চলতি এশিয়া কাপের ফাইনাল অবশ্য এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি কোনো দল। তবে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে প্রতিবেশি ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

তেমনটা হলে, এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল।

সুরিয়াকুমারের নেতৃত্বে এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ছন্দে আছে ভারত। শিরোপার দাবিদার মনে করা হচ্ছে তাদেরকে। আসরে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি দলটি। গ্রুপ পর্বের পর সুপার ফোরেও পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। সেই লড়াইয়ে ভারতের একতরফা দাপট চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই; ২০২২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের জয়ের পর সব সংস্করণ মিলিয়ে ভারত জিতেছে টানা সাত ম্যাচ।

টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতের জয় ১২টি, পাকিস্তানের মোটে ৩টি। ওয়ানডে ইতিহাসে দুই দলের লড়াইয়ে অবশ্য এখনও এগিয়ে পাকিস্তান। তবে গত ২০ বছরে বদলে গেছে চিত্র। ২০০৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের জয় ছিল ৬২টি, ভারতের ৩৫টি। ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভারত জিতেছে ২৩টি, পাকিস্তান ১১টি। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বশেষ টানা ছয় ওয়ানডেতেই জয় ভারতের।

গত রোববার পাকিস্তানকে অনায়াসে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে সুরিয়াকুমার বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করে দেয়া উচিত।’ দুই দলের দ্বৈরথে এখন আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই দেখেন না তিনি।

সুপার ফোরে গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। বাঁচা-মরার ম্যাচে আজ বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা। গত দুই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা পাকিস্তান গতকাল মঙ্গলবার আফ্রিদিকে সংবাদ সম্মেলনে পাঠায়। সেখানে অবধারিতভাবেই ওঠে সুরিয়াকুমারের মন্তব্যের প্রসঙ্গ।

‘তাকে (সুরিয়াকুমারকে) যা ইচ্ছা বলতে দিন। তারা এখনও ফাইনালে ওঠেনি, আমরাও না। যখন দুই দল ফাইনালে উঠবে, তখন দেখা যাবে। আমরা এখানে ফাইনাল জিততে, এশিয়া কাপ জিততে এসেছি। যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্য প্রস্তুত আমরা। তাদেরকে হারাবো আমরা।’

সুপার ফোরে ভারত নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।