দ্বীপজেলা ভোলার ক্রীড়াপ্রেমীদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান ধরে রাখা গজনবী স্টেডিয়াম এখন নতুন রূপে সেজেছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আর বিশাল অবকাঠামোর সমন্বয়ে এটি এখন ভোলার ক্রীড়াপ্রেমীদের তীর্থস্থানে পরিণত হচ্ছে।
প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ, ইনডোর ও সুইমিং পুল নির্মাণ, প্রকল্পের আওতায় স্টেডিয়ামটি এখন ১৬ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার গ্যালারি আর বিশেষ ভিআইপি গ্যালারি নিয়ে সেজে উঠেছে।
এটি শুধু একটি ক্রীড়া মঞ্চ-ই নয়, বরং এ দ্বীপ জেলার ক্রীড়াপ্রেমীদের স্বপ্নের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৬২ সালে প্রস্তাবিত এ স্টেডিয়ামের নির্মাণ শেষ হয় ১৯৯২-৯৩ সালে। জেলা তথা জাতীয় অঙ্গনের একসময়কার কৃতি ফুটবলার এস এম গজনবীর নামে নামকরণ করা এ স্টেডিয়াম এখন আধুনিকীকরণের মাধ্যমে নতুন যুগে পা রাখার অপেক্ষায়।
প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ, ইনডোর স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় স্টেডিয়ামটি এখন ১৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার গ্যালারি আর ৩০০ জনের বিশেষ ভিআইপি গ্যালারি নিয়ে সেজে উঠেছে। নতুন মূলভবনে রয়েছে- অফিস কক্ষ, আধুনিক ড্রেসিং রুম, খেলোয়াড়দের আবাসন, ডাইনিং ও কনফারেন্স রুম। এছাড়া তৈরি হয়েছে নেট প্র্যাকটিস এরিয়া, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং একটি অত্যাধুনিক ইনডোর স্টেডিয়াম।
নিরাপত্তা ও দর্শকদের সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে ১২টি প্রশস্ত গেট। চারপাশের সৌন্দর্যবর্ধন এবং সুবিন্যস্ত অবকাঠামো এ স্টেডিয়ামকে ভোলাবাসীর গর্বে পরিণত করেছে।
গজনবী স্টেডিয়াম এখন শুধু ভোলার ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণকেন্দ্র নয়, এটি ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আয়োজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমনটাই মনে করেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা।
এ স্টেডিয়ামে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করেন সিয়াম, সাদী ও তালহা। তারা বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত গজনবী স্টেডিয়ামে আধুনিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে সজ্জিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। ক্রিকেট প্র্যাক্টিস করতে আমাদের আর বিড়ম্বনা পোহাতে হবেনা। তারা বলেন, এখানে এখন জাতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষকরা অনায়াসেই জেলার তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে আসবেন।
ভোলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও গজনবী স্টেডিয়ামের আধুনিকায়নে দারুণ খুশী। তারা বলছেন, তাদের ছেলেমেয়েরা আধুনিক এই স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আগের থেকে সহজে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
ভোলা জেলা ক্রীড়া সাংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন বলেন, স্টেডিয়ামটির আধুনিকায়নের ফলে ভোলা তথা দক্ষিণাঞ্চলের খেলোয়াড়রা স্বাচ্ছন্দ্যে এখানে যে কোনো লীগ খেলার আয়োজন করতে পারবেন। জাতীয় পর্যায়ের যে কোন ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাগুলো গজনবী স্টেডিয়ামে অনায়াসেই আয়োজন করা যাবে।
ভোলা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, একটি স্টেডিয়াম ও প্রশস্ত মাঠের অভাবে ভোলার ফুটবল খেলাগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ স্থবির হয়ে ছিল। অনেকদিন পর হলেও গজনবী স্টেডিয়ামটি আধুনিকীকরণ হওয়াতে সেই প্রতিবন্ধকতা আর থাকল না।
ভোলা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. সাফায়েত হোসাইন জানান, আধুনিক এ স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করতে কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, স্টেডিয়ামটি নির্মাণের ফলে পিছিয়ে পড়া ভোলাবাসীর ক্রীড়াঙ্গন আবার পুনরুজ্জীবিত হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
দ্বীপজেলা ভোলার ক্রীড়াপ্রেমীদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান ধরে রাখা গজনবী স্টেডিয়াম এখন নতুন রূপে সেজেছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আর বিশাল অবকাঠামোর সমন্বয়ে এটি এখন ভোলার ক্রীড়াপ্রেমীদের তীর্থস্থানে পরিণত হচ্ছে।
প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ, ইনডোর ও সুইমিং পুল নির্মাণ, প্রকল্পের আওতায় স্টেডিয়ামটি এখন ১৬ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার গ্যালারি আর বিশেষ ভিআইপি গ্যালারি নিয়ে সেজে উঠেছে।
এটি শুধু একটি ক্রীড়া মঞ্চ-ই নয়, বরং এ দ্বীপ জেলার ক্রীড়াপ্রেমীদের স্বপ্নের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৬২ সালে প্রস্তাবিত এ স্টেডিয়ামের নির্মাণ শেষ হয় ১৯৯২-৯৩ সালে। জেলা তথা জাতীয় অঙ্গনের একসময়কার কৃতি ফুটবলার এস এম গজনবীর নামে নামকরণ করা এ স্টেডিয়াম এখন আধুনিকীকরণের মাধ্যমে নতুন যুগে পা রাখার অপেক্ষায়।
প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ, ইনডোর স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় স্টেডিয়ামটি এখন ১৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার গ্যালারি আর ৩০০ জনের বিশেষ ভিআইপি গ্যালারি নিয়ে সেজে উঠেছে। নতুন মূলভবনে রয়েছে- অফিস কক্ষ, আধুনিক ড্রেসিং রুম, খেলোয়াড়দের আবাসন, ডাইনিং ও কনফারেন্স রুম। এছাড়া তৈরি হয়েছে নেট প্র্যাকটিস এরিয়া, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং একটি অত্যাধুনিক ইনডোর স্টেডিয়াম।
নিরাপত্তা ও দর্শকদের সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে ১২টি প্রশস্ত গেট। চারপাশের সৌন্দর্যবর্ধন এবং সুবিন্যস্ত অবকাঠামো এ স্টেডিয়ামকে ভোলাবাসীর গর্বে পরিণত করেছে।
গজনবী স্টেডিয়াম এখন শুধু ভোলার ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণকেন্দ্র নয়, এটি ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আয়োজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমনটাই মনে করেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা।
এ স্টেডিয়ামে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করেন সিয়াম, সাদী ও তালহা। তারা বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত গজনবী স্টেডিয়ামে আধুনিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে সজ্জিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। ক্রিকেট প্র্যাক্টিস করতে আমাদের আর বিড়ম্বনা পোহাতে হবেনা। তারা বলেন, এখানে এখন জাতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষকরা অনায়াসেই জেলার তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে আসবেন।
ভোলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও গজনবী স্টেডিয়ামের আধুনিকায়নে দারুণ খুশী। তারা বলছেন, তাদের ছেলেমেয়েরা আধুনিক এই স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আগের থেকে সহজে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
ভোলা জেলা ক্রীড়া সাংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন বলেন, স্টেডিয়ামটির আধুনিকায়নের ফলে ভোলা তথা দক্ষিণাঞ্চলের খেলোয়াড়রা স্বাচ্ছন্দ্যে এখানে যে কোনো লীগ খেলার আয়োজন করতে পারবেন। জাতীয় পর্যায়ের যে কোন ক্রিকেট ও ফুটবল খেলাগুলো গজনবী স্টেডিয়ামে অনায়াসেই আয়োজন করা যাবে।
ভোলা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, একটি স্টেডিয়াম ও প্রশস্ত মাঠের অভাবে ভোলার ফুটবল খেলাগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ স্থবির হয়ে ছিল। অনেকদিন পর হলেও গজনবী স্টেডিয়ামটি আধুনিকীকরণ হওয়াতে সেই প্রতিবন্ধকতা আর থাকল না।
ভোলা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. সাফায়েত হোসাইন জানান, আধুনিক এ স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করতে কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, স্টেডিয়ামটি নির্মাণের ফলে পিছিয়ে পড়া ভোলাবাসীর ক্রীড়াঙ্গন আবার পুনরুজ্জীবিত হবে।