কেন্দ্রীয় চুক্তিতে খেলোয়াড় কমেছে
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ফাইল ছবি
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জন্য এলো বড় সুখবর। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া অঙ্গনে মেয়েদের ক্রমবর্ধমান সাফল্য ও পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে বেতন কাঠামো পুনর্নিধারণ করেছে বিসিবি।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটারদের বেতন ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ভাতাও বেড়েছে।
মাসিক সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৬০ হাজার,
সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকা,
সিরিজ চলাকালে দৈনিক ভাতা ৭৫ ডলার, সফরে দৈনিক ৫০ ডলার করা হয়েছে
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন গতকাল সোমবার সভা পরবর্তী জানান, ‘নারী ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা ৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ ডলার করা হয়েছে। সফর ভাতাও ২৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ ডলার করা হয়েছে। এছাড়া যারা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন তাদের ৩৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হয়েছে।’
তবে এবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছে ১৫ জন ক্রিকেটার, আগের তালিকায় ছিলেন ১৮ জন।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটারদের বেতন ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতদিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখন তাদের বেতন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের বেতনও বাড়ানো হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। পূর্বের ১ লাখ টাকার জায়গায় এখন থেকে তারা পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৯৫ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৬০ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ হাজার টাকা করা হয়েছে ।
বিসিবি জানিয়েছে, এই নতুন বেতন কাঠামো আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য বাড়তি সম্মানী হিসেবে মাসে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা এবং সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ফারজানা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন স্বর্ণা আক্তার এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তার, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার ও নিশিতা আক্তার।
অন্যদিকে, গত বছরের চুক্তিতে থাকা শামীমা সুলতানা, মুরশিদা খাতুন, লতা মন্ডল, দিশা বিশ্বাস, সুলতানা খাতুন, দিলারা আক্তার ও শাথি রানি এ বছর তালিকায় জায়গা পাননি।
এছাড়া জাহানারা আলম, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন এবং নিজে থেকেই চুক্তি নবায়ন করেননি, তাকেও বাদ দেয়া হয়েছে।
নারী উইং জানায়, যারা কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইওে থেকে জাতীয় দলে খেলবেন, তারা ‘ডি’ ক্যাটাগরির বেতন পাবেন। অর্থাৎ মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন।
এছাড়া নারী ক্রিকেটারদের জাতীয় চুক্তির (ডমেস্টিক লেভেল) খেলোয়াড় সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ জন করা হয়েছে। যদিও এই চুক্তির মাসিক বেতন আগের মতোই ৩০ হাজার টাকা থাকছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে খেলোয়াড় কমেছে
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ফাইল ছবি
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জন্য এলো বড় সুখবর। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া অঙ্গনে মেয়েদের ক্রমবর্ধমান সাফল্য ও পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে বেতন কাঠামো পুনর্নিধারণ করেছে বিসিবি।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটারদের বেতন ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য ভাতাও বেড়েছে।
মাসিক সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৬০ হাজার,
সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকা,
সিরিজ চলাকালে দৈনিক ভাতা ৭৫ ডলার, সফরে দৈনিক ৫০ ডলার করা হয়েছে
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন গতকাল সোমবার সভা পরবর্তী জানান, ‘নারী ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা ৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ ডলার করা হয়েছে। সফর ভাতাও ২৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ ডলার করা হয়েছে। এছাড়া যারা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন তাদের ৩৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হয়েছে।’
তবে এবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছে ১৫ জন ক্রিকেটার, আগের তালিকায় ছিলেন ১৮ জন।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটারদের বেতন ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতদিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখন তাদের বেতন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
‘বি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের বেতনও বাড়ানো হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। পূর্বের ১ লাখ টাকার জায়গায় এখন থেকে তারা পাবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৯৫ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৬০ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ হাজার টাকা করা হয়েছে ।
বিসিবি জানিয়েছে, এই নতুন বেতন কাঠামো আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য বাড়তি সম্মানী হিসেবে মাসে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা এবং সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ফারজানা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন স্বর্ণা আক্তার এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তার, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার ও নিশিতা আক্তার।
অন্যদিকে, গত বছরের চুক্তিতে থাকা শামীমা সুলতানা, মুরশিদা খাতুন, লতা মন্ডল, দিশা বিশ্বাস, সুলতানা খাতুন, দিলারা আক্তার ও শাথি রানি এ বছর তালিকায় জায়গা পাননি।
এছাড়া জাহানারা আলম, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন এবং নিজে থেকেই চুক্তি নবায়ন করেননি, তাকেও বাদ দেয়া হয়েছে।
নারী উইং জানায়, যারা কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইওে থেকে জাতীয় দলে খেলবেন, তারা ‘ডি’ ক্যাটাগরির বেতন পাবেন। অর্থাৎ মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন।
এছাড়া নারী ক্রিকেটারদের জাতীয় চুক্তির (ডমেস্টিক লেভেল) খেলোয়াড় সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ জন করা হয়েছে। যদিও এই চুক্তির মাসিক বেতন আগের মতোই ৩০ হাজার টাকা থাকছে।