ঢাকার স্টেডিয়ামে অনুশীলনে হামজা
ইংলিশ লীগের ক্লাব লেস্টার সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী জাতীয় দলের হয়ে খেলতে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) সকালে ঢাকায় পৌঁছে সন্ধ্যাতেই জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যোগ দেন। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের হংকং চায়নার বিপক্ষে হোম ম্যাচে আগামী ৯ অক্টোবর মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। ১৪ অক্টোবর ফিরতি ম্যাচ খেলতে হংকং যাবেন ফুটবলাররা। এই দুই ম্যাচের জন্য সোমবার, বাংলাদেশে আসেন হামজা।
বাফুফের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে হামজাকে অভ্যর্থনা জানান। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢুকে খুব বেশি বিশ্রাম নেননি তিনি। পরে বাফুফের পাঠানো ভিডিও ক্লিপে হামজা বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি নিরাপদে অবতরণ করেছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের একটি সফল ক্যাম্প হবে। ৯ তারিখে আমরা জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকং চায়নার মুখোমুখি হব। ইনশাআল্লাহ, আপনারা সবাই আমাদের সমর্থন করবেন।’
হংকং চায়না দলের সোমবার, রাতে ঢাকায় আসার সূচি রয়েছে।
এদিকে, কানাডাভিত্তিক শমিত শোম আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বাংলাদেশ দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে খেলার আগে তিনি মাত্র একটি অনুশীলন সেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবেন।
ভ্রমণ-ক্লান্তি বিবেচনায় নিয়েই জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার, হামজাকে অনুশীলনে নামানোর ক্ষেত্রে একটু দোটানায় ছিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। তবে দলের সূত্রের খবর, হামজা নাকি নিজেই চেয়েছেন সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করতে। হাতে সময় কম। দলের সঙ্গে গুছিয়ে নিতে তাই বিকেলেই মাঠে নেমে পড়া।
প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেনি কেউ। তবে হামজা যেন দলের সাথে একাত্ম হয়ে উঠেছেন। মাঠের এক কোণে কাজী তারিক রায়হান, জামাল ভূঁইয়া, ফাহামিদুল ইসলামের সঙ্গে জাগলিং করছিলেন হামজা। পাসিং অনুশীলনে কেউ বল হারালে তার পিঠে আলতো করে ‘চড়’ দেয়ার রেওয়াজ এদিনও ছিল। ফাহামিদুল মিস করলেন, জামাল-হামজাসহ বাকিদের দেখা গেলো হাসতে হাসতে ‘জুনিয়র’-এর পিঠে-মাথায় আলতো করে ‘চড়’ দিতে। এক-দুবার জামাল, তারিকের মতো তিনিও তা খেলেন হাসিমুখে! চোটের হানায় এরই মধ্যে দলছাড়া হয়েছেন ফরোয়ার্ড সুমন রেজা ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তারিক ও আল আমিনের প্রস্তুতি নিয়ে কোচের দুঃশ্চিন্তা কিছুটা দূর হয়েছে। তপু বর্মণ মাঠের চারপাশে চক্কর দিয়েছেন এক টিম স্টাফের সঙ্গে।
দলে নতুন মুখ জায়ান আহমেদকেও দেখা গেল বেশ উৎফুল্ল। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই তরুণ ডিফেন্ডার কিছু নিখুঁত ক্রস ও আড়াআড়ি পাস বাড়িয়ে নজর কাড়লেন। ইতালি প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলামকে দেখা গেল খুনসুটি করতে। সবমিলিয়ে প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে সবার।
‘সি’ গ্রুপের টেবিলে ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য ঘরের মাঠের আসন্ন ম্যাচটি হয়ে উঠেছে ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’। এই ম্যাচে হারলে বাছাইপর্ব পেরোনোর স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাবে অনেকটাই।
ঢাকার স্টেডিয়ামে অনুশীলনে হামজা
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইংলিশ লীগের ক্লাব লেস্টার সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী জাতীয় দলের হয়ে খেলতে সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) সকালে ঢাকায় পৌঁছে সন্ধ্যাতেই জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যোগ দেন। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের হংকং চায়নার বিপক্ষে হোম ম্যাচে আগামী ৯ অক্টোবর মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। ১৪ অক্টোবর ফিরতি ম্যাচ খেলতে হংকং যাবেন ফুটবলাররা। এই দুই ম্যাচের জন্য সোমবার, বাংলাদেশে আসেন হামজা।
বাফুফের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে হামজাকে অভ্যর্থনা জানান। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢুকে খুব বেশি বিশ্রাম নেননি তিনি। পরে বাফুফের পাঠানো ভিডিও ক্লিপে হামজা বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি নিরাপদে অবতরণ করেছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের একটি সফল ক্যাম্প হবে। ৯ তারিখে আমরা জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকং চায়নার মুখোমুখি হব। ইনশাআল্লাহ, আপনারা সবাই আমাদের সমর্থন করবেন।’
হংকং চায়না দলের সোমবার, রাতে ঢাকায় আসার সূচি রয়েছে।
এদিকে, কানাডাভিত্তিক শমিত শোম আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বাংলাদেশ দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে খেলার আগে তিনি মাত্র একটি অনুশীলন সেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবেন।
ভ্রমণ-ক্লান্তি বিবেচনায় নিয়েই জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার, হামজাকে অনুশীলনে নামানোর ক্ষেত্রে একটু দোটানায় ছিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। তবে দলের সূত্রের খবর, হামজা নাকি নিজেই চেয়েছেন সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করতে। হাতে সময় কম। দলের সঙ্গে গুছিয়ে নিতে তাই বিকেলেই মাঠে নেমে পড়া।
প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেনি কেউ। তবে হামজা যেন দলের সাথে একাত্ম হয়ে উঠেছেন। মাঠের এক কোণে কাজী তারিক রায়হান, জামাল ভূঁইয়া, ফাহামিদুল ইসলামের সঙ্গে জাগলিং করছিলেন হামজা। পাসিং অনুশীলনে কেউ বল হারালে তার পিঠে আলতো করে ‘চড়’ দেয়ার রেওয়াজ এদিনও ছিল। ফাহামিদুল মিস করলেন, জামাল-হামজাসহ বাকিদের দেখা গেলো হাসতে হাসতে ‘জুনিয়র’-এর পিঠে-মাথায় আলতো করে ‘চড়’ দিতে। এক-দুবার জামাল, তারিকের মতো তিনিও তা খেলেন হাসিমুখে! চোটের হানায় এরই মধ্যে দলছাড়া হয়েছেন ফরোয়ার্ড সুমন রেজা ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তারিক ও আল আমিনের প্রস্তুতি নিয়ে কোচের দুঃশ্চিন্তা কিছুটা দূর হয়েছে। তপু বর্মণ মাঠের চারপাশে চক্কর দিয়েছেন এক টিম স্টাফের সঙ্গে।
দলে নতুন মুখ জায়ান আহমেদকেও দেখা গেল বেশ উৎফুল্ল। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই তরুণ ডিফেন্ডার কিছু নিখুঁত ক্রস ও আড়াআড়ি পাস বাড়িয়ে নজর কাড়লেন। ইতালি প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলামকে দেখা গেল খুনসুটি করতে। সবমিলিয়ে প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে সবার।
‘সি’ গ্রুপের টেবিলে ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য ঘরের মাঠের আসন্ন ম্যাচটি হয়ে উঠেছে ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’। এই ম্যাচে হারলে বাছাইপর্ব পেরোনোর স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাবে অনেকটাই।