সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ফিল্ড কোচ সিমন্স
এশিয়া কাপে ভারতের দুর্দান্ত ফর্ম দেখে মনে হচ্ছে বাকিরা যেন অনেকটা পিছিয়ে। তবে বাংলাদেশ হেড কোচ ফিল সিমন্সের চোখে ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। তার বিশ্বাস টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে, আর বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।
আজ দুবাইয়ে সুপার ফোরে ভারতের মুখোমুখি হবে লিটন দাসের দল। ভারতের বর্তমান ছন্দ দেখে বাংলাদেশকে অনেকেই এগিয়ে রাখতে চাচ্ছেন না। কিন্তু ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স জোর দিয়ে বলেন, আগের পারফরমেন্স নয়, ম্যাচের দিনেই আসল লড়াইটা গড়ে ওঠে। তার ভাষায়, ‘প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে। খেলা যেদিন হয়, সেদিনই নির্ধারিত হয় সবকিছু। ভারত আগে কী করেছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো বুধবারের (আজ) সাড়ে ৩ ঘণ্টা । আমরা যতটা ভালো খেলতে পারি, খেলবো এবং চেষ্টা করবো ভারতকে ভুল করতে বাধ্য করতে। এভাবেই ম্যাচ জেতা যায়।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে হারানোর অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের খুব সীমিত। ১৭ ম্যাচে মাত্র একবারই জয় পেয়েছে টাইগাররা। সেটাও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ভারত এখনও অজেয়। তাই ভারতকে হারাতে গেলে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে হবে বিশ্বাস। সিমন্সও তাই মনে করেন, ‘বিশ্বাস থাকতে হবে। মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দলের সঙ্গে বসে আলাপ করার পর আমরা বিশ্বাস করেছি যে, আমাদের সুযোগ আছে। যদি কোনো সুযোগ আসে, সেটা আঁকড়ে ধরতে হবে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
তার মতে, দুবাই স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ, তাই টস ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না, ‘৪০ ওভারজুড়ে উইকেটে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখিনি। এটা বেশ কিছুদিনের মধ্যে এখানকার সেরা উইকেটগুলোর একটি। গত রোববার রাতেও (ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে) একই রকম ছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। বোলারদের সঠিক জায়গায় বল করতে হয়েছে। আমার মনে হয় না টসের তেমন প্রভাব আছে।’
বাংলাদেশকে সুপার ফোরে টানা দুটি ম্যাচ খেলতে হবে। ভারত ম্যাচের পরদিনই তারা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। সেপ্টেম্বরের গরম আর টানা ম্যাচ খেলার ধকলকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কোচ। দুবাই-আবুধাবির তীব্র গরমে একের পর এক টি-টোয়েন্টি খেলা শারীরিকভাবে কঠিন- তা স্বীকারও করলেন সিমন্স, ‘টানা টি-টোয়েন্টি খেলা, টানা ওয়ানডে খেলা খুবই কঠিন। এটা ভালো কিছু নয়। তবে আমরা প্রস্তুত, কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি মনে করি, ছেলেরা যথেষ্ট ফিট, টানা ম্যাচ সামলাতে পারবে। কিন্তু কোনো দলের জন্যই টানা টি-টোয়েন্টি খেলা ন্যায্য নয়। মানুষ যেমনটা ভাবে, আসলে এর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।’
এ সময় জোর দিয়ে সিমন্স বলেন, তারা শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই জিততে আসেননি। লক্ষ্য তাদের এশিয়া কাপ, ‘আমি সাধারণত নিজের আবেগ যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। আমরা এখানে শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা ম্যাচ জিততে আসিনি। এসেছি পুরো টুর্নামেন্ট জিততে, তখনই আমি আবেগ প্রকাশ করতে পারবো। তবে এখনও ড্রেসিংরুমে সবাইকে বাস্তবতার জমিনে রাখাই আমার দায়িত্ব।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের অন্যতম নায়ক তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানান, হৃদয়কে ফেরাতে সামর্থ্যরে কথা মনে করিয়ে কাউন্সিলিং করেছেন তিনি। তার মন্থর গতিতে মাঝের ওভারে ভুগছিল দল।
হৃদয় ভুগলেও তাকে বাদ দেয়ার পথে হাঁটেনি দল, গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মতো সুপার ফোরেও নামানো হয়। এবার ৩৭ বলে ৫৮ করে নিজেকে ফিরে পান তিনি। রানে থাকা আর না থাকার মাঝে ফারাক যে অনেকটা এটা পরিস্কার হৃদয়ের শরীরী ভাষায়।
সিমন্স জানান, ছন্দহীন খেলোয়াড়দের বেলায় অনুশীলন মনের জোর বাড়ানোই মূল পথ, ‘আমার মনে হয়, কোনো খেলোয়াড় যদি ছন্দ হারিয়ে ফেলে, তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে সে আসলে কীসে সামর্থ্যবান এবং কীভাবে আগের জায়গায় যেতে পারে। বিশেষ করে যখন ছন্দহীন অবস্থায় কেউ অনুশীলনে আসে। আমার মনে হয়, সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সে রানে ফিরেছে দেখে ভালো লাগছে।’ সুপার ফোরের কঠিন লড়াইয়ের আগে হৃদয়ের রানে ফেরায় স্বস্তি বাংলাদেশ দলের। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে তিনি রান পেলে দল পেতে পারে শক্ত ভিত।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ফিল্ড কোচ সিমন্স
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এশিয়া কাপে ভারতের দুর্দান্ত ফর্ম দেখে মনে হচ্ছে বাকিরা যেন অনেকটা পিছিয়ে। তবে বাংলাদেশ হেড কোচ ফিল সিমন্সের চোখে ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। তার বিশ্বাস টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে, আর বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।
আজ দুবাইয়ে সুপার ফোরে ভারতের মুখোমুখি হবে লিটন দাসের দল। ভারতের বর্তমান ছন্দ দেখে বাংলাদেশকে অনেকেই এগিয়ে রাখতে চাচ্ছেন না। কিন্তু ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স জোর দিয়ে বলেন, আগের পারফরমেন্স নয়, ম্যাচের দিনেই আসল লড়াইটা গড়ে ওঠে। তার ভাষায়, ‘প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে। খেলা যেদিন হয়, সেদিনই নির্ধারিত হয় সবকিছু। ভারত আগে কী করেছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো বুধবারের (আজ) সাড়ে ৩ ঘণ্টা । আমরা যতটা ভালো খেলতে পারি, খেলবো এবং চেষ্টা করবো ভারতকে ভুল করতে বাধ্য করতে। এভাবেই ম্যাচ জেতা যায়।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে হারানোর অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের খুব সীমিত। ১৭ ম্যাচে মাত্র একবারই জয় পেয়েছে টাইগাররা। সেটাও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে। বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ভারত এখনও অজেয়। তাই ভারতকে হারাতে গেলে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে হবে বিশ্বাস। সিমন্সও তাই মনে করেন, ‘বিশ্বাস থাকতে হবে। মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দলের সঙ্গে বসে আলাপ করার পর আমরা বিশ্বাস করেছি যে, আমাদের সুযোগ আছে। যদি কোনো সুযোগ আসে, সেটা আঁকড়ে ধরতে হবে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
তার মতে, দুবাই স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ, তাই টস ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না, ‘৪০ ওভারজুড়ে উইকেটে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখিনি। এটা বেশ কিছুদিনের মধ্যে এখানকার সেরা উইকেটগুলোর একটি। গত রোববার রাতেও (ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে) একই রকম ছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। বোলারদের সঠিক জায়গায় বল করতে হয়েছে। আমার মনে হয় না টসের তেমন প্রভাব আছে।’
বাংলাদেশকে সুপার ফোরে টানা দুটি ম্যাচ খেলতে হবে। ভারত ম্যাচের পরদিনই তারা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের। সেপ্টেম্বরের গরম আর টানা ম্যাচ খেলার ধকলকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কোচ। দুবাই-আবুধাবির তীব্র গরমে একের পর এক টি-টোয়েন্টি খেলা শারীরিকভাবে কঠিন- তা স্বীকারও করলেন সিমন্স, ‘টানা টি-টোয়েন্টি খেলা, টানা ওয়ানডে খেলা খুবই কঠিন। এটা ভালো কিছু নয়। তবে আমরা প্রস্তুত, কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি মনে করি, ছেলেরা যথেষ্ট ফিট, টানা ম্যাচ সামলাতে পারবে। কিন্তু কোনো দলের জন্যই টানা টি-টোয়েন্টি খেলা ন্যায্য নয়। মানুষ যেমনটা ভাবে, আসলে এর চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।’
এ সময় জোর দিয়ে সিমন্স বলেন, তারা শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই জিততে আসেননি। লক্ষ্য তাদের এশিয়া কাপ, ‘আমি সাধারণত নিজের আবেগ যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। আমরা এখানে শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা ম্যাচ জিততে আসিনি। এসেছি পুরো টুর্নামেন্ট জিততে, তখনই আমি আবেগ প্রকাশ করতে পারবো। তবে এখনও ড্রেসিংরুমে সবাইকে বাস্তবতার জমিনে রাখাই আমার দায়িত্ব।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের অন্যতম নায়ক তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানান, হৃদয়কে ফেরাতে সামর্থ্যরে কথা মনে করিয়ে কাউন্সিলিং করেছেন তিনি। তার মন্থর গতিতে মাঝের ওভারে ভুগছিল দল।
হৃদয় ভুগলেও তাকে বাদ দেয়ার পথে হাঁটেনি দল, গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মতো সুপার ফোরেও নামানো হয়। এবার ৩৭ বলে ৫৮ করে নিজেকে ফিরে পান তিনি। রানে থাকা আর না থাকার মাঝে ফারাক যে অনেকটা এটা পরিস্কার হৃদয়ের শরীরী ভাষায়।
সিমন্স জানান, ছন্দহীন খেলোয়াড়দের বেলায় অনুশীলন মনের জোর বাড়ানোই মূল পথ, ‘আমার মনে হয়, কোনো খেলোয়াড় যদি ছন্দ হারিয়ে ফেলে, তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে সে আসলে কীসে সামর্থ্যবান এবং কীভাবে আগের জায়গায় যেতে পারে। বিশেষ করে যখন ছন্দহীন অবস্থায় কেউ অনুশীলনে আসে। আমার মনে হয়, সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সে রানে ফিরেছে দেখে ভালো লাগছে।’ সুপার ফোরের কঠিন লড়াইয়ের আগে হৃদয়ের রানে ফেরায় স্বস্তি বাংলাদেশ দলের। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে তিনি রান পেলে দল পেতে পারে শক্ত ভিত।