সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক
দেশের জার্সিতে একশতম টেস্টে খেলতে নেমে নিজের উপস্থিতি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় করে রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহিম। আর সেই বিশেষ ম্যাচটি মুশফিক উৎসর্গ করলেন তার দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে, যারা জীবিত থাকা অবস্থায় ছিলেন তার সবচেয়ে বড় ভক্ত।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক তুলে ধরলেন নিজের জীবনের আবেগঘন এক অধ্যায়, তার চার দাদা-দাদির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
শততম টেস্টটি উৎসর্গ করেন দাদা-দাদি এবং নানা-নানিকে। তারা জীবিত থাকতে আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন। এমনকি অসুস্থ থাকলেও বলতেন, ‘তারা যখন মারাও যায়, তার আগে যখন একটু অসুস্থও ছিলেন, আমার এখনও মনে আছে তো আমার দাদা-দাদীর পর নানা-নানী সবাই বলেছিলেন যে, ভাই তোমার খেলা দেখার জন্য হলেও আমি আরও কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতে চাই। এমন সৌভাগ্য খুব কম নাতি-নাতনিদের হয়।’
একশ’ টেস্ট খেলার মতো অর্জন একদিনে হয়নি, এসবের পেছনে আছে দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা। তবে এই ম্যাচটিকে মুশফিকের কাছে আরও বেশি বিশেষ করে তুলেছে মিরপুরের পরিবেশ, দর্শকদের ভালোবাসা এবং ব্যক্তিগত আবেগের ভার।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দোয়া আর আশীর্বাদের কারণেই আমি এত দূর আসতে পেরেছি। আরও অনেক মানুষ আছেন যারা আমাকে সাহায্য করেছেন কিন্তু বিশেষ কিছু বলতে হলে আমি এই চারজনকেই উৎসর্গ করছি।’
তবে ক্যারিয়ারে একশ’ টেস্ট খেলে ফেলেছেন তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না মুশফিক, ‘আসলে আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারি না যে বাংলাদেশের একজন ১০০ টেস্ট খেলে ফেলেছে। এটা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। শুধু আমার জন্য নয়, যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য গর্বের মুহূর্ত। ভালো লাগছে যে সেই ব্যক্তিটা আমি হতে পেরেছি।’
সাড়ে ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০০ টেস্টের ঠিকানায় পৌঁছে পেছন ফিরে তাকিয়ে মুশফিক বলেন, জীবনের সবকিছুতেই একটি ছকে নিজেকে পরিচালনা করেন তিনি। ‘দেখুন, আমি একটা কথা বলি, সত্যি বলতে, আমি আসলে একজন বোরিং পারসন। আমি প্রত্যেকদিন অনুশীলন করি- যদি বলেন, একই জিনিস আমি বারবার করতে পারি। সেটা ২০ বছর হোক বা যদি বেঁচে থাকি আরও ৪০ বছর, একই কাজ করে যেতে পারি, যদি নিজের জন্য ও দলের জন্য প্রয়োজন হয়। পেশাদারিত্বে আমার কাছে কোনো ছাড় নেই।’
‘আমি একশ’ করি বা শূন্য, আমার এই প্রক্রিয়া চলবেই। সাফল্য আমার নিয়ন্ত্রণে নেই কিন্তু প্রচেষ্টা, প্রক্রিয়া ও সততা তো আমার হাতে। সেটিই আমার জীবনের একমাত্র ব্রত। এটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নয়, সবকিছুতেই।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
দেশের জার্সিতে একশতম টেস্টে খেলতে নেমে নিজের উপস্থিতি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় করে রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহিম। আর সেই বিশেষ ম্যাচটি মুশফিক উৎসর্গ করলেন তার দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে, যারা জীবিত থাকা অবস্থায় ছিলেন তার সবচেয়ে বড় ভক্ত।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক তুলে ধরলেন নিজের জীবনের আবেগঘন এক অধ্যায়, তার চার দাদা-দাদির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
শততম টেস্টটি উৎসর্গ করেন দাদা-দাদি এবং নানা-নানিকে। তারা জীবিত থাকতে আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন। এমনকি অসুস্থ থাকলেও বলতেন, ‘তারা যখন মারাও যায়, তার আগে যখন একটু অসুস্থও ছিলেন, আমার এখনও মনে আছে তো আমার দাদা-দাদীর পর নানা-নানী সবাই বলেছিলেন যে, ভাই তোমার খেলা দেখার জন্য হলেও আমি আরও কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতে চাই। এমন সৌভাগ্য খুব কম নাতি-নাতনিদের হয়।’
একশ’ টেস্ট খেলার মতো অর্জন একদিনে হয়নি, এসবের পেছনে আছে দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা। তবে এই ম্যাচটিকে মুশফিকের কাছে আরও বেশি বিশেষ করে তুলেছে মিরপুরের পরিবেশ, দর্শকদের ভালোবাসা এবং ব্যক্তিগত আবেগের ভার।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দোয়া আর আশীর্বাদের কারণেই আমি এত দূর আসতে পেরেছি। আরও অনেক মানুষ আছেন যারা আমাকে সাহায্য করেছেন কিন্তু বিশেষ কিছু বলতে হলে আমি এই চারজনকেই উৎসর্গ করছি।’
তবে ক্যারিয়ারে একশ’ টেস্ট খেলে ফেলেছেন তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না মুশফিক, ‘আসলে আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারি না যে বাংলাদেশের একজন ১০০ টেস্ট খেলে ফেলেছে। এটা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। শুধু আমার জন্য নয়, যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য গর্বের মুহূর্ত। ভালো লাগছে যে সেই ব্যক্তিটা আমি হতে পেরেছি।’
সাড়ে ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০০ টেস্টের ঠিকানায় পৌঁছে পেছন ফিরে তাকিয়ে মুশফিক বলেন, জীবনের সবকিছুতেই একটি ছকে নিজেকে পরিচালনা করেন তিনি। ‘দেখুন, আমি একটা কথা বলি, সত্যি বলতে, আমি আসলে একজন বোরিং পারসন। আমি প্রত্যেকদিন অনুশীলন করি- যদি বলেন, একই জিনিস আমি বারবার করতে পারি। সেটা ২০ বছর হোক বা যদি বেঁচে থাকি আরও ৪০ বছর, একই কাজ করে যেতে পারি, যদি নিজের জন্য ও দলের জন্য প্রয়োজন হয়। পেশাদারিত্বে আমার কাছে কোনো ছাড় নেই।’
‘আমি একশ’ করি বা শূন্য, আমার এই প্রক্রিয়া চলবেই। সাফল্য আমার নিয়ন্ত্রণে নেই কিন্তু প্রচেষ্টা, প্রক্রিয়া ও সততা তো আমার হাতে। সেটিই আমার জীবনের একমাত্র ব্রত। এটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নয়, সবকিছুতেই।’