অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রবাসী আফগানিস্তান নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা
আফগানিস্তানের কোনো নারী ক্রিকেট দল নেই। তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটিতে নারীদের খেলাধুলা করা এখনও কল্পনা করা কঠিন। তবে যে আফগান নারী ক্রিকেটাররা দেশ ছেড়ে নির্বাসনে আছেন, তাদেরই একটা অংশ মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গৌহাটি স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। এই মাঠেই মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ।
এই আফগান নারী দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই নির্বাসনে আছেন অস্ট্রেলিয়ায় এবং সেখানে খেলছেন লীগ ক্রিকেটে। এছাড়াও দলটিতে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাজ্য ও কানাডায় থাকা কয়েকজন। উদ্বোধনী ম্যাচে অবশ্য তেমন কোনো ভূমিকা থাকছে না তাদের। স্রেফ গ্যালারিতে থাকবে তাদের উপস্থিতি। যদিও আগের পরিকল্পনা ছিল আরও ব্যাপক। গত জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিশ্বকাপে আনা হবে আফগান নারী ক্রিকেটারদের। তখন পরিকল্পনা ছিল, বেঙ্গালুরুতে ট্রেনিং ক্যাম্প করবেন এই ক্রিকেটাররা, ভারতের ঘরোয়া দলগুলির সঙ্গে ম্যাচ খেলবেন ও বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচে মাঠে থাকবেন। তখনকার সূচিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে, পরে তা সরে আসে গুয়াহাটিতে।
বদলে যাওয়া পরিকল্পনায় দলটির কয়েকটি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা এখনও আছে। তবে উদ্বোধনী ম্যাচ ছাড়া অন্য খেলাগুলোয় তদের মাঠে থাকার সম্ভাবনা কম।
আফগান নারী ক্রিকেটারদের এই সফর নিয়ে আইসিসি ও ভারতীয় বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ইচ্ছে করেই মূলত কিছুটা আড়াল রাখা হচ্ছে, কারণ এই দলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। যদিও টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার বড় শর্তগুলির একটি নারী ক্রিকেটে গুরুত্ব দেয়া এবং ২০২০ সালে ২৫ নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তিও করেছিল এসিবি, তবে ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর সব প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে তো খেলাধুলা দূরের কথা, আফগান নারীদের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পড়া বন্ধ করাসহ প্রাত্যহিক জীবনের অনেক কিছুতেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইসিসির প্রশ্নে নানা সময়ই নারী দলের ব্যাপারটি নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন এসিবি কর্তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, আফগান নারীদের এই বিশ্বকাপ সফর নিয়ে খুব বেশি প্রচার করা হয়নি বা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি সতর্কতার কারণেই, যাতে তাদের ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিতে পারে তালেবান সরকার।
অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়া নারী ক্রিকেটারদের অনেকেই এসিবির চুক্তিবদ্ধ ২৫ ক্রিকেটারের মধ্যে ছিলেন। নির্বাসনে থাকা আফগান নারী ক্রিকেটারদের মেন্টরশিপ ও কোচিংয়ের জন্য গত এপ্রিলে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করে আইসিসি। সিদ্ধান্ত হয়, আইসিসির পাশাপাশি সবচেয়ে সম্পদশালী তিন দেশের ক্রিকেট বোর্ড-ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড মিলে তহবিল জোগাবে। যদিও তহবিলের পরিমাণ জানানো হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাসনে থাকা ক্রিকেটাররা গত জানুয়ারিতে ক্রিকেট উইদাউট বোর্ডারস ও আফগানিস্তান একাদশের একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিলেন। ভিসা জটিলতায় অবশ্য সেই দলের সবাই আসতে পারেননি ভারতে।
অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রবাসী আফগানিস্তান নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আফগানিস্তানের কোনো নারী ক্রিকেট দল নেই। তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটিতে নারীদের খেলাধুলা করা এখনও কল্পনা করা কঠিন। তবে যে আফগান নারী ক্রিকেটাররা দেশ ছেড়ে নির্বাসনে আছেন, তাদেরই একটা অংশ মঙ্গলবার,(৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গৌহাটি স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। এই মাঠেই মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ।
এই আফগান নারী দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই নির্বাসনে আছেন অস্ট্রেলিয়ায় এবং সেখানে খেলছেন লীগ ক্রিকেটে। এছাড়াও দলটিতে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাজ্য ও কানাডায় থাকা কয়েকজন। উদ্বোধনী ম্যাচে অবশ্য তেমন কোনো ভূমিকা থাকছে না তাদের। স্রেফ গ্যালারিতে থাকবে তাদের উপস্থিতি। যদিও আগের পরিকল্পনা ছিল আরও ব্যাপক। গত জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিশ্বকাপে আনা হবে আফগান নারী ক্রিকেটারদের। তখন পরিকল্পনা ছিল, বেঙ্গালুরুতে ট্রেনিং ক্যাম্প করবেন এই ক্রিকেটাররা, ভারতের ঘরোয়া দলগুলির সঙ্গে ম্যাচ খেলবেন ও বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচে মাঠে থাকবেন। তখনকার সূচিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে, পরে তা সরে আসে গুয়াহাটিতে।
বদলে যাওয়া পরিকল্পনায় দলটির কয়েকটি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা এখনও আছে। তবে উদ্বোধনী ম্যাচ ছাড়া অন্য খেলাগুলোয় তদের মাঠে থাকার সম্ভাবনা কম।
আফগান নারী ক্রিকেটারদের এই সফর নিয়ে আইসিসি ও ভারতীয় বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ইচ্ছে করেই মূলত কিছুটা আড়াল রাখা হচ্ছে, কারণ এই দলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। যদিও টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার বড় শর্তগুলির একটি নারী ক্রিকেটে গুরুত্ব দেয়া এবং ২০২০ সালে ২৫ নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তিও করেছিল এসিবি, তবে ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর সব প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে তো খেলাধুলা দূরের কথা, আফগান নারীদের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পড়া বন্ধ করাসহ প্রাত্যহিক জীবনের অনেক কিছুতেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইসিসির প্রশ্নে নানা সময়ই নারী দলের ব্যাপারটি নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন এসিবি কর্তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, আফগান নারীদের এই বিশ্বকাপ সফর নিয়ে খুব বেশি প্রচার করা হয়নি বা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি সতর্কতার কারণেই, যাতে তাদের ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিতে পারে তালেবান সরকার।
অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়া নারী ক্রিকেটারদের অনেকেই এসিবির চুক্তিবদ্ধ ২৫ ক্রিকেটারের মধ্যে ছিলেন। নির্বাসনে থাকা আফগান নারী ক্রিকেটারদের মেন্টরশিপ ও কোচিংয়ের জন্য গত এপ্রিলে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করে আইসিসি। সিদ্ধান্ত হয়, আইসিসির পাশাপাশি সবচেয়ে সম্পদশালী তিন দেশের ক্রিকেট বোর্ড-ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড মিলে তহবিল জোগাবে। যদিও তহবিলের পরিমাণ জানানো হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাসনে থাকা ক্রিকেটাররা গত জানুয়ারিতে ক্রিকেট উইদাউট বোর্ডারস ও আফগানিস্তান একাদশের একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিলেন। ভিসা জটিলতায় অবশ্য সেই দলের সবাই আসতে পারেননি ভারতে।