দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট উদযাপন
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে ৮ উইকেটের জয় তুলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের মাটিতে ১৮ বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০০৭ সালে করাচিতে ১৬০ রানের জয় পেয়েছিল দলটি। এশিয়ার দেশটিতে ১১ টেস্ট খেলে এটি তাদের তৃতীয় জয়, হেরেছে চারটিতে, বাকি চারটি ড্র। চলমান সিরিজের প্রথম টেস্ট ৯৩ রানে জিতেছিল পাকিস্তান।
টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৪ উইকেটে ৯৪ রান করেছিল স্বাগতিক দল।
চতুর্থ দিন বাকি ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪৪ রান যোগ করে ১৩৮ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ৬৮ রানের টার্গেট পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪৯ রান নিয়ে দিন শুরু করে ৫০ রানে আউট হন বাবর। ১৮ রানে থামেন আগের দিন ১৬ রানে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই দুই উইকেটই শিকার করেন স্পিনার সাইমন হার্মার।
১০৫ রানের মধ্যে বাবর-রিজওয়ান ফেরার পর লোয়ার অর্ডারে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। সালমান আগা ২৮ ও সাজিদ খান ১৩ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হার্মার ৫০ রানে ৬ উইকেট নেন। ১২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন হার্মার।
৬৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬৪ রানের সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২তম ওভারে প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামকে (৪২) শিকার করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন স্পিনার নোমান আলি। একই ওভারে ট্রিস্টান স্টাবসকে শূন্য রানে ফিরান নোমান। এরপর বাকি ৩ রান সহজেই তুলে নেন রায়ান রিকেলটন ও টনি ডি জর্জি। রিকেলটন ২৫ ও জর্জি শূন্য নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম ইনিংসে ৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। ১০৬ রানের সাথে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার সেনুরান মুথুসামি।
এ সিরিজ শেষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২ ম্যাচ করে খেলে সমান ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে টেবিলের চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর দু’দল তিনটি করে টি-২০ এবং ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টি-২০ ম্যাচ আগামী ২৮ অক্টোবর।
স্কোর: পাকিস্তান ৩৩৩ ও ১৩৮; দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০৪ ও ৭৩/২।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা
৮ উইকেটে জয়ী।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট উদযাপন
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে ৮ উইকেটের জয় তুলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের মাটিতে ১৮ বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০০৭ সালে করাচিতে ১৬০ রানের জয় পেয়েছিল দলটি। এশিয়ার দেশটিতে ১১ টেস্ট খেলে এটি তাদের তৃতীয় জয়, হেরেছে চারটিতে, বাকি চারটি ড্র। চলমান সিরিজের প্রথম টেস্ট ৯৩ রানে জিতেছিল পাকিস্তান।
টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৪ উইকেটে ৯৪ রান করেছিল স্বাগতিক দল।
চতুর্থ দিন বাকি ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪৪ রান যোগ করে ১৩৮ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে ৬৮ রানের টার্গেট পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
৪৯ রান নিয়ে দিন শুরু করে ৫০ রানে আউট হন বাবর। ১৮ রানে থামেন আগের দিন ১৬ রানে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই দুই উইকেটই শিকার করেন স্পিনার সাইমন হার্মার।
১০৫ রানের মধ্যে বাবর-রিজওয়ান ফেরার পর লোয়ার অর্ডারে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। সালমান আগা ২৮ ও সাজিদ খান ১৩ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হার্মার ৫০ রানে ৬ উইকেট নেন। ১২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন হার্মার।
৬৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬৪ রানের সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২তম ওভারে প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামকে (৪২) শিকার করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন স্পিনার নোমান আলি। একই ওভারে ট্রিস্টান স্টাবসকে শূন্য রানে ফিরান নোমান। এরপর বাকি ৩ রান সহজেই তুলে নেন রায়ান রিকেলটন ও টনি ডি জর্জি। রিকেলটন ২৫ ও জর্জি শূন্য নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম ইনিংসে ৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। ১০৬ রানের সাথে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার সেনুরান মুথুসামি।
এ সিরিজ শেষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২ ম্যাচ করে খেলে সমান ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে টেবিলের চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর দু’দল তিনটি করে টি-২০ এবং ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টি-২০ ম্যাচ আগামী ২৮ অক্টোবর।
স্কোর: পাকিস্তান ৩৩৩ ও ১৩৮; দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০৪ ও ৭৩/২।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা
৮ উইকেটে জয়ী।