হাসান মুরাদের উইকেটের সফল আবেদন
নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরিতে জাতীয় ক্রিকেট লীগে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হাতে নিয়ে ৮৭ রানে এগিয়ে রংপুর বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ঢাকার ২২১ রানের জবাবে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৬৫ রান করেছিল রংপুর। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৬ রানে পিছিয়ে ছিল তারা।
সিলেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে দ্বিতীয় দিন নাঈমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে লিড নেয় রংপুর। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ৩৪তম সেঞ্চুরির দেখা পান নাইম।
শেষ পর্যন্ত ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তার ২২১ বলের ইনিংসে ১৬টি চার ছিল।
১৪৬ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর তানভীর হায়দারের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে লিড এনে দেন নাইম। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তানভীর। এছাড়া রংপুরের হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৭, আবু হাসিম ২৮ ও আলাউদ্দিন বাবু ২১ রান করেন। ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিপন মন্ডল। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল ও তাইবুর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
আরিফুল-রনির সেঞ্চুরি
প্রথম দিন মিডল অর্ডার ব্যাটার আরিফুল ইসলামের পর জাতীয় ক্রিকেট লীগের দ্বিতীয় দিন সিলেট বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগের আবু হায়দার রনি। দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে সব উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান করে ময়মনসিংহ।
জবাবে বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলামের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৯৮ রান করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ২০৩ রানে পিছিয়ে সিলেট।
সিলেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করেছিল ময়মনসিংহ বিভাগ। আরিফুল ১০১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। দিন শেষে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন রনি। রোববার, (২৬ অক্টোবর ২০২৫) প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রনি। অষ্টম উইকেটে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ৭৬ রান যোগ করেন রনি। শহিদুল ৩৩ রানে আউট হলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রনি। ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০৫ বলে অপরাজিত ১০৭ রান করেন রনি।
সিলেটের হয়ে খালেদ ও গালিব ৩টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানের সূচনা করে সিলেট বিভাগ। অধিনায়ক জাকির হাসানকে ৩৮ রানে আউট করেন স্পিনার রাকিবুল। অন্য ওপেনার সৈকত আলি ৫৩ রানে আহত অবসর নেন।
দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রান আসায় ১ উইকেটে ১৪০ রানে পৌঁছে যায় সিলেট। এরপর রাকিবুলের ঘূর্ণিতে পড়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষে চাপে পড়ে সিলেট।
৬৮ রানে ৫ উইকেট নেন রাকিবুল।
আফিফের হ্যাটট্রিক
জাতীয় ক্রিকেট লীগের ২৭তম আসরে প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন খুলনা বিভাগের স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার হ্যাটট্রিকে প্রথম ইনিংসে খুলনার ৩১৩ রানের জবাবে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে বরিশাল। ১৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ৪ উইকেটে ১১৯ রান করেছে বরিশাল। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৮ রানে পিছিয়ে বরিশাল।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করেছিল খুলনা বিভাগ। বাকি ১ উইকেটে মাত্র ১ রান যোগ করে ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। রুয়েল মিয়া ও মইন খান ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে আফিফের স্পিন ঘূর্ণিতে ১২৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বরিশাল। এসময় ৩ উইকেট নেন আফিফ। তবে ৩ উইকেট নিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। ৪২তম ওভারের প্রথম তিন বলে বরিশালের শামসুল ইসলাম অনিককে ২, ইয়াসিন আরাফাত মিশুকে এবং রুয়েল মিয়াকে খালি হাতে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আফিফ। তিন ব্যাটারকেই এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১০.৫ ওভার বল করে ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন আফিফ। ২০১৮ সালে রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার হয়ে ৬৭ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন আফিফ।
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল ১১৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় । নাহিদুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।
৩৩৮ রানে এগিয়ে চট্টগ্রাম
রাজশাহী, প্রতিনিধি জানান, বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ৪ দিনের ম্যাচের ২য় দিনে সফরর চিটাগাং বিভাগ ৩৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে। রাজশাহী ব্যাট করতে নেমে ১ম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৯৬ রান। সাব্বির হোসেন ৫৭, সাব্বির রহমান ৫৪ ও তাইজুল ইসলাম ৪১ রান করে। চিটাগং এর পক্ষে হাসান মুরাদ ৩৯ রানে ৬টি ও মাহমুদুল হাসান ৮ রানে ২টি উইকেট নেন। ২য় ইনিংশে চিটাগং বিভাগ ব্যাট করতে নেমে ৩০ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেসে সংগ্রহ করে ১৩৩ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ মাহমুদুল হাসান ৫১, ইয়াসির আল রাব্বি ২৬ ও ইরফান সুকুর ১৮ রানে অপরাজিত থাকে। রাজশাহী বিভাগের পক্ষে সফিকুল ইসলাম ৩৫ রানে ৩টি ও তাইজুল ইসলাম ৫৯ রানে ১টি উইকেট নেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
হাসান মুরাদের উইকেটের সফল আবেদন
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরিতে জাতীয় ক্রিকেট লীগে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হাতে নিয়ে ৮৭ রানে এগিয়ে রংপুর বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ঢাকার ২২১ রানের জবাবে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৬৫ রান করেছিল রংপুর। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৬ রানে পিছিয়ে ছিল তারা।
সিলেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে দ্বিতীয় দিন নাঈমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে লিড নেয় রংপুর। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ৩৪তম সেঞ্চুরির দেখা পান নাইম।
শেষ পর্যন্ত ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তার ২২১ বলের ইনিংসে ১৬টি চার ছিল।
১৪৬ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর তানভীর হায়দারের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে লিড এনে দেন নাইম। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তানভীর। এছাড়া রংপুরের হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩৭, আবু হাসিম ২৮ ও আলাউদ্দিন বাবু ২১ রান করেন। ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিপন মন্ডল। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল ও তাইবুর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
আরিফুল-রনির সেঞ্চুরি
প্রথম দিন মিডল অর্ডার ব্যাটার আরিফুল ইসলামের পর জাতীয় ক্রিকেট লীগের দ্বিতীয় দিন সিলেট বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগের আবু হায়দার রনি। দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে সব উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান করে ময়মনসিংহ।
জবাবে বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলামের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৯৮ রান করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ২০৩ রানে পিছিয়ে সিলেট।
সিলেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করেছিল ময়মনসিংহ বিভাগ। আরিফুল ১০১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। দিন শেষে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন রনি। রোববার, (২৬ অক্টোবর ২০২৫) প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রনি। অষ্টম উইকেটে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ৭৬ রান যোগ করেন রনি। শহিদুল ৩৩ রানে আউট হলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রনি। ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০৫ বলে অপরাজিত ১০৭ রান করেন রনি।
সিলেটের হয়ে খালেদ ও গালিব ৩টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানের সূচনা করে সিলেট বিভাগ। অধিনায়ক জাকির হাসানকে ৩৮ রানে আউট করেন স্পিনার রাকিবুল। অন্য ওপেনার সৈকত আলি ৫৩ রানে আহত অবসর নেন।
দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রান আসায় ১ উইকেটে ১৪০ রানে পৌঁছে যায় সিলেট। এরপর রাকিবুলের ঘূর্ণিতে পড়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষে চাপে পড়ে সিলেট।
৬৮ রানে ৫ উইকেট নেন রাকিবুল।
আফিফের হ্যাটট্রিক
জাতীয় ক্রিকেট লীগের ২৭তম আসরে প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন খুলনা বিভাগের স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার হ্যাটট্রিকে প্রথম ইনিংসে খুলনার ৩১৩ রানের জবাবে ১২৬ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে বরিশাল। ১৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ৪ উইকেটে ১১৯ রান করেছে বরিশাল। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৮ রানে পিছিয়ে বরিশাল।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১২ রান করেছিল খুলনা বিভাগ। বাকি ১ উইকেটে মাত্র ১ রান যোগ করে ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। রুয়েল মিয়া ও মইন খান ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে আফিফের স্পিন ঘূর্ণিতে ১২৫ রানে ৭ উইকেট হারায় বরিশাল। এসময় ৩ উইকেট নেন আফিফ। তবে ৩ উইকেট নিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। ৪২তম ওভারের প্রথম তিন বলে বরিশালের শামসুল ইসলাম অনিককে ২, ইয়াসিন আরাফাত মিশুকে এবং রুয়েল মিয়াকে খালি হাতে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আফিফ। তিন ব্যাটারকেই এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১০.৫ ওভার বল করে ৩১ রানে ৬ উইকেট নেন আফিফ। ২০১৮ সালে রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার হয়ে ৬৭ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন আফিফ।
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল ১১৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় । নাহিদুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।
৩৩৮ রানে এগিয়ে চট্টগ্রাম
রাজশাহী, প্রতিনিধি জানান, বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ৪ দিনের ম্যাচের ২য় দিনে সফরর চিটাগাং বিভাগ ৩৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে। রাজশাহী ব্যাট করতে নেমে ১ম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৯৬ রান। সাব্বির হোসেন ৫৭, সাব্বির রহমান ৫৪ ও তাইজুল ইসলাম ৪১ রান করে। চিটাগং এর পক্ষে হাসান মুরাদ ৩৯ রানে ৬টি ও মাহমুদুল হাসান ৮ রানে ২টি উইকেট নেন। ২য় ইনিংশে চিটাগং বিভাগ ব্যাট করতে নেমে ৩০ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেসে সংগ্রহ করে ১৩৩ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ মাহমুদুল হাসান ৫১, ইয়াসির আল রাব্বি ২৬ ও ইরফান সুকুর ১৮ রানে অপরাজিত থাকে। রাজশাহী বিভাগের পক্ষে সফিকুল ইসলাম ৩৫ রানে ৩টি ও তাইজুল ইসলাম ৫৯ রানে ১টি উইকেট নেন।