ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশ দলকে ২ কোটি টাকা বোনাস দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেখ মোরসালিনের একমাত্র গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে ভারতের বিপক্ষে ২২ বছর পর বাংলাদেশ জয় তুলে নেয়।
এই ম্যাচ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে গিয়ে তিান খেলোয়াড়দের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। এমন একটি ভিডিও ক্রীড়া উপদেষ্টা নিজের ভেরিফাইড পেইজে শেয়ার করেন।
সেখানে দেখা যায়, খেলোয়াড়রা আসিফ মাহমুদকে ঘিরে আনন্দ উদযাপন করছে ও বোনাস বোনাস বলে চিৎকার করছে। এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা বাংলাদেশ দলের জন্য ২ কোটি টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন। উপদেষ্টার তাৎক্ষণিক এই ঘোষণায় খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশের ফুটবল দলকে পুরস্কৃত করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য নারী জাতীয় ফুটবল দলকে দুই কিস্তিতে ১.৫ কোটি টাকা প্রদান করেন। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য দলটিকে ১ কোটি টাকা এবং এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জনের জন্য আরও ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। এবার এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর পুরুষ দলকেও একইভাবে সম্মানিত করা হয়েছে।
এই জয়টি ২০২৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক জয়, যা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এ বছর আটটি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে দুটিতে জিতেছে। এ জয়ের আগে গত জুনে অনুষ্ঠিত একটি প্রীতি ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দলটি ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল। তবে ভারতের বিপক্ষে এই জয়ের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এটি কেবল দলের আত্মবিশ্বাসই বৃদ্ধি করে না বরং মহাদেশীয় পর্যায়ে তাদের সম্ভাবনাও প্রদর্শন করে।
এ অসাধারণ জয় বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার উদার পুরস্কারের ফলে খেলোয়াড়রা আরও বেশি সাফল্য অর্জনের জন্য আগের চেয়েও বেশি অনুপ্রাণিত।
এ জয় কেবল বাংলাদেশের ফুটবল যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নয় বরং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমর্থন এবং উৎসাহের ফলে দেশে ফুটবলের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বও প্রতিফলিত হয়। সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ থাকায়, খেলোয়াড়রা ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর অর্জনের জন্য এই জয়কে অনুঘটক হিসেবে দেখবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশ দলকে ২ কোটি টাকা বোনাস দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেখ মোরসালিনের একমাত্র গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে ভারতের বিপক্ষে ২২ বছর পর বাংলাদেশ জয় তুলে নেয়।
এই ম্যাচ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে গিয়ে তিান খেলোয়াড়দের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। এমন একটি ভিডিও ক্রীড়া উপদেষ্টা নিজের ভেরিফাইড পেইজে শেয়ার করেন।
সেখানে দেখা যায়, খেলোয়াড়রা আসিফ মাহমুদকে ঘিরে আনন্দ উদযাপন করছে ও বোনাস বোনাস বলে চিৎকার করছে। এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা বাংলাদেশ দলের জন্য ২ কোটি টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন। উপদেষ্টার তাৎক্ষণিক এই ঘোষণায় খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশের ফুটবল দলকে পুরস্কৃত করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য নারী জাতীয় ফুটবল দলকে দুই কিস্তিতে ১.৫ কোটি টাকা প্রদান করেন। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের জন্য দলটিকে ১ কোটি টাকা এবং এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জনের জন্য আরও ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। এবার এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর পুরুষ দলকেও একইভাবে সম্মানিত করা হয়েছে।
এই জয়টি ২০২৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক জয়, যা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এ বছর আটটি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে দুটিতে জিতেছে। এ জয়ের আগে গত জুনে অনুষ্ঠিত একটি প্রীতি ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে দলটি ২-১ গোলে জয়লাভ করেছিল। তবে ভারতের বিপক্ষে এই জয়ের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এটি কেবল দলের আত্মবিশ্বাসই বৃদ্ধি করে না বরং মহাদেশীয় পর্যায়ে তাদের সম্ভাবনাও প্রদর্শন করে।
এ অসাধারণ জয় বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার উদার পুরস্কারের ফলে খেলোয়াড়রা আরও বেশি সাফল্য অর্জনের জন্য আগের চেয়েও বেশি অনুপ্রাণিত।
এ জয় কেবল বাংলাদেশের ফুটবল যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই নয় বরং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমর্থন এবং উৎসাহের ফলে দেশে ফুটবলের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বও প্রতিফলিত হয়। সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ থাকায়, খেলোয়াড়রা ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর অর্জনের জন্য এই জয়কে অনুঘটক হিসেবে দেখবে।