ইংল্যান্ড ১৭২, অস্ট্রেলিয়া ১২৩/৯
৭ উইকেট শিকারি অস্ট্রেলিয়ান প্রেসার স্টার্ক
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দিন পড়েছে ১৯ উইকেট! পার্থের ২২ গজ সমস্যায় ফেলল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দু’দলের ব্যাটারদেরই। প্রথম ব্যাট করে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হল ১৭২ রান। জবাবে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৯ উইকেটে ১২৩। স্বাগতিকরা এখনও ৪৯ রানে পিছিয়ে। মিচেল স্টার্কের ৭ উইকেটের পাল্টা ৫ উইকেট নিলেন বেন স্টোকস।
প্রথমে স্টার্ক-ব্রেন্ডন ডগেট জুটি। পরে জফ্রা আর্চার-ব্রাইডন কার্স-স্টোকসেরা দাপট দেখালেন বল হাতে। বোলারদের এমন দাপট চলতে থাকলে দু’দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে টেস্ট! দিনের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডকে এবং দিনের শেষে চাপে অস্ট্রেলিয়া। পার্থের পিচ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। পার্থের ২২ গজের গতি কারও অজানা নয়। সঙ্গে সুইং এবং বাইন্স। এই অবস্থায় ব্যাটারদের নাজেহাল করে ছাড়লেন বোলারেরা। দু’দেশের ব্যাটারেরাই সামলাতে পারলেন না প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ। ইংল্যান্ড ওভার প্রতি ৫ রানের বেশি করে। অস্ট্রেলিয়া ৩ রানের একটু বেশি।
টেস্ট ক্রিকেটেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পক্ষে ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। তার ‘বাজবল’ দর্শনের ভিত্তিই হলো আগ্রাসী মানসিকতা। পরিস্থিতি যাই হোক প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। সেটা করতে গিয়েই ইংরেজ ব্যাটাররা রান তুলেছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটের গতিতে। এই একটা জায়গায় পিছিয়ে থেকেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনের বাকি লড়াইটা তুল্যমূল্য।
টস জিতে ব্যাটিং নেন স্টোকস। কিন্তু পার্থে পিচে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা সামলান অলি পোপ এবং ব্রুক। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তারা তোলেন ৫৫ রান। পোপকে (৪৬) আউট করেন ক্যামেরুন গ্রিন। ব্রুক করেন ৫২। ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান জেমি স্মিথের ৩৩। ব্যর্থ অধিনায়ক স্টোকসও (৬)।
ইংরেজদের সবচেয়ে সমস্যায় ফেললেন স্টার্ক। সফরকারীদের প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে আউট করেন তিনি। মূলত তার দাপটেই ৩২.৫ ওভারে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ৫৮ রানে ৭ উইকেট নিলেন স্টার্ক। এ ছাড়া ২৭ রানে ২ উইকেট ব্রেন্ডন ডগেটের। ১০ রানে ১ উইকেট গ্রিনের।
ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়ে অস্ট্রেলিয়াও। দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে চাপে স্টিভ স্মিথেরা। দুই ওপেনার জ্যাক ওয়েদারাল্ড (০) এবং মার্নাস লাবুশেন (৯) দ্রুত আউট হয়ে যান। অধিনায়ক স্মিথও (১৭) তেমন কিছু করতে পারেননি। মিডল অর্ডারে নেমে ব্যর্থ উসমান খোয়াজাও (২)। ৩১ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে আয়োজকেরা। ট্রেভিস হেড (২১) এবং গ্রিন (২৪) ধরে খেলার চেষ্টা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। পরে অ্যালেক্স ক্যারে (২৬ বলে ২৬) আগ্রাসী ব্যাটিং করে স্টোকসদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন। কিন্তু ২২ গজের অন্য প্রান্তে সহযোগী হিসেবে কাউকে পাননি। ইংল্যান্ডের পোপ বা ব্রুকের মতো প্রতিরোধও করতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটার। স্টার্ক করেন ১২। বাকি কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
সফল বোলার স্টোকস ৫ উইকেট নিলেন ২৩ রানে। জফ্রা আর্চার ১১ রানে ২টি এবং ব্রাইডন কার্স ৪৫ রানে ২টি উইকেট নেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ইংল্যান্ড ১৭২, অস্ট্রেলিয়া ১২৩/৯
৭ উইকেট শিকারি অস্ট্রেলিয়ান প্রেসার স্টার্ক
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দিন পড়েছে ১৯ উইকেট! পার্থের ২২ গজ সমস্যায় ফেলল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দু’দলের ব্যাটারদেরই। প্রথম ব্যাট করে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হল ১৭২ রান। জবাবে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৯ উইকেটে ১২৩। স্বাগতিকরা এখনও ৪৯ রানে পিছিয়ে। মিচেল স্টার্কের ৭ উইকেটের পাল্টা ৫ উইকেট নিলেন বেন স্টোকস।
প্রথমে স্টার্ক-ব্রেন্ডন ডগেট জুটি। পরে জফ্রা আর্চার-ব্রাইডন কার্স-স্টোকসেরা দাপট দেখালেন বল হাতে। বোলারদের এমন দাপট চলতে থাকলে দু’দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে টেস্ট! দিনের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডকে এবং দিনের শেষে চাপে অস্ট্রেলিয়া। পার্থের পিচ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। পার্থের ২২ গজের গতি কারও অজানা নয়। সঙ্গে সুইং এবং বাইন্স। এই অবস্থায় ব্যাটারদের নাজেহাল করে ছাড়লেন বোলারেরা। দু’দেশের ব্যাটারেরাই সামলাতে পারলেন না প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ। ইংল্যান্ড ওভার প্রতি ৫ রানের বেশি করে। অস্ট্রেলিয়া ৩ রানের একটু বেশি।
টেস্ট ক্রিকেটেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পক্ষে ইংল্যান্ড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। তার ‘বাজবল’ দর্শনের ভিত্তিই হলো আগ্রাসী মানসিকতা। পরিস্থিতি যাই হোক প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। সেটা করতে গিয়েই ইংরেজ ব্যাটাররা রান তুলেছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটের গতিতে। এই একটা জায়গায় পিছিয়ে থেকেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনের বাকি লড়াইটা তুল্যমূল্য।
টস জিতে ব্যাটিং নেন স্টোকস। কিন্তু পার্থে পিচে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা সামলান অলি পোপ এবং ব্রুক। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তারা তোলেন ৫৫ রান। পোপকে (৪৬) আউট করেন ক্যামেরুন গ্রিন। ব্রুক করেন ৫২। ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান জেমি স্মিথের ৩৩। ব্যর্থ অধিনায়ক স্টোকসও (৬)।
ইংরেজদের সবচেয়ে সমস্যায় ফেললেন স্টার্ক। সফরকারীদের প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে আউট করেন তিনি। মূলত তার দাপটেই ৩২.৫ ওভারে শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ৫৮ রানে ৭ উইকেট নিলেন স্টার্ক। এ ছাড়া ২৭ রানে ২ উইকেট ব্রেন্ডন ডগেটের। ১০ রানে ১ উইকেট গ্রিনের।
ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়ে অস্ট্রেলিয়াও। দিনের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে চাপে স্টিভ স্মিথেরা। দুই ওপেনার জ্যাক ওয়েদারাল্ড (০) এবং মার্নাস লাবুশেন (৯) দ্রুত আউট হয়ে যান। অধিনায়ক স্মিথও (১৭) তেমন কিছু করতে পারেননি। মিডল অর্ডারে নেমে ব্যর্থ উসমান খোয়াজাও (২)। ৩১ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে আয়োজকেরা। ট্রেভিস হেড (২১) এবং গ্রিন (২৪) ধরে খেলার চেষ্টা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। পরে অ্যালেক্স ক্যারে (২৬ বলে ২৬) আগ্রাসী ব্যাটিং করে স্টোকসদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন। কিন্তু ২২ গজের অন্য প্রান্তে সহযোগী হিসেবে কাউকে পাননি। ইংল্যান্ডের পোপ বা ব্রুকের মতো প্রতিরোধও করতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটার। স্টার্ক করেন ১২। বাকি কেউ বলার মতো কিছু করতে পারেননি।
সফল বোলার স্টোকস ৫ উইকেট নিলেন ২৩ রানে। জফ্রা আর্চার ১১ রানে ২টি এবং ব্রাইডন কার্স ৪৫ রানে ২টি উইকেট নেন।