আচরণবিধি ভাঙার দায়ে ভারত অধিনায়ককে জরিমানা করেছে। একই কারণে অর্থদ- দেয়া হয়েছে পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফকে। আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে শাস্তির বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। তবে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের দুই ক্রিকেটারকেই ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়েছে।
সুরিয়াকুমারের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছিল পিসিবি। আর রউফ ও তার সতীর্থ সাহিবজাদা ফারহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিসিসিআই। তিনজনই নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করায় আনুষ্ঠানিক শুনানি হয়।
গত বৃহস্পতিবার ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের শুনানিতে হাজিরা দিতে হয় সুরিয়াকুমারকে। যেখানে রিচার্ডসন ভারতীয় দলপতিকে জানিয়ে দেন, ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় বা ফুটিয়ে তোলা যায় কিংবা রূপ দেয়া যায়, ক্রিকেটীয় আবহে এমন কোনো কিছু বলা যাবে না। সঙ্গে তাকে জরিমানাও করেন ম্যাচ রেফারি।
গতকাল শুক্রবার রিচার্ডসনের শুনানির মুখোমুখি হন রউফ ও ফারহানও। ক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, পাকিস্তানি ওপেনার ফারহানকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়, জরিমানা করা হয়নি।
প্রথমে খবরে এসেছিল, গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে সুরিয়াকুমারের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি ছিল পিসিবির। ভারতীয় অধিনায়ক দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন এবং পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত ও তাদের পরিবারকে জয় উৎসর্গ করেন।
তবে গতকাল শুক্রবার ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ওই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ‘অপারেশন সিদুঁর’ কথাটিও উল্লেখ করেন সুরিয়াকুমার, যেটা সরাসরি রাজনৈতিক হয়ে গেছে, আর পিসিবির বড় আপত্তি ছিল সেটিতেই।
রউফ ও ফারহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে। সেদিন ফিফটি করার পর ব্যাটকে বন্দুক বানিয়ে গুলি করার মতো ভঙ্গি করেন ফারহান। আর সীমানার দিকে ফিল্ডিংয়ের সময় দর্শকদের একটি অংশের দিকে দেখিয়ে রউফ হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেন, বিমান উড়তে উড়তে হুট করে ভূপাতিত হয়ে যাচ্ছে।
সুরিয়াকুমারের শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। আপিলের শুনানি হয়েছে কিনা, অথবা কখন হবে সেটা নিশ্চিত নয়। সাধারণত, ম্যাচ রেফারি সময় ও ভেন্যু নির্ধারণ করেন। আপিলের পরেও যদি সুরিয়াকুমার দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার শাস্তি সেই অনুযায়ী বাড়ানো হবে।
এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার শুরু গ্রুপ পর্বের ম্যাচ থেকেই। গত ১৪ সেপ্টেম্বর আসরে দুই দলের প্রথম ম্যাচের সময় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয় ভারতীয় দল। ওই ঘটনায় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়ে একপর্যায়ে আসর থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান।
পরে পাইক্রফট ক্ষমা চান বলে জানায় পাকিস্তানের বোর্ড। সেই ক্ষমা চাওয়ার অডিও ছাড়া ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করায় আবার পিসিবির বিরুদ্ধে প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগ তোলে আইসিসি।
গ্রুপ পর্বের পর সুপার ফোরেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারতীয়রা। দুই ম্যাচেই প্রতিবেশীদের উড়িয়ে দেয় সুরিয়াকুমারের দল।
শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আচরণবিধি ভাঙার দায়ে ভারত অধিনায়ককে জরিমানা করেছে। একই কারণে অর্থদ- দেয়া হয়েছে পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফকে। আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে শাস্তির বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। তবে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের দুই ক্রিকেটারকেই ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়েছে।
সুরিয়াকুমারের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছিল পিসিবি। আর রউফ ও তার সতীর্থ সাহিবজাদা ফারহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিসিসিআই। তিনজনই নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করায় আনুষ্ঠানিক শুনানি হয়।
গত বৃহস্পতিবার ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের শুনানিতে হাজিরা দিতে হয় সুরিয়াকুমারকে। যেখানে রিচার্ডসন ভারতীয় দলপতিকে জানিয়ে দেন, ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় বা ফুটিয়ে তোলা যায় কিংবা রূপ দেয়া যায়, ক্রিকেটীয় আবহে এমন কোনো কিছু বলা যাবে না। সঙ্গে তাকে জরিমানাও করেন ম্যাচ রেফারি।
গতকাল শুক্রবার রিচার্ডসনের শুনানির মুখোমুখি হন রউফ ও ফারহানও। ক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, পাকিস্তানি ওপেনার ফারহানকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়, জরিমানা করা হয়নি।
প্রথমে খবরে এসেছিল, গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে সুরিয়াকুমারের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি ছিল পিসিবির। ভারতীয় অধিনায়ক দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন এবং পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্ত ও তাদের পরিবারকে জয় উৎসর্গ করেন।
তবে গতকাল শুক্রবার ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ওই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ‘অপারেশন সিদুঁর’ কথাটিও উল্লেখ করেন সুরিয়াকুমার, যেটা সরাসরি রাজনৈতিক হয়ে গেছে, আর পিসিবির বড় আপত্তি ছিল সেটিতেই।
রউফ ও ফারহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে। সেদিন ফিফটি করার পর ব্যাটকে বন্দুক বানিয়ে গুলি করার মতো ভঙ্গি করেন ফারহান। আর সীমানার দিকে ফিল্ডিংয়ের সময় দর্শকদের একটি অংশের দিকে দেখিয়ে রউফ হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেন, বিমান উড়তে উড়তে হুট করে ভূপাতিত হয়ে যাচ্ছে।
সুরিয়াকুমারের শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। আপিলের শুনানি হয়েছে কিনা, অথবা কখন হবে সেটা নিশ্চিত নয়। সাধারণত, ম্যাচ রেফারি সময় ও ভেন্যু নির্ধারণ করেন। আপিলের পরেও যদি সুরিয়াকুমার দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার শাস্তি সেই অনুযায়ী বাড়ানো হবে।
এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার শুরু গ্রুপ পর্বের ম্যাচ থেকেই। গত ১৪ সেপ্টেম্বর আসরে দুই দলের প্রথম ম্যাচের সময় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয় ভারতীয় দল। ওই ঘটনায় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়ে একপর্যায়ে আসর থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান।
পরে পাইক্রফট ক্ষমা চান বলে জানায় পাকিস্তানের বোর্ড। সেই ক্ষমা চাওয়ার অডিও ছাড়া ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করায় আবার পিসিবির বিরুদ্ধে প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগ তোলে আইসিসি।
গ্রুপ পর্বের পর সুপার ফোরেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারতীয়রা। দুই ম্যাচেই প্রতিবেশীদের উড়িয়ে দেয় সুরিয়াকুমারের দল।