রাবাদা ক্যারিয়ারসেরা ৭১ করেন
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শক্ত অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেনুরান মুথুসামি ও কাগিসো রাবাদার লড়াকু ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ৭১ রানের লিড পেয়েছে সফরকারী দল। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩৩৩ রানে জবাবে প্রোটিয়ারা থেমেছে ৪০৪ রানে । ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুথুসামি। রাবাদা খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ৭১ রানের ইনিংস।
শেষ দুই উইকেটে যোগ হয়েছে মূল্যবান ১৬৯ রান। রাবাদা-মুথুসামি যোগ করেন ৯৮।
অভিজ্ঞ পাকিস্তানি স্পিনার আসিফ আফ্রিদি ইনিংস শেষ করেন চা-বিরতির ঠিক আগে। ততক্ষণে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে ৪০৪ রান।
৩৮ বছর বয়সী আসিফ ৭৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এখন টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট পাওয়া সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার।
তারপর বল হাতে বিকেলের সেশন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিক দল। যার পেছনে অবদান সিমোন হার্মারের। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তারপর অবশ্য ইনিংসে প্রতিরোধ গড়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৬) ও বাবর আজম (৪৯)। তাদের ব্যাটে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেছে। তাদের লিড এখন ২৩ রানের।
এর আগে ৪ উইকেটে ১৮৫ রানে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা সকালে আরও ১০০ রান যোগ করে। উইকেটে টার্ন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আসিফ চতুর্থ বলেই কাইল ভেরেইনকে (১০) উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে ফেরান। এরপর ত্রিস্টান স্টাবস প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা লড়াই করেন। কিন্তু আসিফের বলে এল.বি.ডাব্লিউ. হয়ে ফেরেন ৭৬ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ১ ছক্কা।
আসিফ এরপর সিমোন হার্মারকে (২) এল.বি.ডাব্লিউ. করে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। নোমান আলী মার্কো ইয়ানসেনকে (১২) একইভাবে ফেরান। এ পর্যায়ে স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ২৩৫। তখন প্রোটিয়াদের অল্পতে গুটিয়ে ভালো লিড পাওয়ার আশায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু মুথুসামি, রাবাদা পুরো দৃশ্যপটই বদলে দিয়েছেন। তার পর মুথুসামি পাকিস্তানি স্পিন আক্রমণের সামনে দারুণ দৃঢ়তা দেখান। নবম উইকেটে কেশব মহারাজের (৩০) সঙ্গে যোগ করেন ৭১ রান। আর শেষ উইকেটে রাবাদার সঙ্গে জুটি বাঁধেন ৯৮ রানের। রাবাদা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪ ছক্কা ও ৪ চার মেরে তার আগের সেরা (৪৭ রান) ইনিংসকেও ছাড়িয়ে যান।
রাবাদা ক্যারিয়ারসেরা ৭১ করেন
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শক্ত অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেনুরান মুথুসামি ও কাগিসো রাবাদার লড়াকু ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ৭১ রানের লিড পেয়েছে সফরকারী দল। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩৩৩ রানে জবাবে প্রোটিয়ারা থেমেছে ৪০৪ রানে । ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুথুসামি। রাবাদা খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ৭১ রানের ইনিংস।
শেষ দুই উইকেটে যোগ হয়েছে মূল্যবান ১৬৯ রান। রাবাদা-মুথুসামি যোগ করেন ৯৮।
অভিজ্ঞ পাকিস্তানি স্পিনার আসিফ আফ্রিদি ইনিংস শেষ করেন চা-বিরতির ঠিক আগে। ততক্ষণে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে ৪০৪ রান।
৩৮ বছর বয়সী আসিফ ৭৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এখন টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট পাওয়া সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার।
তারপর বল হাতে বিকেলের সেশন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিক দল। যার পেছনে অবদান সিমোন হার্মারের। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তারপর অবশ্য ইনিংসে প্রতিরোধ গড়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৬) ও বাবর আজম (৪৯)। তাদের ব্যাটে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেছে। তাদের লিড এখন ২৩ রানের।
এর আগে ৪ উইকেটে ১৮৫ রানে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা সকালে আরও ১০০ রান যোগ করে। উইকেটে টার্ন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আসিফ চতুর্থ বলেই কাইল ভেরেইনকে (১০) উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে ফেরান। এরপর ত্রিস্টান স্টাবস প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা লড়াই করেন। কিন্তু আসিফের বলে এল.বি.ডাব্লিউ. হয়ে ফেরেন ৭৬ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ১ ছক্কা।
আসিফ এরপর সিমোন হার্মারকে (২) এল.বি.ডাব্লিউ. করে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। নোমান আলী মার্কো ইয়ানসেনকে (১২) একইভাবে ফেরান। এ পর্যায়ে স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ২৩৫। তখন প্রোটিয়াদের অল্পতে গুটিয়ে ভালো লিড পাওয়ার আশায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু মুথুসামি, রাবাদা পুরো দৃশ্যপটই বদলে দিয়েছেন। তার পর মুথুসামি পাকিস্তানি স্পিন আক্রমণের সামনে দারুণ দৃঢ়তা দেখান। নবম উইকেটে কেশব মহারাজের (৩০) সঙ্গে যোগ করেন ৭১ রান। আর শেষ উইকেটে রাবাদার সঙ্গে জুটি বাঁধেন ৯৮ রানের। রাবাদা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪ ছক্কা ও ৪ চার মেরে তার আগের সেরা (৪৭ রান) ইনিংসকেও ছাড়িয়ে যান।