স্কোর সংক্ষিপ্ত: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২১৩/৭; ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ২১৩/৯ সুপার ওভার: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ ওভারে ১০/১; বাংলাদেশ: ১ ওভারে ৯/১
১৪ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রিশাদ
শ্বাসরুদ্ধকর দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের নির্ধারিত ১শ’ ওভারে খেলায় দু’দলের স্কোর সমান হওয়ার পর সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারে মোস্তাফিজের বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১০/১ রানের জবাবে বাংলাদেশ সৌম্যর উইকেট হারিয়ে তোলে ৯ রান আকিল হোসেনের বলে।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারে বাংলাদেশের করা ২১৩/৭ রানের জবাবে সফরকারী দল ৯ উইকেট হারিয়ে করে ২১৩। ম্যাচের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য দরকার ৫ রান। বাংলাদেশের দরকার ১ উইকেট।
সাইফের দুর্দান্ত ওভারে ম্যাচ টাই হয়। মাত্র ৫ রান প্রয়োজন, ম্যাচে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুর্দান্ত ওভারে বাংলাদেশকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিলেন সাইফ হাসান।
প্রথম দুটি বল ডট খেলান সাইফ। পরের দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান আকিল হোসেন। এক ছক্কায় তিনি ১৬ বলে করেন ১৭ রান। শেষ বলে আকাশে তুলে দিয়ে ২ রান নেন খ্যারি পিয়ের। ছুটে গিয়ে গ্লাভসে নিয়েও জমাতে পারেননি কিপার সোহান। শেষ সময়ে ফস্কে যায় বল। নুরুল হাসান ক্যাচ ধরতে না পারায় ম্যাচে হলো টাই।
সব সংস্করণ মিলিয়ে এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম টাই।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান করে টাইগাররা। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে ক্রিজে গিয়ে ১৪ বল খেলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। দলের হয়ে সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ ৪৫ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অনবদ্য ৩২ রান করেন।
উদ্বোধনী জুটিতে সাইফ ও সৌম্য ২২ রান তুলে। ১টি ছক্কায় ৬ রান করেন সাইফ। দ্বিতীয় উইকেটে সাবধানে খেলে ৩৬ বলে ১৯ রান যোগ করেন সৌম্য ও হৃদয়। ১১তম ওভারে সৌম্য-হৃদয়ের জুটি ভাঙেন স্পিনার মোতি। ২ চারে ১২ রান করেন হৃদয়।
দলীয় ৪১ রানে হৃদয় ফেরার পর নাজমুল শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সৌম্য। বড় জুটির ইঙ্গিত দিয়েও বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। ৪১ বলে ২৭ রান যোগ হবার পর আউট হন শান্ত। ২টি বাউন্ডারিতে ১৫ রান করে স্পিনার অ্যালিক আথানাজের শিকার হন তিনি।
নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেই ক্যাচ দিয়ে জীবন পান আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া মাহিদুল অঙ্কন। শূন্যতে জীবন পেয়েও ২টি চারে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি অঙ্কন। তার বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরেন এক প্রান্ত আগলে রাখা সৌম্য। আকিলকে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে পাইরিকে ক্যাচ দেন তিনি।
৮৯ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৩৩ রানে ক্যাচ দিয়ে জীবনও পেয়েছিলেন তিনি।
১০৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। উইকেট পতন ঠেকিয়ে পরপর দুই জুটিতে ৬০ রান পায় টাইগাররা। ষষ্ঠ উইকেটে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ২৫ এবং সপ্তম উইকেটে নুরুল হাসানের সাথে ৩৫ রান যোগ করেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।
নাসুম ১৪ ও নুরুল ২৩ রানে আউট হলে ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। এ অবস্থায় বাংলাদেশের ২শ’ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিন্তু ইনিংসের শেষ ২ ওভারে ব্যাট হাতে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন আগের ম্যাচের হিরো- রিশাদ হোসেন। মোতির করা ৪৯তম ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ১৮ এবং আকিলের শেষ ওভারে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৬ রান তুলেন রিশাদ। তার ১৪ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৪৭তম ওভারে ক্রিজে আসা রিশাদের ৩টি করে চার-ছক্কায় সাজানো ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৮.৫৭।
১টি চারে ৫৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোতি ৩টি, আকিল ও আথানাজে ২টি করে উইকেট নেন।
স্কোর সংক্ষিপ্ত: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২১৩/৭; ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ২১৩/৯ সুপার ওভার: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ ওভারে ১০/১; বাংলাদেশ: ১ ওভারে ৯/১
১৪ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রিশাদ
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
শ্বাসরুদ্ধকর দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের নির্ধারিত ১শ’ ওভারে খেলায় দু’দলের স্কোর সমান হওয়ার পর সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারে মোস্তাফিজের বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১০/১ রানের জবাবে বাংলাদেশ সৌম্যর উইকেট হারিয়ে তোলে ৯ রান আকিল হোসেনের বলে।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারে বাংলাদেশের করা ২১৩/৭ রানের জবাবে সফরকারী দল ৯ উইকেট হারিয়ে করে ২১৩। ম্যাচের শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য দরকার ৫ রান। বাংলাদেশের দরকার ১ উইকেট।
সাইফের দুর্দান্ত ওভারে ম্যাচ টাই হয়। মাত্র ৫ রান প্রয়োজন, ম্যাচে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুর্দান্ত ওভারে বাংলাদেশকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিলেন সাইফ হাসান।
প্রথম দুটি বল ডট খেলান সাইফ। পরের দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান আকিল হোসেন। এক ছক্কায় তিনি ১৬ বলে করেন ১৭ রান। শেষ বলে আকাশে তুলে দিয়ে ২ রান নেন খ্যারি পিয়ের। ছুটে গিয়ে গ্লাভসে নিয়েও জমাতে পারেননি কিপার সোহান। শেষ সময়ে ফস্কে যায় বল। নুরুল হাসান ক্যাচ ধরতে না পারায় ম্যাচে হলো টাই।
সব সংস্করণ মিলিয়ে এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম টাই।
মঙ্গলবার,(২১ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান করে টাইগাররা। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে ক্রিজে গিয়ে ১৪ বল খেলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। দলের হয়ে সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ ৪৫ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অনবদ্য ৩২ রান করেন।
উদ্বোধনী জুটিতে সাইফ ও সৌম্য ২২ রান তুলে। ১টি ছক্কায় ৬ রান করেন সাইফ। দ্বিতীয় উইকেটে সাবধানে খেলে ৩৬ বলে ১৯ রান যোগ করেন সৌম্য ও হৃদয়। ১১তম ওভারে সৌম্য-হৃদয়ের জুটি ভাঙেন স্পিনার মোতি। ২ চারে ১২ রান করেন হৃদয়।
দলীয় ৪১ রানে হৃদয় ফেরার পর নাজমুল শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সৌম্য। বড় জুটির ইঙ্গিত দিয়েও বেশি দূর যেতে পারেননি তারা। ৪১ বলে ২৭ রান যোগ হবার পর আউট হন শান্ত। ২টি বাউন্ডারিতে ১৫ রান করে স্পিনার অ্যালিক আথানাজের শিকার হন তিনি।
নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেই ক্যাচ দিয়ে জীবন পান আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া মাহিদুল অঙ্কন। শূন্যতে জীবন পেয়েও ২টি চারে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি অঙ্কন। তার বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরেন এক প্রান্ত আগলে রাখা সৌম্য। আকিলকে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে পাইরিকে ক্যাচ দেন তিনি।
৮৯ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন সৌম্য। ৩৩ রানে ক্যাচ দিয়ে জীবনও পেয়েছিলেন তিনি।
১০৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। উইকেট পতন ঠেকিয়ে পরপর দুই জুটিতে ৬০ রান পায় টাইগাররা। ষষ্ঠ উইকেটে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ২৫ এবং সপ্তম উইকেটে নুরুল হাসানের সাথে ৩৫ রান যোগ করেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।
নাসুম ১৪ ও নুরুল ২৩ রানে আউট হলে ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। এ অবস্থায় বাংলাদেশের ২শ’ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিন্তু ইনিংসের শেষ ২ ওভারে ব্যাট হাতে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন আগের ম্যাচের হিরো- রিশাদ হোসেন। মোতির করা ৪৯তম ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ১৮ এবং আকিলের শেষ ওভারে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৬ রান তুলেন রিশাদ। তার ১৪ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৪৭তম ওভারে ক্রিজে আসা রিশাদের ৩টি করে চার-ছক্কায় সাজানো ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৮.৫৭।
১টি চারে ৫৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোতি ৩টি, আকিল ও আথানাজে ২টি করে উইকেট নেন।