শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সেরা হন হুসেইন তালাত
শ্রীলঙ্কার কাছে হারলে বিদায় একরকম নিশ্চিতই হয়ে যেত। কিন্তু এই এক ম্যাচের জয়ে যেন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে পাকিস্তান। সুপার ফোর থেকে বিদায়ের দুয়ারে থাকা দল এখন আঁকছে ট্রফির ছবি। লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার হুসেইন তালাত বলছেন, প্রয়োজন তো আর স্রেফ দুটি জয়!
গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হারার পর সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বির কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তাদের অস্তিত্বের লড়াই। আবুধাবিতে সেই লড়াইয়ে লঙ্কানদের ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।
বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স লঙ্কানদের আটকে রাখে ১৩৩ রানে। রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারালেও পরে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে জিতে যায় সালমান আলি আগার দল।
বোলিংয়ে এক ওভারে দুই উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩২ রান করে ম্যাচ সেরা হন তালাত। ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ম্যাচের পর বলেন, ভারতের কাছে হারের সমালোচনাগুলোকে গায়ে না মেখে জিততে মরিয়া ছিলেন তারা।
‘ওই ম্যাচ হারার পর ভালো লাগছিল না কারও। লোকে তো আমাদের জয় দেখতে চেয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে আমাদের যা করার দরকার ছিল, করেছি। তবে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে বাড়তি চাপ ছিল না। সমালোচনার অবশ্য কমতি ছিল না। তবে আমরা চেষ্টা করেছি সেসব এড়িয়ে যেতে, এগুলো দলের জন্য ভালো কিছু নয়। জয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’
এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি উত্তেজনাময় সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সেভাবে জমে উঠতে দেননি তালাত ও নাওয়াজ। দুই ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন দুজন। তাতে পাকিস্তানের রান রেটও ভালো হয়ে উঠেছে।
যদিও রান রেটের প্রভাব শেষ পর্যন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। এখনও পর্যন্ত যতটুকু ধারণা করা যায়, আজকের বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াইটিই কার্যত হয়ে উঠবে সেমিফাইনাল ম্যাচ।
সেই ম্যাচ তো বটেই, ফাইনাল জিততেও আশায় বুক বাঁধছেন তালাত। গোটা দলেই সেই বিশ্বাস আছে, বলেন তিনি। ‘আমরা আশাবাদী। গত চার মাস ধরে আমরা টানা টি-টোয়েন্টি খেলছি, মে মাসে যখন বাংলাদেশ দল এসেছিল পাকিস্তানে। দলের ভেতর ক্রিকেটারদের ওপর আস্থা রাখা হচ্ছে। আগে দু-একটি ম্যাচ খেলিয়েই অনেক ক্রিকেটারকে বাদ দেয়া হতো। এখন বাড়তি সুযোগ দেয়া হচ্ছে, বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে যা দেখা যায়।’
‘ট্রফি থেকে আমরা মাত্র দুটি জয় দূরে এবং আমাদের বিশ্বাস, আমরা এটা জিততে পারি।’
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সেরা হন হুসেইন তালাত
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্রীলঙ্কার কাছে হারলে বিদায় একরকম নিশ্চিতই হয়ে যেত। কিন্তু এই এক ম্যাচের জয়ে যেন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে পাকিস্তান। সুপার ফোর থেকে বিদায়ের দুয়ারে থাকা দল এখন আঁকছে ট্রফির ছবি। লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার হুসেইন তালাত বলছেন, প্রয়োজন তো আর স্রেফ দুটি জয়!
গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হারার পর সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বির কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তাদের অস্তিত্বের লড়াই। আবুধাবিতে সেই লড়াইয়ে লঙ্কানদের ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।
বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স লঙ্কানদের আটকে রাখে ১৩৩ রানে। রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারালেও পরে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে জিতে যায় সালমান আলি আগার দল।
বোলিংয়ে এক ওভারে দুই উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩২ রান করে ম্যাচ সেরা হন তালাত। ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ম্যাচের পর বলেন, ভারতের কাছে হারের সমালোচনাগুলোকে গায়ে না মেখে জিততে মরিয়া ছিলেন তারা।
‘ওই ম্যাচ হারার পর ভালো লাগছিল না কারও। লোকে তো আমাদের জয় দেখতে চেয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে আমাদের যা করার দরকার ছিল, করেছি। তবে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে বাড়তি চাপ ছিল না। সমালোচনার অবশ্য কমতি ছিল না। তবে আমরা চেষ্টা করেছি সেসব এড়িয়ে যেতে, এগুলো দলের জন্য ভালো কিছু নয়। জয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’
এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি উত্তেজনাময় সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সেভাবে জমে উঠতে দেননি তালাত ও নাওয়াজ। দুই ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন দুজন। তাতে পাকিস্তানের রান রেটও ভালো হয়ে উঠেছে।
যদিও রান রেটের প্রভাব শেষ পর্যন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। এখনও পর্যন্ত যতটুকু ধারণা করা যায়, আজকের বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াইটিই কার্যত হয়ে উঠবে সেমিফাইনাল ম্যাচ।
সেই ম্যাচ তো বটেই, ফাইনাল জিততেও আশায় বুক বাঁধছেন তালাত। গোটা দলেই সেই বিশ্বাস আছে, বলেন তিনি। ‘আমরা আশাবাদী। গত চার মাস ধরে আমরা টানা টি-টোয়েন্টি খেলছি, মে মাসে যখন বাংলাদেশ দল এসেছিল পাকিস্তানে। দলের ভেতর ক্রিকেটারদের ওপর আস্থা রাখা হচ্ছে। আগে দু-একটি ম্যাচ খেলিয়েই অনেক ক্রিকেটারকে বাদ দেয়া হতো। এখন বাড়তি সুযোগ দেয়া হচ্ছে, বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে যা দেখা যায়।’
‘ট্রফি থেকে আমরা মাত্র দুটি জয় দূরে এবং আমাদের বিশ্বাস, আমরা এটা জিততে পারি।’