দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের নায়ক আকিলকে নিয়ে উইন্ডিজ খেলোয়াড়দের উল্লাস
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে বৃহস্পতিবার। প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানে বড় জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াই করে ক্যারিবিয়ান দল ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে শাসরুদ্ধকর জয় তুলে নেয় ১ রানে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কালো উইকেটে মেহদী মিরাজের দল ২১৩/৭ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক পর্যায়ে ১৩৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়েও শাই হোপের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ টাই করে। অধিরায়ক শাই হোপ পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। নবম ব্যাটার হিসেবে আকিল আউট হন ১৬ রান করে। দলের স্কোর তখন ২১১/৯। জয়ের জন্য তিন রানের প্রয়োজনে সাইফের শেষ বলে দুই রান নিতে পারে পিয়েরে।
সুপার ওভারে মোস্তাফিজের একমাত্র ওভারে সফরকারীরা ১০ রান তুলে। জয়ের জন্য ১১ করতে নেমে স্পিনার আকিল হোসেনর বলে সৌম্য-সাইফ-শান্ত মিলে ১০ রান তুলতে পারে। এর মধ্যে দুটি ছিল ওয়াইড ও একটি নো বল। নিজেদের মাঠ ও দর্শকের সামনে টাইগারদের এমন ব্যর্থতায় হতাশ ক্রিকেট প্রেমীরা।
তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ থাকায় বৃহস্পতিবার দু পক্ষের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।
আগের ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে রোমাঞ্চকর জয়ে সাভাবিক ভাবে উজ্জীবিত লাড়াইয়ে নামবে শাই হোপের দল। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১.৩০ মিনিটে। ম্যাচটি মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আকিল খোলামেলাভাবে বলেন, ‘হ্যাঁ, একটু অবাক হয়েছিলাম। ম্যাচে যিনি সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন, তাকে সুপার ওভারে না পাঠানো অবাক করার মতোই। ওর দিকে ছোট দিকটা ছিল, যেখানে দুইটা ছক্কা মেরেছিল। আমরাও সবাই অবাক হয়েছিলাম যে ওকে নামানো হলো না।’
তবে বাংলাদেশ যে ভুলটা করেছে, সেটাই ক্যারিবিয়ানদের হয়ে গেছে আশীর্বাদ, এ কথাও অকপটে স্বীকার করেন আকিল। তার ভাষায়, ‘শেষ পর্যন্ত এটা আমাদের পক্ষেই গেল। ওদের মধ্যে রিশাদই ছিল একমাত্র যার শক্তি ও রিচ দুটোই আছে, ও লম্বাও বটে। কিন্তু তারা ওকে পাঠায়নি, বেঁচে গেছি।’
আকিল আরও বলেন, মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের সাহায্য থাকলেও সেটি সহজ ছিল না, ‘সত্যি বলতে, এই উইকেট স্পিনারদের অনেক সাহায্য করছে, কিন্তু তবুও এটা সহজ নয়।
কারণ এখানে ভুলের পরিসর খুব ছোট। বল বেশি ঘুরলে সেটা ব্যাট বা স্টাম্প থেকে অনেক দূরে চলে যায়। আবার একটু শর্ট বল করলে ব্যাটার বসে কাট বা পুল করে ফেলতে পারে।’
‘দিনের শেষে আমরা সবাই ভালো ক্রিকেট দেখতে চাই। আমি যেমন বোলার, তেমনি ব্যাটারও। তাই আমাদের একটাই চাওয়া- ভালো, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট,’ যোগ করেন এ স্পিনার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টা ছিল একেবারে ব্যস্ততায় ঠাসা। তিনি গত সোমবার ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে মাঝরাতে পৌঁছান ঢাকায়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ে নামতে হয় তাকে।
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্য সবকিছুর সংমিশ্রণ। তবে সেখানে ছিল না পেস বোলিংয়ের কোনো অস্তিত্ব। স্পিন সহায়ক পিচে মূল লড়াই টাই হওয়ার পর আকিল কেবল সুপার ওভারে ক্যারিবিয়ানদের ১ রানের জয় নিশ্চিত করেই থেমে যাননি, ম্যাচের শেষে সংবাদ সম্মেলনে কিছু মজার মন্তব্যও করেছেন।
সুপার ওভারে দুটি ওয়াইড ও একটি নো বল করেন আকিল। তা সত্ত্বেও ১১ রানের লক্ষ্য মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ বলে ৩ রানের চাহিদায় সাইফ হাসান নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। অন্য দুই ব্যাটার সৌম্য সরকার আর নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি সুবিধা করতে।
ভীষণ ব্যস্ত একটি দিন কাটানো সম্পর্কে আকিল বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমার শরীরে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। ভোর ৪টায় হোটেলে পৌঁছেছি। কিন্তু এটা আমার কাজের অংশ এবং যখন আপনি কোনো কিছুতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন, তখন শতভাগ দিতে হবে। কোনো অজুহাত নেই। যদিও সুপার ওভারে আমি প্রায় তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলাম, তবে সৌভাগ্যক্রমে দলকে শেষ পর্যন্ত জিতিয়েছি।’
সিরিজজুড়ে শেরেবাংলার কালো মাটির উইকেট আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এমন পিচে অনুমিতভাবে চলছে স্পিনারদের আধিপত্য। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আকিল বলেন, ‘টিভি চালুর পর প্রথমেই তো পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করেছিলাম। মনে হচ্ছিল, টিভিতে সমস্যা হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম, টিভির রঙ চলে গেছে বা কিছু একটা হয়েছে। পরে বুঝেছি, পিচই আসলে কালো ছিল। এটা বিস্ময়কর ছিল।’
তিনি যোগ করেন, ‘তবে আমার মাথায় এসব ভাবনা ছিল না যে আমি কেন প্রথম ম্যাচে দলে নেই। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচকরা ও যারা দায়িত্বে আছেন, তাদেরই কাজ সিদ্ধান্ত নেয়া। আমি শুধু প্রতিটি ম্যাচ উপভোগ করতে ও সর্বোচ্চ পারফর্ম করতে চাই।’
উইকেট নিয়ে পর্যবেক্ষণ জানতে চাওয়া হলে আকিল ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, এমন পিচ ভালো ক্রিকেটের উপযোগী নয়, ‘দেখুন, আজই আমরা রেকর্ড ভেঙেছি।
ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভার স্পিন বোলিং হয়েছে। বলুন তো, বিশ্বের আর কোথায় এমন দেখেছেন? দারুণ ম্যাচ, উত্তেজনাপূর্ণ আর শ্বাসরুদ্ধকর ছিল। তবে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলবো না।’
সবমিলিয়ে আকিল ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪১ রানে নেন ২ উইকেট। পরে দশ নম্বরে নেমে ১৭ বলে ১৬ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। আর শেষে সুপার ওভারে অতিরিক্ত ৪ রান দেয়ার পরও ১০ রান ঠেকিয়ে তিনিই তো নায়ক!
সংবাদ সম্মেলনে আকিল জানান, এর আগে দ্যা হান্ড্রেডে এমন চাপের সময়ে দলকে বাঁচানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। এবার জাতীয় দলের জার্সিতেও তাই ভালো করা কিছুটা সহজ হয়েছে তার।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের নায়ক আকিলকে নিয়ে উইন্ডিজ খেলোয়াড়দের উল্লাস
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে বৃহস্পতিবার। প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানে বড় জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াই করে ক্যারিবিয়ান দল ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে শাসরুদ্ধকর জয় তুলে নেয় ১ রানে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কালো উইকেটে মেহদী মিরাজের দল ২১৩/৭ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক পর্যায়ে ১৩৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়েও শাই হোপের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ টাই করে। অধিরায়ক শাই হোপ পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। নবম ব্যাটার হিসেবে আকিল আউট হন ১৬ রান করে। দলের স্কোর তখন ২১১/৯। জয়ের জন্য তিন রানের প্রয়োজনে সাইফের শেষ বলে দুই রান নিতে পারে পিয়েরে।
সুপার ওভারে মোস্তাফিজের একমাত্র ওভারে সফরকারীরা ১০ রান তুলে। জয়ের জন্য ১১ করতে নেমে স্পিনার আকিল হোসেনর বলে সৌম্য-সাইফ-শান্ত মিলে ১০ রান তুলতে পারে। এর মধ্যে দুটি ছিল ওয়াইড ও একটি নো বল। নিজেদের মাঠ ও দর্শকের সামনে টাইগারদের এমন ব্যর্থতায় হতাশ ক্রিকেট প্রেমীরা।
তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ থাকায় বৃহস্পতিবার দু পক্ষের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।
আগের ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে রোমাঞ্চকর জয়ে সাভাবিক ভাবে উজ্জীবিত লাড়াইয়ে নামবে শাই হোপের দল। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১.৩০ মিনিটে। ম্যাচটি মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আকিল খোলামেলাভাবে বলেন, ‘হ্যাঁ, একটু অবাক হয়েছিলাম। ম্যাচে যিনি সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন, তাকে সুপার ওভারে না পাঠানো অবাক করার মতোই। ওর দিকে ছোট দিকটা ছিল, যেখানে দুইটা ছক্কা মেরেছিল। আমরাও সবাই অবাক হয়েছিলাম যে ওকে নামানো হলো না।’
তবে বাংলাদেশ যে ভুলটা করেছে, সেটাই ক্যারিবিয়ানদের হয়ে গেছে আশীর্বাদ, এ কথাও অকপটে স্বীকার করেন আকিল। তার ভাষায়, ‘শেষ পর্যন্ত এটা আমাদের পক্ষেই গেল। ওদের মধ্যে রিশাদই ছিল একমাত্র যার শক্তি ও রিচ দুটোই আছে, ও লম্বাও বটে। কিন্তু তারা ওকে পাঠায়নি, বেঁচে গেছি।’
আকিল আরও বলেন, মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের সাহায্য থাকলেও সেটি সহজ ছিল না, ‘সত্যি বলতে, এই উইকেট স্পিনারদের অনেক সাহায্য করছে, কিন্তু তবুও এটা সহজ নয়।
কারণ এখানে ভুলের পরিসর খুব ছোট। বল বেশি ঘুরলে সেটা ব্যাট বা স্টাম্প থেকে অনেক দূরে চলে যায়। আবার একটু শর্ট বল করলে ব্যাটার বসে কাট বা পুল করে ফেলতে পারে।’
‘দিনের শেষে আমরা সবাই ভালো ক্রিকেট দেখতে চাই। আমি যেমন বোলার, তেমনি ব্যাটারও। তাই আমাদের একটাই চাওয়া- ভালো, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট,’ যোগ করেন এ স্পিনার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টা ছিল একেবারে ব্যস্ততায় ঠাসা। তিনি গত সোমবার ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে মাঝরাতে পৌঁছান ঢাকায়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ে নামতে হয় তাকে।
দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্য সবকিছুর সংমিশ্রণ। তবে সেখানে ছিল না পেস বোলিংয়ের কোনো অস্তিত্ব। স্পিন সহায়ক পিচে মূল লড়াই টাই হওয়ার পর আকিল কেবল সুপার ওভারে ক্যারিবিয়ানদের ১ রানের জয় নিশ্চিত করেই থেমে যাননি, ম্যাচের শেষে সংবাদ সম্মেলনে কিছু মজার মন্তব্যও করেছেন।
সুপার ওভারে দুটি ওয়াইড ও একটি নো বল করেন আকিল। তা সত্ত্বেও ১১ রানের লক্ষ্য মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ বলে ৩ রানের চাহিদায় সাইফ হাসান নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। অন্য দুই ব্যাটার সৌম্য সরকার আর নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি সুবিধা করতে।
ভীষণ ব্যস্ত একটি দিন কাটানো সম্পর্কে আকিল বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমার শরীরে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। ভোর ৪টায় হোটেলে পৌঁছেছি। কিন্তু এটা আমার কাজের অংশ এবং যখন আপনি কোনো কিছুতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন, তখন শতভাগ দিতে হবে। কোনো অজুহাত নেই। যদিও সুপার ওভারে আমি প্রায় তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলাম, তবে সৌভাগ্যক্রমে দলকে শেষ পর্যন্ত জিতিয়েছি।’
সিরিজজুড়ে শেরেবাংলার কালো মাটির উইকেট আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এমন পিচে অনুমিতভাবে চলছে স্পিনারদের আধিপত্য। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আকিল বলেন, ‘টিভি চালুর পর প্রথমেই তো পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করেছিলাম। মনে হচ্ছিল, টিভিতে সমস্যা হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম, টিভির রঙ চলে গেছে বা কিছু একটা হয়েছে। পরে বুঝেছি, পিচই আসলে কালো ছিল। এটা বিস্ময়কর ছিল।’
তিনি যোগ করেন, ‘তবে আমার মাথায় এসব ভাবনা ছিল না যে আমি কেন প্রথম ম্যাচে দলে নেই। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচকরা ও যারা দায়িত্বে আছেন, তাদেরই কাজ সিদ্ধান্ত নেয়া। আমি শুধু প্রতিটি ম্যাচ উপভোগ করতে ও সর্বোচ্চ পারফর্ম করতে চাই।’
উইকেট নিয়ে পর্যবেক্ষণ জানতে চাওয়া হলে আকিল ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, এমন পিচ ভালো ক্রিকেটের উপযোগী নয়, ‘দেখুন, আজই আমরা রেকর্ড ভেঙেছি।
ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভার স্পিন বোলিং হয়েছে। বলুন তো, বিশ্বের আর কোথায় এমন দেখেছেন? দারুণ ম্যাচ, উত্তেজনাপূর্ণ আর শ্বাসরুদ্ধকর ছিল। তবে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলবো না।’
সবমিলিয়ে আকিল ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪১ রানে নেন ২ উইকেট। পরে দশ নম্বরে নেমে ১৭ বলে ১৬ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। আর শেষে সুপার ওভারে অতিরিক্ত ৪ রান দেয়ার পরও ১০ রান ঠেকিয়ে তিনিই তো নায়ক!
সংবাদ সম্মেলনে আকিল জানান, এর আগে দ্যা হান্ড্রেডে এমন চাপের সময়ে দলকে বাঁচানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। এবার জাতীয় দলের জার্সিতেও তাই ভালো করা কিছুটা সহজ হয়েছে তার।