প্রথমদিন শেষে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন মুশফিক ও লিটন
দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমে ম্যাচের প্রথম দিন ৯৯ রানে অপরাজিত আছেন ডানহাতি ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছে টাইগাররা। মুশফিক ছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দিন হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি ব্যাটার মোমিনুল হক। ৬৩ রানে আউট হন তিনি।
বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। ১৪তম ওভারে দলের রান হাফ-সেঞ্চুরিতে নিয়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ঐ ওভারের চতুর্থ বলে রিভিউর সহায়তা নিয়ে সাদমানকে লেগ বিফোর আউট করেন আয়ারল্যান্ড স্পিনার এন্ডি ম্যাকব্রিন। ৬টি চারে সাদমান ৪৪ বলে ৩৫ রান করেন।
সতীর্থকে হারানোর পর মোমিনুল হককে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জয়। জুটিতে ৩১ রান যোগ হবার পর ম্যাকব্রিনের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন জয়। ৮৬ বল খেলে ২টি বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করেন প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭১ রান করা জয়।
৮৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফেরার পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চার নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১টি ছক্কায় ৮ রানে ম্যাকব্রিনের তৃতীয় শিকার হন শান্ত।
৯৫ রানে ৩ উইকেট পতনের পর জুটি বেঁধে প্রথম সেশন শেষ করেন মোমিনুল ও মুশফিক। ৩১ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ম্যাকব্রিনের বলে কারমাইকেলের ক্যাচ মিসে জীবন পান মোমিনুল। তখন ২৩ রানে ক্রিজে ছিলেন তিনি। মোমিনুলের পর ক্যাচ মিসে জীবন পান ২২ রানে থাকা মুশফিকও। আয়ারল্যান্ডের অভিষিক্ত স্পিনার গ্যাভিন হোয়ের বলে উইকেটরক্ষক টাকার ক্যাচ ফেলেন মুশির।
এরপর আয়ারল্যান্ড বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মোমিনুুল-মুশফিক। ৯৩ বল খেলে টেস্টে ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মোমিনুল।
চা-বিরতির পর ইনিংসের ৬৩তম ওভারে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ সেঞ্চুরি করতে ১০৯ বল খেলেন তিনি। ঐ ওভারেই ২শ’ স্পর্শ করে বাংলাদেশের রান।
মুশফিকের অর্ধশতক পাবার পরের ওভারেই আউট হন মোমিনুল। ম্যাকব্রিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল পায়ে লেগে ক্যাচ উঠে। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ নেন এন্ডি বলবির্নি। ১টি বাউন্ডারিতে ১২৮ বল খেলে ৬৩ রান করেন মোমিনুল। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ২১৪ বলে ১০৭ রান যোগ করেন মোমিনুল।
দলীয় ২০২ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে মোমিনুল ফেরার পর ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে শততম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস। ঐ সময় ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
লিটনকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখার পাশাপাশি সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান মুশফিক। দিনের শেষ ওভারের আগে ৯৭ রানে পৌঁছে যান তিনি। সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে দাঁড়িয়ে মুশি। কিন্তু দিনের শেষ ওভারে চার বল খেলার সুযোগ পেলেও ২ রানের বেশি নিতে পারেননি মুশফিক। ফলে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে যান মুশি। তার ১৮৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ছিল। ২ বাউন্ডারিতে ৮৬ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। এই ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৩ হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৬০ রানে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রান যোগ করেন লিটন।
মুশফিকের সেঞ্চুরিটা প্রথম দিন হয়ে গেলে বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু তো আর হতো না। তবে এই যে এক রানের দূরত্ব, উত্তেজনা-উৎকণ্ঠা নিয়ে রাত কাটিয়ে সকালের দিকে তাকিয়ে থাকা, এই অপেক্ষার রোমাঞ্চটুকুও খুব একটা মন্দ নয়! আয়ারল্যান্ড স্পিনার ম্যাকব্রিন দিনের ৪টি উইকেটই দখল করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৯০ ওভারে ২৯২/৪ (মাহমুদুল জয় ৩৪, সাদমান ৩৫, মোমিনুল ৬৩, নাজমুল শান্ত ৮, মুশফিক ৯৯*, লিটন ৪৭*; উইকেট পতন- ১/৫২, ২/৮৩, ৩/৯৫, ৪/২০২; বোলিং- ম্যাকব্রাইন ২৬-২-৮২-৪)।
টস জয়ী: বাংলাদেশ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
প্রথমদিন শেষে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন মুশফিক ও লিটন
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নেমে ম্যাচের প্রথম দিন ৯৯ রানে অপরাজিত আছেন ডানহাতি ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছে টাইগাররা। মুশফিক ছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দিন হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি ব্যাটার মোমিনুল হক। ৬৩ রানে আউট হন তিনি।
বুধবার,(১৯ নভেম্বর ২০২৫) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। ১৪তম ওভারে দলের রান হাফ-সেঞ্চুরিতে নিয়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ঐ ওভারের চতুর্থ বলে রিভিউর সহায়তা নিয়ে সাদমানকে লেগ বিফোর আউট করেন আয়ারল্যান্ড স্পিনার এন্ডি ম্যাকব্রিন। ৬টি চারে সাদমান ৪৪ বলে ৩৫ রান করেন।
সতীর্থকে হারানোর পর মোমিনুল হককে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জয়। জুটিতে ৩১ রান যোগ হবার পর ম্যাকব্রিনের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন জয়। ৮৬ বল খেলে ২টি বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করেন প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭১ রান করা জয়।
৮৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফেরার পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চার নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১টি ছক্কায় ৮ রানে ম্যাকব্রিনের তৃতীয় শিকার হন শান্ত।
৯৫ রানে ৩ উইকেট পতনের পর জুটি বেঁধে প্রথম সেশন শেষ করেন মোমিনুল ও মুশফিক। ৩১ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ম্যাকব্রিনের বলে কারমাইকেলের ক্যাচ মিসে জীবন পান মোমিনুল। তখন ২৩ রানে ক্রিজে ছিলেন তিনি। মোমিনুলের পর ক্যাচ মিসে জীবন পান ২২ রানে থাকা মুশফিকও। আয়ারল্যান্ডের অভিষিক্ত স্পিনার গ্যাভিন হোয়ের বলে উইকেটরক্ষক টাকার ক্যাচ ফেলেন মুশির।
এরপর আয়ারল্যান্ড বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মোমিনুুল-মুশফিক। ৯৩ বল খেলে টেস্টে ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মোমিনুল।
চা-বিরতির পর ইনিংসের ৬৩তম ওভারে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ সেঞ্চুরি করতে ১০৯ বল খেলেন তিনি। ঐ ওভারেই ২শ’ স্পর্শ করে বাংলাদেশের রান।
মুশফিকের অর্ধশতক পাবার পরের ওভারেই আউট হন মোমিনুল। ম্যাকব্রিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল পায়ে লেগে ক্যাচ উঠে। দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ নেন এন্ডি বলবির্নি। ১টি বাউন্ডারিতে ১২৮ বল খেলে ৬৩ রান করেন মোমিনুল। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ২১৪ বলে ১০৭ রান যোগ করেন মোমিনুল।
দলীয় ২০২ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে মোমিনুল ফেরার পর ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে শততম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস। ঐ সময় ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
লিটনকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখার পাশাপাশি সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান মুশফিক। দিনের শেষ ওভারের আগে ৯৭ রানে পৌঁছে যান তিনি। সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে দাঁড়িয়ে মুশি। কিন্তু দিনের শেষ ওভারে চার বল খেলার সুযোগ পেলেও ২ রানের বেশি নিতে পারেননি মুশফিক। ফলে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে যান মুশি। তার ১৮৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ছিল। ২ বাউন্ডারিতে ৮৬ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। এই ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৩ হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৬০ রানে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রান যোগ করেন লিটন।
মুশফিকের সেঞ্চুরিটা প্রথম দিন হয়ে গেলে বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু তো আর হতো না। তবে এই যে এক রানের দূরত্ব, উত্তেজনা-উৎকণ্ঠা নিয়ে রাত কাটিয়ে সকালের দিকে তাকিয়ে থাকা, এই অপেক্ষার রোমাঞ্চটুকুও খুব একটা মন্দ নয়! আয়ারল্যান্ড স্পিনার ম্যাকব্রিন দিনের ৪টি উইকেটই দখল করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৯০ ওভারে ২৯২/৪ (মাহমুদুল জয় ৩৪, সাদমান ৩৫, মোমিনুল ৬৩, নাজমুল শান্ত ৮, মুশফিক ৯৯*, লিটন ৪৭*; উইকেট পতন- ১/৫২, ২/৮৩, ৩/৯৫, ৪/২০২; বোলিং- ম্যাকব্রাইন ২৬-২-৮২-৪)।
টস জয়ী: বাংলাদেশ।