বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের অধ্যায় শেষ — এমনই চূড়ান্ত মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একটি টিভি চ্যানেলকে ফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না এবং তার প্রতি এই সিদ্ধান্তটি ভবিষ্যতে বোর্ডকে নির্দেশ হিসেবে প্রদান করবেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের জার্সির পরিচয় বহন করতে দেওয়া, এটা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব না। ইতিপূর্বে এটা আমি বিসিবিকে না বললেও এখন আমার বোর্ডের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে, সাকিব আল হাসান আর কখনো বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না।”
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় সাকিবের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। গত রোববার রাত ৯টার দিকে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’ এর জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং সেই পোস্টকে কেন্দ্র করে সাকিব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার মধ্যে দুই দিন ধরে পাল্টাপাল্টি ভার্চুয়াল জবাব দেয়ার ঘটনা ঘটে।
আসিফ মাহমুদ সেই ছাড়েও সাকিবের রাজনৈতিক জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “ততবার তিনি দেশে আসার জন্য চেয়েছেন, খেলার জন্য চেয়েছেন... কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে, তিনি আসলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠেভাবে জড়িত, যার প্রমাণ আমরা পেলাম।” তিনি দাবি করেন, সাকিব নিজে বললেও দেশে ফিরে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে।
দুইজনের ফেইসবুক স্ট্যাটাসও বিতর্ক উত্তেজিত করে—একনীচে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আলাপ: আসিফের একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। ইন্ড অব দ্য ডিসকাশন।’ জবাবে সাকিব লিখেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না!’ এরপরই আসিফ ফের লিখে জানান, ‘বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে... মানি লন্ডারিং, ফিন্যান্সিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, ফেস ইট।’
গত বছর ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সাকিব দেশের বাইরে ছিলেন; পরে দেশে ফেরেননি। নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ও দুদকের মামলা রয়েছে—এইসব ঘটনাও বিতর্কে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব তার পোস্টের ব্যাখ্যায় বলেছেন, “সে (শেখ হাসিনা) তো সবসময় সিরিয়াসলি খেলা ফলো করেছে, খেলা দেখছে... আমি একজনকে উইশ করতেই পারি। তা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য, কাউকে কোনো ইঙ্গিত, এমন কোনো কিছুই না।” তিনি দাবি করেছেন যে ছবিটি সম্পূর্ণ ক্রিকেট ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটেই পোস্ট করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের অধ্যায় শেষ — এমনই চূড়ান্ত মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একটি টিভি চ্যানেলকে ফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না এবং তার প্রতি এই সিদ্ধান্তটি ভবিষ্যতে বোর্ডকে নির্দেশ হিসেবে প্রদান করবেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের জার্সির পরিচয় বহন করতে দেওয়া, এটা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব না। ইতিপূর্বে এটা আমি বিসিবিকে না বললেও এখন আমার বোর্ডের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে, সাকিব আল হাসান আর কখনো বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না।”
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় সাকিবের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। গত রোববার রাত ৯টার দিকে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’ এর জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং সেই পোস্টকে কেন্দ্র করে সাকিব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার মধ্যে দুই দিন ধরে পাল্টাপাল্টি ভার্চুয়াল জবাব দেয়ার ঘটনা ঘটে।
আসিফ মাহমুদ সেই ছাড়েও সাকিবের রাজনৈতিক জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “ততবার তিনি দেশে আসার জন্য চেয়েছেন, খেলার জন্য চেয়েছেন... কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে, তিনি আসলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠেভাবে জড়িত, যার প্রমাণ আমরা পেলাম।” তিনি দাবি করেন, সাকিব নিজে বললেও দেশে ফিরে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে।
দুইজনের ফেইসবুক স্ট্যাটাসও বিতর্ক উত্তেজিত করে—একনীচে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আলাপ: আসিফের একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। ইন্ড অব দ্য ডিসকাশন।’ জবাবে সাকিব লিখেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তাঁর জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না!’ এরপরই আসিফ ফের লিখে জানান, ‘বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে... মানি লন্ডারিং, ফিন্যান্সিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, ফেস ইট।’
গত বছর ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সাকিব দেশের বাইরে ছিলেন; পরে দেশে ফেরেননি। নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ ও দুদকের মামলা রয়েছে—এইসব ঘটনাও বিতর্কে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব তার পোস্টের ব্যাখ্যায় বলেছেন, “সে (শেখ হাসিনা) তো সবসময় সিরিয়াসলি খেলা ফলো করেছে, খেলা দেখছে... আমি একজনকে উইশ করতেই পারি। তা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য, কাউকে কোনো ইঙ্গিত, এমন কোনো কিছুই না।” তিনি দাবি করেছেন যে ছবিটি সম্পূর্ণ ক্রিকেট ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটেই পোস্ট করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।