এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ৯ অক্টোবর হংকং চায়নার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে এসে নিজের অভিমত জানিয়ে গেছেন লন্ডন প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। নিজের ওপর যে প্রত্যাশা বেশি, তা জানেন। বাংলাদেশের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে একক নয়, টিম গেম খেলেই ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা ইংলিশ লীগের ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের।
হামজা শুরুতে হংকং ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, ‘কোচ সব বড় সিদ্ধান্ত নেন। কিছু বিষয় নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে। সেখানে আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সহায়তা করি। দল সপ্তাহ খানেক ধরে খুব পরিশ্রম করছে। ইনশাআল্লাহ পরিকল্পনা ঠিক আছে।’
বিগত সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে এখনও হতাশা তার কণ্ঠে, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে সেটা কাজে লাগেনি। বড় মোমেন্টে আমরা নিজেদের হতাশ করেছি। দুই গোল হজম করেছি। রক্ষণে আরও ভালো করলে হয়তো গোল হজম করতাম না। এছাড়া আমরা একটা পেনাল্টি পেতাম। ফুটবল এমনই। মাঝেমধ্যে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কোচ এবং দল একসঙ্গে খুব ভালো কাজ করছে। হংকং ম্যাচ অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। বিশ্বাস করি আমরা অবশ্যই জিতবো। তাই আমাদের পরিকল্পনায় অটল থাকতে হবে।’
নিজেদের দলের ওপর আস্থা রেখে হামজা বলেন, ‘এটা ফুটবল। চলার পথে এখানে চ্যালঞ্জ নিতে হবে। আমরা কোনো অজুহাত দাঁড় করাবো না। ভারত ও সিঙ্গাপুর ম্যাচেও চোট সমস্যা ছিল, শমিত আজ (মঙ্গলবার) আসবে। আমাদের স্কোয়াড খুব ভালো।’
কোচ কাবরেরার সঙ্গে হামজার সম্পর্ক ভালো। তা নিজেই জানান হামজা, ‘ব্যাপারটা ভিন্নভাবে দেখা যায়। কিন্তু আমরা কোচের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখি, বিশেষ করে আমি। আমার সঙ্গে কোচের সম্পর্ক খুব ভালো, আমি মনে করি তিনি খুব বুদ্ধিমান একজন মানুষ। দলটা তরুণ এবং নতুন, তাই সবকিছু একসঙ্গে গাঁথা সহজ নয়।’
মাঠে সব জায়গায় অবদান রাখতে চান হামজা, ‘মিডফিল্ডারের সংজ্ঞাই হলো আক্রমণ ও রক্ষণ দুই জায়গায় অবদান রাখা। তাই ইনশাআল্লাহ, আমি দুটোই ভালোভাবে করতে পারবো। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, তবে আমি বেশ রোমাঞ্চিত, আমি খুব উপভোগ করছি।’
এবারও হামজার সঙ্গে স্ত্রী ও বাচ্চারা এসেছে। তাদের বাংলাদেশে আসার অভিজ্ঞতা ইতিবাচক। নিজের খেলা নিয়ে হামজা বলেন, ‘দিনের শেষে ফুটবল একটা দলগত খেলা। আমি মনে করি, যদি মেসি নিজেও বাংলাদেশের হয়ে খেলতেন, তবু আমাদের ট্যাকটিকস ঠিক করা এবং টিম স্পিরিট গড়ে তোলার মতো চ্যালেঞ্জ থাকতোই।
আবার বাংলাদেশ দলে লিওনেল মেসি খেললেও সব সমস্যার সমাধান রাতারাতি হয়ে যাবে না বলেও মনে করেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
তাই ফুটবল কখনো একজনের খেলা নয়। বিশেষ করে আমাকে কেন্দ্র করে তো নয়ই।’
আরও যোগ করেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেভাবে একটা জাতি হিসেবে আছি, সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকা। ইনশাআল্লাহ, আমরা একসঙ্গে থাকলে একটা দেশ হিসেবে সফল হতে পারবো।’
গত মাসে নেপালে দুটি প্রীতি হামজার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে হামজা বলেন, ‘আমি দুঃখিত। নেপালে আমি আসিনি, কারণ আমার গোড়ালিতে একটু চোট ছিল। আগের দিন রাতে বার্মিংহামের বিপক্ষে খেলেছিলাম, তবে তার আগেও মৌসুমের শুরু হওয়ায় আমার পায়ে কিছুটা ব্যথা ও টান ছিল।’
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ৯ অক্টোবর হংকং চায়নার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার,(০৭ অক্টোবর ২০২৫) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে এসে নিজের অভিমত জানিয়ে গেছেন লন্ডন প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। নিজের ওপর যে প্রত্যাশা বেশি, তা জানেন। বাংলাদেশের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে একক নয়, টিম গেম খেলেই ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা ইংলিশ লীগের ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের।
হামজা শুরুতে হংকং ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, ‘কোচ সব বড় সিদ্ধান্ত নেন। কিছু বিষয় নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে। সেখানে আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সহায়তা করি। দল সপ্তাহ খানেক ধরে খুব পরিশ্রম করছে। ইনশাআল্লাহ পরিকল্পনা ঠিক আছে।’
বিগত সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে এখনও হতাশা তার কণ্ঠে, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে সেটা কাজে লাগেনি। বড় মোমেন্টে আমরা নিজেদের হতাশ করেছি। দুই গোল হজম করেছি। রক্ষণে আরও ভালো করলে হয়তো গোল হজম করতাম না। এছাড়া আমরা একটা পেনাল্টি পেতাম। ফুটবল এমনই। মাঝেমধ্যে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কোচ এবং দল একসঙ্গে খুব ভালো কাজ করছে। হংকং ম্যাচ অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। বিশ্বাস করি আমরা অবশ্যই জিতবো। তাই আমাদের পরিকল্পনায় অটল থাকতে হবে।’
নিজেদের দলের ওপর আস্থা রেখে হামজা বলেন, ‘এটা ফুটবল। চলার পথে এখানে চ্যালঞ্জ নিতে হবে। আমরা কোনো অজুহাত দাঁড় করাবো না। ভারত ও সিঙ্গাপুর ম্যাচেও চোট সমস্যা ছিল, শমিত আজ (মঙ্গলবার) আসবে। আমাদের স্কোয়াড খুব ভালো।’
কোচ কাবরেরার সঙ্গে হামজার সম্পর্ক ভালো। তা নিজেই জানান হামজা, ‘ব্যাপারটা ভিন্নভাবে দেখা যায়। কিন্তু আমরা কোচের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখি, বিশেষ করে আমি। আমার সঙ্গে কোচের সম্পর্ক খুব ভালো, আমি মনে করি তিনি খুব বুদ্ধিমান একজন মানুষ। দলটা তরুণ এবং নতুন, তাই সবকিছু একসঙ্গে গাঁথা সহজ নয়।’
মাঠে সব জায়গায় অবদান রাখতে চান হামজা, ‘মিডফিল্ডারের সংজ্ঞাই হলো আক্রমণ ও রক্ষণ দুই জায়গায় অবদান রাখা। তাই ইনশাআল্লাহ, আমি দুটোই ভালোভাবে করতে পারবো। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, তবে আমি বেশ রোমাঞ্চিত, আমি খুব উপভোগ করছি।’
এবারও হামজার সঙ্গে স্ত্রী ও বাচ্চারা এসেছে। তাদের বাংলাদেশে আসার অভিজ্ঞতা ইতিবাচক। নিজের খেলা নিয়ে হামজা বলেন, ‘দিনের শেষে ফুটবল একটা দলগত খেলা। আমি মনে করি, যদি মেসি নিজেও বাংলাদেশের হয়ে খেলতেন, তবু আমাদের ট্যাকটিকস ঠিক করা এবং টিম স্পিরিট গড়ে তোলার মতো চ্যালেঞ্জ থাকতোই।
আবার বাংলাদেশ দলে লিওনেল মেসি খেললেও সব সমস্যার সমাধান রাতারাতি হয়ে যাবে না বলেও মনে করেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
তাই ফুটবল কখনো একজনের খেলা নয়। বিশেষ করে আমাকে কেন্দ্র করে তো নয়ই।’
আরও যোগ করেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেভাবে একটা জাতি হিসেবে আছি, সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকা। ইনশাআল্লাহ, আমরা একসঙ্গে থাকলে একটা দেশ হিসেবে সফল হতে পারবো।’
গত মাসে নেপালে দুটি প্রীতি হামজার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে হামজা বলেন, ‘আমি দুঃখিত। নেপালে আমি আসিনি, কারণ আমার গোড়ালিতে একটু চোট ছিল। আগের দিন রাতে বার্মিংহামের বিপক্ষে খেলেছিলাম, তবে তার আগেও মৌসুমের শুরু হওয়ায় আমার পায়ে কিছুটা ব্যথা ও টান ছিল।’