এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দারুণ লড়াই করেও হংকং, চায়নার সঙ্গে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দিকে যখন চার প্রবাসী ফুটবলার মাঠে নামেন তখন আশাটা জোরালো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরও একটি হতাশাজনক পরাজয় সঙ্গী হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
যখন আমরা-শমিত, ফাহামেদুল, জায়ান আর আমি একসঙ্গে ওয়ার্মআপ করছিলাম, তখনই বলেছিলাম আমাদের ম্যাচের গতি বদলে দিতে হবে। আমরা চারজনই ম্যাচে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পেরেছি। আমরা সবাই চাই দলটার হয়ে শুরু থেকেই খেলতে। আমার মনে হয়, আমরা সামগ্রিকভাবে ভালোই খেলেছি
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের পরাজয়ে হতাশ খেলোয়াড় ও ভক্ত-সমর্থকরা। তারপরও আশায় বুক বেঁধেছেন দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামা চারজন খেলোয়াড়- অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, শমিত সোম, ফাহামেদুল ইসলাম ও জায়ান আহমেদকে দেখে। তাদের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচের গতিপথই বদলে দিয়েছিল এক পর্যায়ে।
আগামী ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) দেশ ছাড়া ম্যাচের পর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান জামাল। তিনি চান এই চারজনই যেন পরবর্তী ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পান। তার মতে, এই খেলোয়াড়দের মাঠে উপস্থিতি দলের পারফরম্যান্সে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
জামাল বলেন, ‘যখন আমরা-শমিত, ফাহামেদুল, জায়ান আর আমি একসঙ্গে ওয়ার্মআপ করছিলাম, তখনই বলেছিলাম আমাদের ম্যাচের গতি বদলে দিতে হবে। আমরা চারজনই ম্যাচে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পেরেছি। আমরা সবাই চাই দলটার হয়ে শুরু থেকেই খেলতে। আমার মনে হয়, আমরা সামগ্রিকভাবে ভালোই খেলেছি।’
তবে এই চারজনের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা শুরুতে তাদের একাদশে রাখেননি। প্রথমার্ধে লিড হারানোর পর, তিনি বাধ্য হন দ্বিতীয়ার্ধে একে একে তাদের মাঠে নামাতে। এরপর তাদের উপস্থিতিতে ম্যাচে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসে। শমিত এক গোল করেন, আর জামাল ও ফাহামেদুল দু’জনই গোল করাতে সহায়তা করেন।
ম্যাচ পরবর্তী বিশ্লেষণে জামাল স্পষ্টভাবে জানান, তাকে শুরুর একাদশে না রাখাটা কোচের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তার মন্তব্যে ছিল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আক্ষেপও, ‘আমি বলব, যখন আমি খেলি না, সেটি ভুল সিদ্ধান্ত। আমি সব ম্যাচ খেলতে চাই। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা কোচের। কিন্তু আমি খেলতে চাই, এটা বলবই।’
শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে জামাল দলের মনোযোগের ঘাটতিকে দায়ী করেন, ‘এই দলের একটা ইতিহাস আছে, আমরা শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে যাই। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিলাম, পুরো ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। আমি সংবাদ সম্মেলনেও বলেছিলাম, ম্যাচ জিততে হলে শতভাগ মনোযোগ রাখতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা ধরে রাখতে পারিনি।’
তবুও হতাশার ভেতরেও আশার আলো দেখছেন এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার। তার বিশ্বাস, পরবর্তী তিনটি ম্যাচে টানা জয় তুলে নেয়া সম্ভব এবং সেখান থেকেই বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের জটিলতা কাটিয়ে ওঠতে পারবে। ‘আমাদের সামনে এখনও তিনটা ম্যাচ আছে। আমাদের সবগুলোই জিততে হবে, এক পয়েন্টও হারানো চলবে না,’ বলেন জামাল।
হংকংয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইতিবাচক কিছু করতে চান জামাল। সমর্থকদের ধন্যবাদ। তিনি বলেন, ‘তাদের তিন পয়েন্ট দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। আরও তিন পয়েন্ট... ইনশাআল্লাহ আমরা কিছু দিতে পারবো।’
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে এখন শীর্ষে হংকং। ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৭ পয়েন্ট তাদের। ৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ ড্রতে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সিঙ্গাপুর। ভারত ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। ৩ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ।
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দারুণ লড়াই করেও হংকং, চায়নার সঙ্গে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দিকে যখন চার প্রবাসী ফুটবলার মাঠে নামেন তখন আশাটা জোরালো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরও একটি হতাশাজনক পরাজয় সঙ্গী হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
যখন আমরা-শমিত, ফাহামেদুল, জায়ান আর আমি একসঙ্গে ওয়ার্মআপ করছিলাম, তখনই বলেছিলাম আমাদের ম্যাচের গতি বদলে দিতে হবে। আমরা চারজনই ম্যাচে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পেরেছি। আমরা সবাই চাই দলটার হয়ে শুরু থেকেই খেলতে। আমার মনে হয়, আমরা সামগ্রিকভাবে ভালোই খেলেছি
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের পরাজয়ে হতাশ খেলোয়াড় ও ভক্ত-সমর্থকরা। তারপরও আশায় বুক বেঁধেছেন দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামা চারজন খেলোয়াড়- অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, শমিত সোম, ফাহামেদুল ইসলাম ও জায়ান আহমেদকে দেখে। তাদের প্রাণবন্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচের গতিপথই বদলে দিয়েছিল এক পর্যায়ে।
আগামী ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) দেশ ছাড়া ম্যাচের পর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান জামাল। তিনি চান এই চারজনই যেন পরবর্তী ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পান। তার মতে, এই খেলোয়াড়দের মাঠে উপস্থিতি দলের পারফরম্যান্সে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
জামাল বলেন, ‘যখন আমরা-শমিত, ফাহামেদুল, জায়ান আর আমি একসঙ্গে ওয়ার্মআপ করছিলাম, তখনই বলেছিলাম আমাদের ম্যাচের গতি বদলে দিতে হবে। আমরা চারজনই ম্যাচে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পেরেছি। আমরা সবাই চাই দলটার হয়ে শুরু থেকেই খেলতে। আমার মনে হয়, আমরা সামগ্রিকভাবে ভালোই খেলেছি।’
তবে এই চারজনের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা শুরুতে তাদের একাদশে রাখেননি। প্রথমার্ধে লিড হারানোর পর, তিনি বাধ্য হন দ্বিতীয়ার্ধে একে একে তাদের মাঠে নামাতে। এরপর তাদের উপস্থিতিতে ম্যাচে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসে। শমিত এক গোল করেন, আর জামাল ও ফাহামেদুল দু’জনই গোল করাতে সহায়তা করেন।
ম্যাচ পরবর্তী বিশ্লেষণে জামাল স্পষ্টভাবে জানান, তাকে শুরুর একাদশে না রাখাটা কোচের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তার মন্তব্যে ছিল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আক্ষেপও, ‘আমি বলব, যখন আমি খেলি না, সেটি ভুল সিদ্ধান্ত। আমি সব ম্যাচ খেলতে চাই। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা কোচের। কিন্তু আমি খেলতে চাই, এটা বলবই।’
শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে জামাল দলের মনোযোগের ঘাটতিকে দায়ী করেন, ‘এই দলের একটা ইতিহাস আছে, আমরা শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে যাই। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিলাম, পুরো ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। আমি সংবাদ সম্মেলনেও বলেছিলাম, ম্যাচ জিততে হলে শতভাগ মনোযোগ রাখতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা ধরে রাখতে পারিনি।’
তবুও হতাশার ভেতরেও আশার আলো দেখছেন এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার। তার বিশ্বাস, পরবর্তী তিনটি ম্যাচে টানা জয় তুলে নেয়া সম্ভব এবং সেখান থেকেই বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের জটিলতা কাটিয়ে ওঠতে পারবে। ‘আমাদের সামনে এখনও তিনটা ম্যাচ আছে। আমাদের সবগুলোই জিততে হবে, এক পয়েন্টও হারানো চলবে না,’ বলেন জামাল।
হংকংয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইতিবাচক কিছু করতে চান জামাল। সমর্থকদের ধন্যবাদ। তিনি বলেন, ‘তাদের তিন পয়েন্ট দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। আরও তিন পয়েন্ট... ইনশাআল্লাহ আমরা কিছু দিতে পারবো।’
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপের টেবিলে এখন শীর্ষে হংকং। ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৭ পয়েন্ট তাদের। ৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ ড্রতে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সিঙ্গাপুর। ভারত ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। ৩ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ।