alt

একশ’ টেস্ট খেলেছেন, বিশ্বাসই করতে পারছেন না মুশফিক

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক

দেশের জার্সিতে একশতম টেস্টে খেলতে নেমে নিজের উপস্থিতি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় করে রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহিম। আর সেই বিশেষ ম্যাচটি মুশফিক উৎসর্গ করলেন তার দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে, যারা জীবিত থাকা অবস্থায় ছিলেন তার সবচেয়ে বড় ভক্ত।

টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক তুলে ধরলেন নিজের জীবনের আবেগঘন এক অধ্যায়, তার চার দাদা-দাদির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।

শততম টেস্টটি উৎসর্গ করেন দাদা-দাদি এবং নানা-নানিকে। তারা জীবিত থাকতে আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন। এমনকি অসুস্থ থাকলেও বলতেন, ‘তারা যখন মারাও যায়, তার আগে যখন একটু অসুস্থও ছিলেন, আমার এখনও মনে আছে তো আমার দাদা-দাদীর পর নানা-নানী সবাই বলেছিলেন যে, ভাই তোমার খেলা দেখার জন্য হলেও আমি আরও কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতে চাই। এমন সৌভাগ্য খুব কম নাতি-নাতনিদের হয়।’

একশ’ টেস্ট খেলার মতো অর্জন একদিনে হয়নি, এসবের পেছনে আছে দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা। তবে এই ম্যাচটিকে মুশফিকের কাছে আরও বেশি বিশেষ করে তুলেছে মিরপুরের পরিবেশ, দর্শকদের ভালোবাসা এবং ব্যক্তিগত আবেগের ভার।

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দোয়া আর আশীর্বাদের কারণেই আমি এত দূর আসতে পেরেছি। আরও অনেক মানুষ আছেন যারা আমাকে সাহায্য করেছেন কিন্তু বিশেষ কিছু বলতে হলে আমি এই চারজনকেই উৎসর্গ করছি।’

তবে ক্যারিয়ারে একশ’ টেস্ট খেলে ফেলেছেন তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না মুশফিক, ‘আসলে আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারি না যে বাংলাদেশের একজন ১০০ টেস্ট খেলে ফেলেছে। এটা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। শুধু আমার জন্য নয়, যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য গর্বের মুহূর্ত। ভালো লাগছে যে সেই ব্যক্তিটা আমি হতে পেরেছি।’

সাড়ে ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০০ টেস্টের ঠিকানায় পৌঁছে পেছন ফিরে তাকিয়ে মুশফিক বলেন, জীবনের সবকিছুতেই একটি ছকে নিজেকে পরিচালনা করেন তিনি। ‘দেখুন, আমি একটা কথা বলি, সত্যি বলতে, আমি আসলে একজন বোরিং পারসন। আমি প্রত্যেকদিন অনুশীলন করি- যদি বলেন, একই জিনিস আমি বারবার করতে পারি। সেটা ২০ বছর হোক বা যদি বেঁচে থাকি আরও ৪০ বছর, একই কাজ করে যেতে পারি, যদি নিজের জন্য ও দলের জন্য প্রয়োজন হয়। পেশাদারিত্বে আমার কাছে কোনো ছাড় নেই।’

‘আমি একশ’ করি বা শূন্য, আমার এই প্রক্রিয়া চলবেই। সাফল্য আমার নিয়ন্ত্রণে নেই কিন্তু প্রচেষ্টা, প্রক্রিয়া ও সততা তো আমার হাতে। সেটিই আমার জীবনের একমাত্র ব্রত। এটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নয়, সবকিছুতেই।’

ছবি

বিশ্বকাপ বাছাই: প্লে-অফে ইতালির প্রতিপক্ষ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড

আন্তঃকলেজ ফুটবল সরদহ সর. কলেজ চ্যাম্পিয়ন

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সেরা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

ছবি

অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু শুক্রবার

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলাম ৩০ নভেম্বর

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে সেমিতে পথে ভারত

ছবি

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ বাংলাদেশ-ভারত প্রথম সেমিফাইনাল আজ

ছবি

শততম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় মুশফিক

ছবি

মুশফিক ও লিটনের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে ফলোঅনের শঙ্কায় আইরিশরা

ছবি

শততম টেস্টের প্রথমদিন ৯৯ রানে অপরাজিত মুশফিক

ছবি

হামজা ফিরেছেন ইংল্যান্ডে, শমিত সিলেটে

ছবি

ইতিহাস গড়ার আয়োজনে সংবর্ধনা পেলেন মুশফিক

ছবি

‘প্রথমদিন সেঞ্চুরি না হওয়ায় বিচলিত নন মুশফিক’

ছবি

ফুটবল দলের জন্য ২ কোটি টাকা বোনাস

ছবি

স্বপ্ন নাটমেগে গোল করবো: মোরসালিন

ছবি

মানসম্পন্ন ক্রিকেটার বিচারের মানদ- দীর্ঘ ক্যারিয়ার: পন্টিং

ছবি

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

ছবি

ঢাবি আন্তঃবিভাগ ফুটবলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগ চ্যাম্পিয়ন

ছবি

সিঙ্গাপুর ম্যাচে নেই রাকিব-তপু বর্মন

ছবি

যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট: বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

আন্তঃকলেজ ফুটবল ফাইনাল বৃহস্পতিবার

ছবি

দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যমণি শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম

ছবি

জনসমুদ্রের গর্জন!

ছবি

হামজা স্লোগানে মুখরিত জাতীয় স্টেডিয়াম

ছবি

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

ছবি

তিন ফরম্যাটে সহ-অধিনায়কের নাম ঘোষণা করলো বিসিবি

ছবি

মুশফিকের শততম টেস্টে ছাড় দিতে চায় না আয়ারল্যান্ড

ছবি

জার্মানিকে উঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

ছবি

মোরসালিনের গোলে ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান বাংলাদেশের

ছবি

ফুটবল বিশ্বকাপে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস

ছবি

২০২৬ বিশ্বকাপের পর ফ্রান্সের কোচ হতে পারেন জিদান

ছবি

বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে কঙ্গোকে নিশানা নাইজেরিয়া কোচের

ছবি

তানজিদ ও প্রিতমের সেঞ্চুরি, রাজশাহী ও ঢাকার ম্যাচ ড্র

ছবি

বাংলাদেশ-ভারত ফিরতি ম্যাচ মঙ্গলবার

ছবি

বর্ণিল আয়োজনে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের উদ্বোধন

ছবি

‘বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ই ভালো, আমরা পুরো দলকে নিয়েই ভাবছি’

tab

একশ’ টেস্ট খেলেছেন, বিশ্বাসই করতে পারছেন না মুশফিক

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জার্সিতে একশতম টেস্টে খেলতে নেমে নিজের উপস্থিতি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় করে রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহিম। আর সেই বিশেষ ম্যাচটি মুশফিক উৎসর্গ করলেন তার দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে, যারা জীবিত থাকা অবস্থায় ছিলেন তার সবচেয়ে বড় ভক্ত।

টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক তুলে ধরলেন নিজের জীবনের আবেগঘন এক অধ্যায়, তার চার দাদা-দাদির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।

শততম টেস্টটি উৎসর্গ করেন দাদা-দাদি এবং নানা-নানিকে। তারা জীবিত থাকতে আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন। এমনকি অসুস্থ থাকলেও বলতেন, ‘তারা যখন মারাও যায়, তার আগে যখন একটু অসুস্থও ছিলেন, আমার এখনও মনে আছে তো আমার দাদা-দাদীর পর নানা-নানী সবাই বলেছিলেন যে, ভাই তোমার খেলা দেখার জন্য হলেও আমি আরও কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতে চাই। এমন সৌভাগ্য খুব কম নাতি-নাতনিদের হয়।’

একশ’ টেস্ট খেলার মতো অর্জন একদিনে হয়নি, এসবের পেছনে আছে দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা। তবে এই ম্যাচটিকে মুশফিকের কাছে আরও বেশি বিশেষ করে তুলেছে মিরপুরের পরিবেশ, দর্শকদের ভালোবাসা এবং ব্যক্তিগত আবেগের ভার।

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের দোয়া আর আশীর্বাদের কারণেই আমি এত দূর আসতে পেরেছি। আরও অনেক মানুষ আছেন যারা আমাকে সাহায্য করেছেন কিন্তু বিশেষ কিছু বলতে হলে আমি এই চারজনকেই উৎসর্গ করছি।’

তবে ক্যারিয়ারে একশ’ টেস্ট খেলে ফেলেছেন তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না মুশফিক, ‘আসলে আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারি না যে বাংলাদেশের একজন ১০০ টেস্ট খেলে ফেলেছে। এটা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। শুধু আমার জন্য নয়, যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য গর্বের মুহূর্ত। ভালো লাগছে যে সেই ব্যক্তিটা আমি হতে পেরেছি।’

সাড়ে ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০০ টেস্টের ঠিকানায় পৌঁছে পেছন ফিরে তাকিয়ে মুশফিক বলেন, জীবনের সবকিছুতেই একটি ছকে নিজেকে পরিচালনা করেন তিনি। ‘দেখুন, আমি একটা কথা বলি, সত্যি বলতে, আমি আসলে একজন বোরিং পারসন। আমি প্রত্যেকদিন অনুশীলন করি- যদি বলেন, একই জিনিস আমি বারবার করতে পারি। সেটা ২০ বছর হোক বা যদি বেঁচে থাকি আরও ৪০ বছর, একই কাজ করে যেতে পারি, যদি নিজের জন্য ও দলের জন্য প্রয়োজন হয়। পেশাদারিত্বে আমার কাছে কোনো ছাড় নেই।’

‘আমি একশ’ করি বা শূন্য, আমার এই প্রক্রিয়া চলবেই। সাফল্য আমার নিয়ন্ত্রণে নেই কিন্তু প্রচেষ্টা, প্রক্রিয়া ও সততা তো আমার হাতে। সেটিই আমার জীবনের একমাত্র ব্রত। এটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নয়, সবকিছুতেই।’

back to top