পুনরায় বিসিবির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওতে পরিচালক পদের নির্বাচনের পর সন্ধ্যার হয় সভাপতি পদের নির্বাচন। নির্বাচিত পরিচালকদের সর্বসম্মতিক্রমে ফের সভাপতি হন আমিনুল ইসলাম। তার বিপক্ষে আর কোনো প্রার্থী ছিলেন না।
বুলবুলের সভাপতি হওয়ার আভাস কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। বিএনপিপন্থি বলয় থেকে তামিম ইকবাল সভাপতি পদে লড়তে চেয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে তার প্যানেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তামিম সরে যাওয়ার পর বুলবুলের পথে আর কোনো বাধা ছিল না। জেলা ও বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেতে কাউন্সিলর বেছে নেয়া হয়, সেটা নিয়ে ছিল বিস্তর বিতর্ক। ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে শীর্ষ অনেক ক্লাব সরে যাওয়ায় সেখানেও বুলবুলের বলয়ের ব্যক্তিরাই ছিলেন। ক্লাব ক্যাটাগরির ১২ জনের পদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ছিলেন ১৭ জন, এর মধ্যে আগের দিন সরে দাঁড়ান আরও তিনজন। ১৪ জনের মধ্যে কোন ১২ জন নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এই ধারণা কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল।
বিকেলে বিসিবি পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ৩টি ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ জন পরিচালক। বাকি দুজন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত।
জেলা ও বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। ঢাকা বিভাগ থেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান আগের দিন সরে যাওয়ায় তাদের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না। বুলবুল ও ফাহিম দুজনেই ১৫টি করে ভোট পেয়েছেন।
বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হওয়া বাকিরা হলেন, মোখলেসুর রহমান (রাজশাহী) ও হাসানুজ্জামান (রংপুর)। এই ক্যাটাগরি থেকে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর (চট্টগ্রাম), আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান (খুলনা), রাহাত শামস (সিলেট) ও শাখাওয়াৎ হোসেন (বরিশাল)।
আলোচিত ক্লাব ক্যাটাগরির নির্বাচনও হয়েছে একপেশে। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থিরা নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় ছিল না কোনো উত্তেজনা। নির্বাচনে ছিলেন ১৪ জন, অনুমিতভাবেই জয়ী হয়েছেন ১২ জন।
এই ক্যাটাগরিতে ৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪২ জন ভোট দিয়েছেন, যাদের ৩৫ জনই সরাসরি না এসে ই-মেইলে ভোট দিয়েছেন। এই ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন- ইশতিয়াক সাদেক (৪২ ভোট), আদনান রহমান দিপন (৪০ ভোট), আবুল বাশার (৪০ ভোট), আমজাদ হোসেন (৪০ ভোট), শাহনিয়ান তানিন (৪২ ভোট), মকসেদুল কামাল (৪১ ভোট), ফয়াজুর রহমান (৪২ ভোট), এম নাজমুল ইসলাম (৩৭ ভোট), বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ (৪২ ভোট), মঞ্জুর আলম (৩৯ ভোট), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১ ভোট) ও ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪ ভোট)।
এছাড়া ক্যাটাগরি ‘সি’ থেকে পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ৪৫ ভোটের মধ্যে ৩৫ ভোট পেয়েছেন তিনি। তিনি হারিয়েছেন দেবব্রত পালকে (৭ ভোট)।
এর বাইরে ক্রীড়া পরিষদ থেকে দুজনকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে। তারা হলেন, ইশফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
পুনরায় বিসিবির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সোমবার,(০৬ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওতে পরিচালক পদের নির্বাচনের পর সন্ধ্যার হয় সভাপতি পদের নির্বাচন। নির্বাচিত পরিচালকদের সর্বসম্মতিক্রমে ফের সভাপতি হন আমিনুল ইসলাম। তার বিপক্ষে আর কোনো প্রার্থী ছিলেন না।
বুলবুলের সভাপতি হওয়ার আভাস কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। বিএনপিপন্থি বলয় থেকে তামিম ইকবাল সভাপতি পদে লড়তে চেয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে তার প্যানেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তামিম সরে যাওয়ার পর বুলবুলের পথে আর কোনো বাধা ছিল না। জেলা ও বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেতে কাউন্সিলর বেছে নেয়া হয়, সেটা নিয়ে ছিল বিস্তর বিতর্ক। ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে শীর্ষ অনেক ক্লাব সরে যাওয়ায় সেখানেও বুলবুলের বলয়ের ব্যক্তিরাই ছিলেন। ক্লাব ক্যাটাগরির ১২ জনের পদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ছিলেন ১৭ জন, এর মধ্যে আগের দিন সরে দাঁড়ান আরও তিনজন। ১৪ জনের মধ্যে কোন ১২ জন নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এই ধারণা কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল।
বিকেলে বিসিবি পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ৩টি ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ জন পরিচালক। বাকি দুজন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত।
জেলা ও বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। ঢাকা বিভাগ থেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান আগের দিন সরে যাওয়ায় তাদের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না। বুলবুল ও ফাহিম দুজনেই ১৫টি করে ভোট পেয়েছেন।
বিভাগীয় ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হওয়া বাকিরা হলেন, মোখলেসুর রহমান (রাজশাহী) ও হাসানুজ্জামান (রংপুর)। এই ক্যাটাগরি থেকে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর (চট্টগ্রাম), আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান (খুলনা), রাহাত শামস (সিলেট) ও শাখাওয়াৎ হোসেন (বরিশাল)।
আলোচিত ক্লাব ক্যাটাগরির নির্বাচনও হয়েছে একপেশে। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপিপন্থিরা নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় ছিল না কোনো উত্তেজনা। নির্বাচনে ছিলেন ১৪ জন, অনুমিতভাবেই জয়ী হয়েছেন ১২ জন।
এই ক্যাটাগরিতে ৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪২ জন ভোট দিয়েছেন, যাদের ৩৫ জনই সরাসরি না এসে ই-মেইলে ভোট দিয়েছেন। এই ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন- ইশতিয়াক সাদেক (৪২ ভোট), আদনান রহমান দিপন (৪০ ভোট), আবুল বাশার (৪০ ভোট), আমজাদ হোসেন (৪০ ভোট), শাহনিয়ান তানিন (৪২ ভোট), মকসেদুল কামাল (৪১ ভোট), ফয়াজুর রহমান (৪২ ভোট), এম নাজমুল ইসলাম (৩৭ ভোট), বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ (৪২ ভোট), মঞ্জুর আলম (৩৯ ভোট), মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১ ভোট) ও ইফতেখার রহমান মিঠু (৩৪ ভোট)।
এছাড়া ক্যাটাগরি ‘সি’ থেকে পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ৪৫ ভোটের মধ্যে ৩৫ ভোট পেয়েছেন তিনি। তিনি হারিয়েছেন দেবব্রত পালকে (৭ ভোট)।
এর বাইরে ক্রীড়া পরিষদ থেকে দুজনকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে। তারা হলেন, ইশফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।