বাংলাদেশের উইকেট উদযাপন
নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আগের দিন ৯৯ রানে অপরাজিত মুশফিক দ্বিতীয় দিন সকালে নিজের মুখোমুখি হওয়া অষ্টম বলে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন এ ডানহাতি ব্যাটার। মুশফিকুর রহিম ১০৬ ও লিটন দাসের ১২৮ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসের বাংলাদেশের ৪৭৬ রান করে। জবাবে দিন শেষে ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড শেষে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে । ফলোঅন এড়াতে তাদের আরও ১৭৮ রান করতে হবে ।
৫ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ৩৭৮ রানে পিছিয়ে তারা।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চলমান টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল বাংলাদেশ। মুশফিক ৯৯ ও লিটন ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) দ্বিতীয় দিন সকালে অষ্টম বলে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেন মুশফিক। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করার ক্ষেত্রে এটি ১২তম ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে সতীর্থ মোমিনুল হকের পাশে বসলেন মুশফিক। বাংলাদেশের টেস্টে ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩টি করে সেঞ্চুরি আছে মোমিনুল ও মুশফিকের। ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি মুশফিক। আয়ারল্যান্ড স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিজের বলে দ্বিতীয় স্লিপে অধিনায়ক বলবির্নিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ২১৪ বল খেলে ৫টি চারে ১০৬ রানে থামেন মুশফিক। লিটনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ২১০ বলে ১০৮ রান যোগ হয়। টেস্টে সপ্তম শতরানের জুটিও তাদের। যা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। দলীয় ৩১০ রানে মুশফিক ফেরার পর মিরাজকে নিয়ে আরও একটি শতরানের (১২৩) জুটি গড়েন লিটন। এ জুটিতেই টেস্টে পঞ্চম শতকের দেখা পান তিনি। লিটনের সেঞ্চুরির পর সাজঘরে ফিরেন মিরাজ। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন মিরাজ।
এই ইনিংসে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছে বাংলাদেশ। দেশের টেস্ট ইতিহাসে এটিই প্রথম ঘটনা। তবে টেস্ট ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার এমনটা ঘটলো। মিরাজ ফেরার পরপরই আউট হন লিটন। হামফ্রিজের শিকারের আগে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১৯২ বলে ১২৮ রান করেন তিনি। দলীয় ৪৩৩ রানের মধ্যে মিরাজ ও লিটন ফেরার পর লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসের পর ৪৭৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। লোয়ার অর্ডারে তাইজুল ইসলাম ৪, হাসান মুরাদ ১১, খালেদ আহমেদ ৮ ও এবাদত হোসেন অপরাজিত ১৮ রান করেন।
আইরিশ স্পিনার ম্যাকব্রিন ১০৯ রানে ৬ উইকেট নেন। টেস্টে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন তিনি।
নিজেদের ইনিংস শুরু করে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করেন আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার বলবির্নি ও পল স্টার্লিং। ২৬ বলে ২৭ রান করা স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার খালেদ আহমেদ।
এরপর বলবির্নিকে শান্তর ক্যাচে পরিণত করেন স্পিনার হাসান মুরাদ। ২১ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক।
খালেদ-মুরাদের পর উইকেট শিকারের তালিকায় নাম তুলেন মিরাজ ও তাইজুল। দলীয় রান ১শ’ স্পর্শ করার আগেই পঞ্চম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। কারমাইকেলকে ১৭ রানে মিরাজ ও হ্যারি টেক্টরকে ১৪ রানে শিকার করেন তাইজুল। রানের খাতা খুলতে না পারা কার্টিস ক্যাম্ফারকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মুরাদ।
দিন শেষে লরকান টাকার ১১ ও স্টিফেন ডোহানি ২ রানে অপরাজিত আছেন। মুরাদ ২টি, খালেদ-তাইজুল ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ (আগের দিন ২৯২/৪) (মুশফিক ১০৬, লিটন ১২৮, মিরাজ ৪৭, মোমিনুল ৬৩, সাদমান ৩৫, জয় ৩৪,শান্ত ৮,তাইজুল ৪, মুরাদ ১১, ইবাদত ১৮*, খালেদ ৮; ম্যাকব্রাইন ৬/১০৯, হামফ্রিজ ২/১৫১, হোয়ে ২/১১৫)।
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস ৩৮ ওভারে ৯৮/৫ (বালবার্নি ২১, স্টার্লিং ২৭, কারমাইকেল ১৭, টেক্টর ১৪, ক্যাম্ফার ০, টাকার ১১*, ডোহেনি ২*; খালেদ ১/৩০, তাইজুল ১/৩২, মুরাদ ২/১০, মিরাজ ১/১১)।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বাংলাদেশের উইকেট উদযাপন
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আগের দিন ৯৯ রানে অপরাজিত মুশফিক দ্বিতীয় দিন সকালে নিজের মুখোমুখি হওয়া অষ্টম বলে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন এ ডানহাতি ব্যাটার। মুশফিকুর রহিম ১০৬ ও লিটন দাসের ১২৮ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসের বাংলাদেশের ৪৭৬ রান করে। জবাবে দিন শেষে ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড শেষে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে । ফলোঅন এড়াতে তাদের আরও ১৭৮ রান করতে হবে ।
৫ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ৩৭৮ রানে পিছিয়ে তারা।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চলমান টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল বাংলাদেশ। মুশফিক ৯৯ ও লিটন ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) দ্বিতীয় দিন সকালে অষ্টম বলে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেন মুশফিক। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করার ক্ষেত্রে এটি ১২তম ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে সতীর্থ মোমিনুল হকের পাশে বসলেন মুশফিক। বাংলাদেশের টেস্টে ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩টি করে সেঞ্চুরি আছে মোমিনুল ও মুশফিকের। ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি মুশফিক। আয়ারল্যান্ড স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিজের বলে দ্বিতীয় স্লিপে অধিনায়ক বলবির্নিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ২১৪ বল খেলে ৫টি চারে ১০৬ রানে থামেন মুশফিক। লিটনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ২১০ বলে ১০৮ রান যোগ হয়। টেস্টে সপ্তম শতরানের জুটিও তাদের। যা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। দলীয় ৩১০ রানে মুশফিক ফেরার পর মিরাজকে নিয়ে আরও একটি শতরানের (১২৩) জুটি গড়েন লিটন। এ জুটিতেই টেস্টে পঞ্চম শতকের দেখা পান তিনি। লিটনের সেঞ্চুরির পর সাজঘরে ফিরেন মিরাজ। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন মিরাজ।
এই ইনিংসে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছে বাংলাদেশ। দেশের টেস্ট ইতিহাসে এটিই প্রথম ঘটনা। তবে টেস্ট ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার এমনটা ঘটলো। মিরাজ ফেরার পরপরই আউট হন লিটন। হামফ্রিজের শিকারের আগে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১৯২ বলে ১২৮ রান করেন তিনি। দলীয় ৪৩৩ রানের মধ্যে মিরাজ ও লিটন ফেরার পর লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসের পর ৪৭৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। লোয়ার অর্ডারে তাইজুল ইসলাম ৪, হাসান মুরাদ ১১, খালেদ আহমেদ ৮ ও এবাদত হোসেন অপরাজিত ১৮ রান করেন।
আইরিশ স্পিনার ম্যাকব্রিন ১০৯ রানে ৬ উইকেট নেন। টেস্টে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন তিনি।
নিজেদের ইনিংস শুরু করে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করেন আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার বলবির্নি ও পল স্টার্লিং। ২৬ বলে ২৭ রান করা স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার খালেদ আহমেদ।
এরপর বলবির্নিকে শান্তর ক্যাচে পরিণত করেন স্পিনার হাসান মুরাদ। ২১ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক।
খালেদ-মুরাদের পর উইকেট শিকারের তালিকায় নাম তুলেন মিরাজ ও তাইজুল। দলীয় রান ১শ’ স্পর্শ করার আগেই পঞ্চম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। কারমাইকেলকে ১৭ রানে মিরাজ ও হ্যারি টেক্টরকে ১৪ রানে শিকার করেন তাইজুল। রানের খাতা খুলতে না পারা কার্টিস ক্যাম্ফারকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মুরাদ।
দিন শেষে লরকান টাকার ১১ ও স্টিফেন ডোহানি ২ রানে অপরাজিত আছেন। মুরাদ ২টি, খালেদ-তাইজুল ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ (আগের দিন ২৯২/৪) (মুশফিক ১০৬, লিটন ১২৮, মিরাজ ৪৭, মোমিনুল ৬৩, সাদমান ৩৫, জয় ৩৪,শান্ত ৮,তাইজুল ৪, মুরাদ ১১, ইবাদত ১৮*, খালেদ ৮; ম্যাকব্রাইন ৬/১০৯, হামফ্রিজ ২/১৫১, হোয়ে ২/১১৫)।
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস ৩৮ ওভারে ৯৮/৫ (বালবার্নি ২১, স্টার্লিং ২৭, কারমাইকেল ১৭, টেক্টর ১৪, ক্যাম্ফার ০, টাকার ১১*, ডোহেনি ২*; খালেদ ১/৩০, তাইজুল ১/৩২, মুরাদ ২/১০, মিরাজ ১/১১)।