এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ে দলের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলি। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। আফগানদের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তারা স্পর্শ করে ১২ বল হাতে রেখে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে- ৪ ও ২ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
গত মাসে শেষ হওয়া এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের সুপার ফোর থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। সুপার ফোরে তিন ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টিতে জিতেছিল টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু করলেও পরের দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪১টি সিরিজ খেলে অষ্টমবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ও সব দল মিলিয়ে চতুর্থবার ৩-০ ব্যবধানে জিতলো তারা। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করা বাকি চারটি সিরিজ ছিল দুই ম্যাচের।
এশিয়া কাপ শেষ হবার পর আরব আমিরাতের শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচই জিতে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। তবে এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর সিরিজ জয়কে অসাধারণ বলছেন অধিনায়ক জাকের। গতকাল রোববার রাতে ম্যাচ শেষে জাকের বলেন, ‘অবশ্যই এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর ছেলেরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা যেভাবে সিরিজ জিতেছে সেটি অসাধারণ।’
বোলার-ব্যাটারদের প্রশংসা করে জাকের বলেন, ‘আমাদের বোলাররা সত্যি ভালো করেছে। তারা ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাটাররাও খুব ভালো করেছে। দলের সবার ভালো পারফরমেন্স করার সামর্থ্য আছে।’ দলের ফিল্ডিং পারফরমেন্সেও খুশি জাকের, ‘আমরা ফিল্ডিং নিয়ে সবচেয়ে বেশি খুশি। জেমস প্যামেন্ট ফিল্ডিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন। আমরা ফিল্ডিংয়ে খুব ভাল করেছি।’
২০১৮ সালে আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর ঐ হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ নিলো টাইগাররা। জাকের বলেন, ‘আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার অনুভূতি দারুণ। কারণ আমরা জানি তাদের ভাল মানের স্পিনার আছে। তাদের স্পিনারদের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সব কৃতিত্ব ছেলেদের। প্রত্যেকেই নিজেদের কাজ ঠিকঠাকভাবে করেছে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। আগামীকাল থেকে আবুধাবিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে দু’দল। একই ভেন্যুতে সিরিজের পরের দুই ম্যাচ হবে যথাক্রমে- ১১ ও ১৪ অক্টোবর।
গত এক-দুই বছর ধরে আমি এভাবেই খেলছি: সাইফ
রান তাড়ায় বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে পথ দেখালেন ছন্দে থাকা সাইফ হাসান। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ১৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন ডানহাতি ব্যাটার সাইফ। তিনে নামা সাইফ ৩২ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বল মোকাবিলায় দুটি চারের সঙ্গে হাঁকান সাতটি ছক্কা। এই সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় রিশাদ হোসেনের সঙ্গে এখন যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি। রেকর্ডটি পারভেজ হোসেন ইমনের দখলে। গত মে মাসে এই মাঠেই আরব আমিরাতের বিপক্ষে নয়টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি।
ম্যাচসেরা হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে দলের অর্জনকে এগিয়ে রাখেন সাইফ, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। এটি আমাদের জন্য দারুণ একটি সিরিজ ছিল। আশা করছি, আমরা এই ধারাটা বজায় রাখতে পারবো।’
এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বশেষ সাত ইনিংসে ২১টি ছক্কা হাঁকানো এই ডানহাতি ব্যাটার নিজের ধরন নিয়ে বলেন, ‘গত এক-দুই বছর ধরে আমি এভাবেই খেলছি। আমি শুধু ব্যাটিংটা উপভোগ করছি, ব্যস এতটুকুই।’
নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় আফগানদের বিপক্ষে তিনে খেলেন সাইফ। পজিশনটির জন্য তৈরি হওয়ার বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পজিশন। আগের টুর্নামেন্টে আমি ওপেনিংয়ে খেলেছিলাম। কিন্তু এই সিরিজের আগে কোচ ফিল সিমন্স আমাকে স্পষ্ট পরিকল্পনা জানিয়ে দেন, আমি তিন নম্বরে ব্যাট করবো। সেই অনুযায়ী আমি প্রস্তুতি নিয়েছি।’
সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন নাসুম আহমেদ। তিনিসহ সতীর্থ বোলারদের পারফরমেন্স মুগ্ধ করেছে ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে, ‘আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত ছিল। এই মাঠটা আকারে একটু ছোট। তবুও তারা প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রেখেছে ভালোভাবে। পিচ আর ফিল্ডিং সাজানো অনুযায়ী বল করেছে। পুরো কৃতিত্বটা তাদেরই প্রাপ্য।’
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ে দলের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলি। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। আফগানদের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তারা স্পর্শ করে ১২ বল হাতে রেখে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে- ৪ ও ২ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
গত মাসে শেষ হওয়া এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের সুপার ফোর থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। সুপার ফোরে তিন ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১টিতে জিতেছিল টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু করলেও পরের দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪১টি সিরিজ খেলে অষ্টমবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। এর মধ্যে তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ও সব দল মিলিয়ে চতুর্থবার ৩-০ ব্যবধানে জিতলো তারা। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করা বাকি চারটি সিরিজ ছিল দুই ম্যাচের।
এশিয়া কাপ শেষ হবার পর আরব আমিরাতের শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচই জিতে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। তবে এশিয়া কাপের ব্যর্থতার পর সিরিজ জয়কে অসাধারণ বলছেন অধিনায়ক জাকের। গতকাল রোববার রাতে ম্যাচ শেষে জাকের বলেন, ‘অবশ্যই এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর ছেলেরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা যেভাবে সিরিজ জিতেছে সেটি অসাধারণ।’
বোলার-ব্যাটারদের প্রশংসা করে জাকের বলেন, ‘আমাদের বোলাররা সত্যি ভালো করেছে। তারা ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাটাররাও খুব ভালো করেছে। দলের সবার ভালো পারফরমেন্স করার সামর্থ্য আছে।’ দলের ফিল্ডিং পারফরমেন্সেও খুশি জাকের, ‘আমরা ফিল্ডিং নিয়ে সবচেয়ে বেশি খুশি। জেমস প্যামেন্ট ফিল্ডিং কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন। আমরা ফিল্ডিংয়ে খুব ভাল করেছি।’
২০১৮ সালে আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর ঐ হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ নিলো টাইগাররা। জাকের বলেন, ‘আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার অনুভূতি দারুণ। কারণ আমরা জানি তাদের ভাল মানের স্পিনার আছে। তাদের স্পিনারদের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সব কৃতিত্ব ছেলেদের। প্রত্যেকেই নিজেদের কাজ ঠিকঠাকভাবে করেছে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। আগামীকাল থেকে আবুধাবিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে দু’দল। একই ভেন্যুতে সিরিজের পরের দুই ম্যাচ হবে যথাক্রমে- ১১ ও ১৪ অক্টোবর।
গত এক-দুই বছর ধরে আমি এভাবেই খেলছি: সাইফ
রান তাড়ায় বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে পথ দেখালেন ছন্দে থাকা সাইফ হাসান। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ১৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন ডানহাতি ব্যাটার সাইফ। তিনে নামা সাইফ ৩২ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বল মোকাবিলায় দুটি চারের সঙ্গে হাঁকান সাতটি ছক্কা। এই সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় রিশাদ হোসেনের সঙ্গে এখন যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি। রেকর্ডটি পারভেজ হোসেন ইমনের দখলে। গত মে মাসে এই মাঠেই আরব আমিরাতের বিপক্ষে নয়টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি।
ম্যাচসেরা হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে দলের অর্জনকে এগিয়ে রাখেন সাইফ, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। এটি আমাদের জন্য দারুণ একটি সিরিজ ছিল। আশা করছি, আমরা এই ধারাটা বজায় রাখতে পারবো।’
এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বশেষ সাত ইনিংসে ২১টি ছক্কা হাঁকানো এই ডানহাতি ব্যাটার নিজের ধরন নিয়ে বলেন, ‘গত এক-দুই বছর ধরে আমি এভাবেই খেলছি। আমি শুধু ব্যাটিংটা উপভোগ করছি, ব্যস এতটুকুই।’
নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় আফগানদের বিপক্ষে তিনে খেলেন সাইফ। পজিশনটির জন্য তৈরি হওয়ার বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পজিশন। আগের টুর্নামেন্টে আমি ওপেনিংয়ে খেলেছিলাম। কিন্তু এই সিরিজের আগে কোচ ফিল সিমন্স আমাকে স্পষ্ট পরিকল্পনা জানিয়ে দেন, আমি তিন নম্বরে ব্যাট করবো। সেই অনুযায়ী আমি প্রস্তুতি নিয়েছি।’
সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন নাসুম আহমেদ। তিনিসহ সতীর্থ বোলারদের পারফরমেন্স মুগ্ধ করেছে ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে, ‘আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত ছিল। এই মাঠটা আকারে একটু ছোট। তবুও তারা প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রেখেছে ভালোভাবে। পিচ আর ফিল্ডিং সাজানো অনুযায়ী বল করেছে। পুরো কৃতিত্বটা তাদেরই প্রাপ্য।’