শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কালো মাটির টার্নিং উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট আঙিনায় সমালোচনার শেষ নেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি পারফরম্যান্সের ঘাটতির জন্য নিজের দলের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে অকপটেই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব আর নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিলেন স্যামি।
‘বাংলাদেশে এলে সবারই জানা যে, স্পিনারদের চোখ চকচক করবে, তারা জানে যে সহায়ক কন্ডিশনে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সুযোগ থাকবে। গত তিনটি ম্যাচে আমরা যা দেখিয়েছি, তা ছিল খুবই বাজে, যথেষ্ট ধারাবাহিক নয়। তিন ম্যাচেই আমরা বাংলাদেশকে বাড়তি রান করতে দিয়েছি। এটা ছিল ওভারপ্রতি সাড়ে তিন রানের উইকেট। কিন্তু আমরা প্রতি ম্যাচেই ওদেরকে ওভারপ্রতি চার রান করে করতে দিয়েছি।’
‘ব্যাট হাতেও যখন চ্যালেঞ্জ এসেছে, আমরা নুইয়ে পড়েছি। সব মিলিয়ে আমরা খুবই হতাশ। বাংলাদেশ সত্যিই ভালো খেলেছে, তাদেরকে কুর্নিশ। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে তাদের স্কিলের জবাব দিতে পারিনি আমরা। জয় তাদেরই প্রাপ্য।’
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এখন তাদের সব নজর ২০২৭ আসরে সরাসরি জায়গা করে নেয়ায়। সেই যোগ্যতা অর্জনের জন্য ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ র্যাংকিংয়ে থাকতে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই এই লড়াইয়ের মধ্যেই আছে। কিন্তু এই সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে সেই দৌড়ে আগামীর সিরিজের জন্য যদিও ঝুঁকির কারণ ক্যারিবিয়দের।
‘ব্যাপারটা মানসিকতার। এই সিরিজটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই দলই জানতো উইকেটে কোন ঝুঁকি আছে। আমরা সেই মানসিকতা দেখাতে পারিনি। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের বোঝানো হয়েছিল, এই ম্যাচটা শুধু একটা সিরিজ নয়, এটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা। কিন্তু ব্যাটাররা সাহস দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের ব্যাটাররা শুরু থেকেই পজিটিভ ছিল, পাওয়ারপ্লেতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। আমরা জবাব দিতে দেরি করেছি। বল হাতে ধারাবাহিকতা ছিল না, ব্যাটে প্রতিরোধও ছিল না।’
‘হ্যাঁ, উইকেটটা আমাদের কাছে নতুন ছিল। কিন্তু এমন তো নয় যে, এক দল এই উইকেটে খেললো, আরেক দল অন্যটায়। সবাই একই অবস্থায় খেলে। সেখানেই বোঝা যায়, কে মানিয়ে নিতে পারে, কে পারে না। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সেই মানিয়ে নেয়ার জায়গায় আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। প্রথম দুই ম্যাচেই তারা বুঝে খেলেছে, কখন গতি বাড়াতে হবে। শেষ ১০ ওভারে যেভাবে তারা স্কোর তুলেছে, সেটাই পার্থক্য তৈরি করেছে। তাদের স্পিনাররা দুর্দান্ত বল করেছে, সবসময় সঠিক জায়গায়। উইকেটটা ওরা বুঝেছে আমাদের চেয়ে অনেক ভালোভাবে।’
উইন্ডিজ টি-২০ দলে আরও এক স্পিনার
টি-টোয়েন্টি সিরিজে চট্টগ্রামের উইকেট নিশ্চিতভাবেই ঢাকার মতো এতটা স্পিন সহায়ক হবে না। তবে সেখানেও স্পিনারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলেই ধরে নিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টির জন্যও আরও একজন স্পিনার দলে যোগ করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
চোটের কারণে ছিটকে পড়া পেসার শামার জোসেফের পরিবর্তে কোনো পেসারকে নেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বরং বদলী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার খ্যারি পিয়ের। তাকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে বাঁহাতি স্পিনার থাকছে তিনজন। আকিল হোসেন ও গুডাকেশ মোটি আছেন আগে থেকেই।
আকিল যদিও শুরুতে ওয়ানডে দলে ছিলেন না। পরে চোট পাওয়া দুই পেসার শামার জোসেফ ও জেডিয়াহ ব্লেডসের বদলে পেসার র্যামন সিমন্ডস ও স্পিনার আকিলকে যোগ করা হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কালো মাটির টার্নিং উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট আঙিনায় সমালোচনার শেষ নেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি পারফরম্যান্সের ঘাটতির জন্য নিজের দলের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে অকপটেই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব আর নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিলেন স্যামি।
‘বাংলাদেশে এলে সবারই জানা যে, স্পিনারদের চোখ চকচক করবে, তারা জানে যে সহায়ক কন্ডিশনে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সুযোগ থাকবে। গত তিনটি ম্যাচে আমরা যা দেখিয়েছি, তা ছিল খুবই বাজে, যথেষ্ট ধারাবাহিক নয়। তিন ম্যাচেই আমরা বাংলাদেশকে বাড়তি রান করতে দিয়েছি। এটা ছিল ওভারপ্রতি সাড়ে তিন রানের উইকেট। কিন্তু আমরা প্রতি ম্যাচেই ওদেরকে ওভারপ্রতি চার রান করে করতে দিয়েছি।’
‘ব্যাট হাতেও যখন চ্যালেঞ্জ এসেছে, আমরা নুইয়ে পড়েছি। সব মিলিয়ে আমরা খুবই হতাশ। বাংলাদেশ সত্যিই ভালো খেলেছে, তাদেরকে কুর্নিশ। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে তাদের স্কিলের জবাব দিতে পারিনি আমরা। জয় তাদেরই প্রাপ্য।’
২০২৩ সালের বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এখন তাদের সব নজর ২০২৭ আসরে সরাসরি জায়গা করে নেয়ায়। সেই যোগ্যতা অর্জনের জন্য ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ র্যাংকিংয়ে থাকতে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই এই লড়াইয়ের মধ্যেই আছে। কিন্তু এই সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে সেই দৌড়ে আগামীর সিরিজের জন্য যদিও ঝুঁকির কারণ ক্যারিবিয়দের।
‘ব্যাপারটা মানসিকতার। এই সিরিজটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই দলই জানতো উইকেটে কোন ঝুঁকি আছে। আমরা সেই মানসিকতা দেখাতে পারিনি। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের বোঝানো হয়েছিল, এই ম্যাচটা শুধু একটা সিরিজ নয়, এটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা। কিন্তু ব্যাটাররা সাহস দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের ব্যাটাররা শুরু থেকেই পজিটিভ ছিল, পাওয়ারপ্লেতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। আমরা জবাব দিতে দেরি করেছি। বল হাতে ধারাবাহিকতা ছিল না, ব্যাটে প্রতিরোধও ছিল না।’
‘হ্যাঁ, উইকেটটা আমাদের কাছে নতুন ছিল। কিন্তু এমন তো নয় যে, এক দল এই উইকেটে খেললো, আরেক দল অন্যটায়। সবাই একই অবস্থায় খেলে। সেখানেই বোঝা যায়, কে মানিয়ে নিতে পারে, কে পারে না। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সেই মানিয়ে নেয়ার জায়গায় আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। প্রথম দুই ম্যাচেই তারা বুঝে খেলেছে, কখন গতি বাড়াতে হবে। শেষ ১০ ওভারে যেভাবে তারা স্কোর তুলেছে, সেটাই পার্থক্য তৈরি করেছে। তাদের স্পিনাররা দুর্দান্ত বল করেছে, সবসময় সঠিক জায়গায়। উইকেটটা ওরা বুঝেছে আমাদের চেয়ে অনেক ভালোভাবে।’
উইন্ডিজ টি-২০ দলে আরও এক স্পিনার
টি-টোয়েন্টি সিরিজে চট্টগ্রামের উইকেট নিশ্চিতভাবেই ঢাকার মতো এতটা স্পিন সহায়ক হবে না। তবে সেখানেও স্পিনারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলেই ধরে নিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টির জন্যও আরও একজন স্পিনার দলে যোগ করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
চোটের কারণে ছিটকে পড়া পেসার শামার জোসেফের পরিবর্তে কোনো পেসারকে নেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বরং বদলী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার খ্যারি পিয়ের। তাকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে বাঁহাতি স্পিনার থাকছে তিনজন। আকিল হোসেন ও গুডাকেশ মোটি আছেন আগে থেকেই।
আকিল যদিও শুরুতে ওয়ানডে দলে ছিলেন না। পরে চোট পাওয়া দুই পেসার শামার জোসেফ ও জেডিয়াহ ব্লেডসের বদলে পেসার র্যামন সিমন্ডস ও স্পিনার আকিলকে যোগ করা হয়।