্বাসই টনিকের মতন কাজ করছে।
এই আবহ তৈরি হয় শ্রীলঙ্কা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর পর। খাদের কিনার থেকে টাইগারদের সুপার ফোর নিশ্চিত হওয়ায় পুরো দলের শরীরী ভাষা বদলে দিয়েছে।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর গতকাল রোববার সারাদিনে টিম হোটেলেই বিশ্রামে ছিলেন ক্রিকেটাররা। আমিরাতের গরমে খেলার ধকল সইতে রিকোভারির ব্যাপারটাকে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আপাতত টানা দুদিন পুরোপুরি বিশ্রামের সুযোগ। আজ তাদের পুরো দমে প্রস্তুতি নিতে হবে আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর ম্যাচের জন্য। যেখানে প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান।
বাংলাদেশ দলকে ইতিবাচক ভাইব দিচ্ছে ঠিক সময়ে দলের মূল খেলোয়াড়দের জ্বলে ওঠা। এশিয়া কাপের বেশ আগে থেকেই ধুঁকছিলেন তাওহিদ হৃদয়। কখনো রান করলেও এমন গতিতে সংগ্রাম করে এগুচ্ছিলেন যা দলের জন্য ছিল আরও বোঝার মতন। তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রবলভাবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট হৃদয়ের ওপর ভরসা রেখে গেছে। গ্রুপের তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেও তাকে সুপার ফোরে খেলিয়েছে। রানে নেই, ফিল্ডিংয়ে নেমে দুই ক্যাচ হাতছাড়া করে নিজের ওপর চাপটা প্রবল বাড়িয়ে ফেলেছিলেন হৃদয়। তার সামনে ছিল সম্ভবত এই আসরে শেষ সুযোগ। একদম কোণঠাসা অবস্থায়, দলের ভীষণ চাহিদায় জ্বলে ওঠেন তিনি। ৩৭ বল ৫৮ রানের ইনিংসটাতে হৃদয় যতটা খুশি, টিম ম্যানেজমেন্টের স্বস্তি হয়ত তারচেয়ে বেশি। না হলে মিডল অর্ডারের ঘাটতি নিয়ে ঘুম হারাম অবস্থা হতো তাদের। হৃদয় যেমন ফিরে আসার গল্প লিখেছেন, মোস্তাফিজ দেখাচ্ছেন এই দলে তিনিই সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি তারকা। এক ম্যাচ বাদ দিলে গোটা আসরে নীরবে নিজের কাজ করে গেছেন কাটার মাস্টার। সুপার ফোরে যে মানের বল করেছেন তাতে যেকোনো দলের জন্যই তাকে সামলানো হতো কঠিন।
আমিরাতের উইকেট বছরের এই সময়টায় ঠিক ফ্ল্যাট নয়, খেলাও হচ্ছে ব্যবহৃত সব উইকেটে। এ রকম উইকেট বানিয়েই বাংলাদেশ দলের জন্য আদর্শ ম্যাচ-আপ। এমন উইকেটে মোস্তাফিজ যেমন বিপজ্জনক, স্পিনাররাও নিজেদের মেলে ধরতে পারেন ভালো। আর মাঝারি রানের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশের ব্যাটাররাও নাগাল বুঝে এগুতে পারেন বিশ্বাস নিয়ে।
গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছন্দে থাকা, টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জীবন পেয়ে হারানোর ভয় তাড়িয়ে দেয়া, কন্ডিশনের ম্যাচ-আপ বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ঘরের মাঠে গত আগস্টেই পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়েছিলেন তারা। শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা ভারতকে হারানো কঠিন হলেও পাকিস্তান তো নাগালের মাঝেই। দুই ম্যাচের আর একটা জিতলেই তো খুলে যেতে পারে ২৮ তারিখে ফাইনালের দ্বার। আর দুই ম্যাচ জিততে পারলে তো কথাই নেই।
২০১৮ সালে ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপে দুবাইতে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ, এবারও ফাইনালের তারিখটা ২৮। সেবারও সুপার ফোরে শেষ ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, এবারও তাই। বাকি সব মিলে গেলেই হলো।
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এক সপ্তাহ আগে শ্রীলঙ্কার কাছে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হেরে সুপার ফোরের আগেই বিদায়ের শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। দোলাচল পেরিয়ে দিন সাতেক পর দলের গোটা চেহারা এখন ভিন্ন। এখন এশিয়া কাপের ফাইনাল মঞ্চে একটা দলের নাম বাংলাদেশ হতেই পারে। দুবাইয়ে দলের এক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমাদের এখন হারানোর কিছু নেই। কেবল পাওয়ার আছে।’ দলের ভেতর নাকি এই বিশ্বাসই টনিকের মতন কাজ করছে।
এই আবহ তৈরি হয় শ্রীলঙ্কা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর পর। খাদের কিনার থেকে টাইগারদের সুপার ফোর নিশ্চিত হওয়ায় পুরো দলের শরীরী ভাষা বদলে দিয়েছে।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর গতকাল রোববার সারাদিনে টিম হোটেলেই বিশ্রামে ছিলেন ক্রিকেটাররা। আমিরাতের গরমে খেলার ধকল সইতে রিকোভারির ব্যাপারটাকে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আপাতত টানা দুদিন পুরোপুরি বিশ্রামের সুযোগ। আজ তাদের পুরো দমে প্রস্তুতি নিতে হবে আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর ম্যাচের জন্য। যেখানে প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান।
বাংলাদেশ দলকে ইতিবাচক ভাইব দিচ্ছে ঠিক সময়ে দলের মূল খেলোয়াড়দের জ্বলে ওঠা। এশিয়া কাপের বেশ আগে থেকেই ধুঁকছিলেন তাওহিদ হৃদয়। কখনো রান করলেও এমন গতিতে সংগ্রাম করে এগুচ্ছিলেন যা দলের জন্য ছিল আরও বোঝার মতন। তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রবলভাবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট হৃদয়ের ওপর ভরসা রেখে গেছে। গ্রুপের তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেও তাকে সুপার ফোরে খেলিয়েছে। রানে নেই, ফিল্ডিংয়ে নেমে দুই ক্যাচ হাতছাড়া করে নিজের ওপর চাপটা প্রবল বাড়িয়ে ফেলেছিলেন হৃদয়। তার সামনে ছিল সম্ভবত এই আসরে শেষ সুযোগ। একদম কোণঠাসা অবস্থায়, দলের ভীষণ চাহিদায় জ্বলে ওঠেন তিনি। ৩৭ বল ৫৮ রানের ইনিংসটাতে হৃদয় যতটা খুশি, টিম ম্যানেজমেন্টের স্বস্তি হয়ত তারচেয়ে বেশি। না হলে মিডল অর্ডারের ঘাটতি নিয়ে ঘুম হারাম অবস্থা হতো তাদের। হৃদয় যেমন ফিরে আসার গল্প লিখেছেন, মোস্তাফিজ দেখাচ্ছেন এই দলে তিনিই সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি তারকা। এক ম্যাচ বাদ দিলে গোটা আসরে নীরবে নিজের কাজ করে গেছেন কাটার মাস্টার। সুপার ফোরে যে মানের বল করেছেন তাতে যেকোনো দলের জন্যই তাকে সামলানো হতো কঠিন।
আমিরাতের উইকেট বছরের এই সময়টায় ঠিক ফ্ল্যাট নয়, খেলাও হচ্ছে ব্যবহৃত সব উইকেটে। এ রকম উইকেট বানিয়েই বাংলাদেশ দলের জন্য আদর্শ ম্যাচ-আপ। এমন উইকেটে মোস্তাফিজ যেমন বিপজ্জনক, স্পিনাররাও নিজেদের মেলে ধরতে পারেন ভালো। আর মাঝারি রানের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশের ব্যাটাররাও নাগাল বুঝে এগুতে পারেন বিশ্বাস নিয়ে।
গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছন্দে থাকা, টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জীবন পেয়ে হারানোর ভয় তাড়িয়ে দেয়া, কন্ডিশনের ম্যাচ-আপ বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ঘরের মাঠে গত আগস্টেই পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়েছিলেন তারা। শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকা ভারতকে হারানো কঠিন হলেও পাকিস্তান তো নাগালের মাঝেই। দুই ম্যাচের আর একটা জিতলেই তো খুলে যেতে পারে ২৮ তারিখে ফাইনালের দ্বার। আর দুই ম্যাচ জিততে পারলে তো কথাই নেই।
২০১৮ সালে ওয়ানডে সংস্করণের এশিয়া কাপে দুবাইতে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ, এবারও ফাইনালের তারিখটা ২৮। সেবারও সুপার ফোরে শেষ ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, এবারও তাই। বাকি সব মিলে গেলেই হলো।