ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বাংলাদেশ ফুটবল দল
এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলে আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এ ম্যাচকে সামনে রেখে ঢাকা স্টেডিয়ামে চলছে জামাল ভূঁইয়াদের নিবিড় অনুশীলন। তাদের নিয়েই নিজেদের মাঠে বড় চ্যালেঞ্জে জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ; এমনটাই বললেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
রোববার অনুশীলনের ফাঁকে কাবরেরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুশীলন খুব ভালো চলছে। ক্যাম্পের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দলের অগ্রগতিতে আমি খুবই খুশি ও ইতিবাচক। সব ঠিকঠাক চলছে। আরও ৪টি অনুশীলন সেশন বাকি আছে। বড় চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার সময় এটা।’
হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে পুরো তিন পয়েন্টই পেতে চান বাংলাদেশের এই স্প্যানিশ কোচ। তার পরিষ্কার কথা, ‘আমরা সবার কাছেই বড় পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করি। এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ নিজেদের মাঠে খেলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার, আবার মূল পর্বে খেলার দৌড়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে চাই। যারা এখন দলে আছে, তাদের সবার কাছে এটাই মূল লক্ষ্য, তেমনি হামজা ও শমিতের জন্যও।’
ইংলিশ লীগে খেলা হামজা চৌধুরী আজ সকালে ঢাকা আসছেন। কাবরেরা তাই আশাবাদী কণ্ঠে বললেন, ‘হামজা কাল সকালেই আসছে, সব ঠিক থাকলে তিনটি অনুশীলন সেশন করবে আমাদের সঙ্গে। শমিতের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু কঠিন। সে পরশু রাতে আসবে, শুধু ম্যাচের আগের দিনই অনুশীলন করতে পারবে। তাই তার অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
‘আমাদের বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি। আমরা পুরোপুরি আশাবাদী যে তিন পয়েন্ট নিতে পারবো। হংকং খুবই শক্তিশালী দল, শারীরিকভাবে কঠিন প্রতিপক্ষ। অবশ্যই তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগবো। তবে আমাদের সঠিক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। একে অন্যের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যদি আমরা একতাবদ্ধ থাকি, আগের মতো পারফর্ম করতে পারি, আমাদের বিশ্বাস আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কঠিন দল, যেমনটা বলেছি শারীরিকভাবে শক্তিশালী। তাদের দলে বিভিন্ন বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় আছে। অনেকে চাইনিজ সুপার লীগেও খেলে। সিঙ্গাপুর ও ভারতের বিপক্ষে তাদের খেলা দেখেছি। প্রথম থেকেই বলেছি, এই গ্রুপের দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। তাই ম্যাচটা কঠিন হবে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি জেতা সম্ভব।
কাবরেরা বলেন, ‘আমরা এখনো সব দিক নিয়ে কাজ করছি, বিশেষ করে সেসব জায়গায় যা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঠিকভাবে কাজ করেনি। অনেক কিছুই ভালো ছিল, কিন্তু কিছু মুহূর্তে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে কীভাবে উন্নতি করা যায়, কীভাবে আরও ধারাবাহিক হওয়া যায় এবং অবশ্যই কীভাবে আরও গোল করা যায়, যা আমাদের তিন পয়েন্ট দেবে সেসব নিয়ে কাজ করেছি।’
হামজার পারফরম্যান্স নিয়ে কোচ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সেই পজিশনে হামজা দারুণ খেলেছে। গত ম্যাচের কিছু সময় সে আরও ওপরে খেলেছে। যেটা নিয়ে আগেও ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ডিফেন্সে ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও তার অবদান চাই আমরা। যেন সে সেকেন্ড লাইন থেকে উঠে এসে সুযোগ তৈরি করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তেও ওর ভালো কিছু সুযোগ ছিল। তাই আমি মনে করি, সে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে যেমন কাজ করেছে, আক্রমণাত্মক ভূমিকাতেও সমানভাবে সফল হয়েছে।’
কোচ আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তেও ভালো কিছু সুযোগ ছিল তার সামনে। ডিফেন্সিভ ও অফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে এই মিশ্র ভূমিকায় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছে বলে আমার মনে হয়।’
ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বাংলাদেশ ফুটবল দল
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলে আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এ ম্যাচকে সামনে রেখে ঢাকা স্টেডিয়ামে চলছে জামাল ভূঁইয়াদের নিবিড় অনুশীলন। তাদের নিয়েই নিজেদের মাঠে বড় চ্যালেঞ্জে জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ; এমনটাই বললেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
রোববার অনুশীলনের ফাঁকে কাবরেরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুশীলন খুব ভালো চলছে। ক্যাম্পের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দলের অগ্রগতিতে আমি খুবই খুশি ও ইতিবাচক। সব ঠিকঠাক চলছে। আরও ৪টি অনুশীলন সেশন বাকি আছে। বড় চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার সময় এটা।’
হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে পুরো তিন পয়েন্টই পেতে চান বাংলাদেশের এই স্প্যানিশ কোচ। তার পরিষ্কার কথা, ‘আমরা সবার কাছেই বড় পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করি। এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ নিজেদের মাঠে খেলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার, আবার মূল পর্বে খেলার দৌড়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে চাই। যারা এখন দলে আছে, তাদের সবার কাছে এটাই মূল লক্ষ্য, তেমনি হামজা ও শমিতের জন্যও।’
ইংলিশ লীগে খেলা হামজা চৌধুরী আজ সকালে ঢাকা আসছেন। কাবরেরা তাই আশাবাদী কণ্ঠে বললেন, ‘হামজা কাল সকালেই আসছে, সব ঠিক থাকলে তিনটি অনুশীলন সেশন করবে আমাদের সঙ্গে। শমিতের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু কঠিন। সে পরশু রাতে আসবে, শুধু ম্যাচের আগের দিনই অনুশীলন করতে পারবে। তাই তার অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
‘আমাদের বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি। আমরা পুরোপুরি আশাবাদী যে তিন পয়েন্ট নিতে পারবো। হংকং খুবই শক্তিশালী দল, শারীরিকভাবে কঠিন প্রতিপক্ষ। অবশ্যই তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগবো। তবে আমাদের সঠিক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। একে অন্যের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। যদি আমরা একতাবদ্ধ থাকি, আগের মতো পারফর্ম করতে পারি, আমাদের বিশ্বাস আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কঠিন দল, যেমনটা বলেছি শারীরিকভাবে শক্তিশালী। তাদের দলে বিভিন্ন বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় আছে। অনেকে চাইনিজ সুপার লীগেও খেলে। সিঙ্গাপুর ও ভারতের বিপক্ষে তাদের খেলা দেখেছি। প্রথম থেকেই বলেছি, এই গ্রুপের দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। তাই ম্যাচটা কঠিন হবে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি জেতা সম্ভব।
কাবরেরা বলেন, ‘আমরা এখনো সব দিক নিয়ে কাজ করছি, বিশেষ করে সেসব জায়গায় যা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঠিকভাবে কাজ করেনি। অনেক কিছুই ভালো ছিল, কিন্তু কিছু মুহূর্তে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে কীভাবে উন্নতি করা যায়, কীভাবে আরও ধারাবাহিক হওয়া যায় এবং অবশ্যই কীভাবে আরও গোল করা যায়, যা আমাদের তিন পয়েন্ট দেবে সেসব নিয়ে কাজ করেছি।’
হামজার পারফরম্যান্স নিয়ে কোচ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সেই পজিশনে হামজা দারুণ খেলেছে। গত ম্যাচের কিছু সময় সে আরও ওপরে খেলেছে। যেটা নিয়ে আগেও ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ডিফেন্সে ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও তার অবদান চাই আমরা। যেন সে সেকেন্ড লাইন থেকে উঠে এসে সুযোগ তৈরি করতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তেও ওর ভালো কিছু সুযোগ ছিল। তাই আমি মনে করি, সে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে যেমন কাজ করেছে, আক্রমণাত্মক ভূমিকাতেও সমানভাবে সফল হয়েছে।’
কোচ আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তেও ভালো কিছু সুযোগ ছিল তার সামনে। ডিফেন্সিভ ও অফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে এই মিশ্র ভূমিকায় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছে বলে আমার মনে হয়।’