রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ
জয়ের নায়ক রিপন মন্ডলের উল্লাস
সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শুক্রবার,(২১ নভেম্বর ২০২৫) দোহার ওয়েস্ট অ্যান্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মূল ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই দলই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে তুলেছিল।
টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে বল হাতে স্বাভাবিকভাবেই অটোচয়েজ ছিলেন রিপন মণ্ডল। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারি তিনি। আর তার প্রথম দুই বলেই তার প্রমাণ রাখেন এই পেসার। প্রথম দুই বলেই ফেলে দেন ভারতের দুই ব্যাটারকে। তবে তার কৃতিত্ব যেন মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন ইয়াসির আলী। এক রানের প্রয়োজনে যান ছক্কা হাঁকাতে, হন আউট। তবে পরের বল ওয়াইড করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দেন সুয়াশ শর্মা।
এর আগে নিজেদের একের পর এক ভুলের খেসারত দিয়ে জয়ের প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। তাদের সমান ১৯৪ রান করে ভারত ম্যাচ টাই করে ।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় আকবর আলীর দল। শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ও জিসান আলম। তাদের ওপেনিং জুটিতে ৪.২ ওভারেই আসে ৪৩ রান।
এরপর জিসান আউট হয়েছেন ১৪ বলে ২৬ রান করে। এরপর দ্রুত আরও বেশ কিছু উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন সোহান। তিনি ৪৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হয়ে যান।
তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি জাওয়াদ আবরার, আকবর আলী ও আবু হায়দার রনিও। ব্যর্থ হয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রান দুইশ’র কাছাকাছি নিয়ে গেছেন মেহেরব ও ইয়াসির রাব্বি।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। সেখান থেকে ২০ ওভারের খেলা শেষে স্কোর গিয়ে দাঁড়ালো কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯৪। শেষ দুই ওভারে ৫০ রান তুলেছেন দুই ব্যাটার। ১৯তম ওভারে নামান ধীরকে চার ছক্কা ও এক চারের মারে ২৮ রান তুলেছিলেন টাইগার ব্যাটার এসএম মেহেরব। ইনিংসের শেষ ওভারে যোগ হয় আরও ২২ রান। মেহেরবের সঙ্গে ব্যাট চালালেন ইয়াসির আলি রাব্বিও।
মূল ম্যাচে শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। হার্শ দুবে বল ব্যাটে ঠিকভাবে লাগাতে না পারায় চলে যায় লংঅনে। ফিল্ডার ঠিকভাবে ছুঁড়তে না পারলেও দুই রানের বেশি হওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। বল ধরার পর স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকলেই হতো আকবরের। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে রানআউট করতে গেলেন অধিনায়ক। তাও বল নিয়ে হাত দিয়ে স্টাম্প ভাঙতে গেলেন না, ছুঁড়ে দিলেন বল। তাতে স্টাম্প তো ভাঙেইনি, হলো ওভার থ্রো। বাড়তি রান নিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যায় ভারত।
অথচ এমএম মেহেরবের দানবীয় ইনিংসে পুঁজিটা বিশাল পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল টাইগাররা। কিন্তু ফিল্ডাররা একের পর এক ক্যাচ ছেড়েছেন। ইয়াসির আলী ছেড়েছেন দুটি। একটি ছেড়েছেন অধিনায়ক আকবর। এমনকি শেষ ৩ বলে যখন ৮ রান প্রয়োজন, তখন সহজ ক্যাচ ছেড়ে উল্টো ৪ রান দিয়ে ম্যাচ কঠিন করে ফেলেন জিসান আলম।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের শুরুটা ছিল দারুণ। বৈভব সুরিয়াভানশিকে ৫৩ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন প্রিয়ানশ আরিয়া। তাও মাত্র ২২ বলে। ঝড়ো এই জুটি ভাঙেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন। তাতেই রানের গতিতে লাগাম দিতে পারে টাইগাররা। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টাইগাররা ম্যাচে ফিরলেও, ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ম্যাচে ফেরে ভারত।
দুটি সহজ জীবন পেয়ে জিতেশ শর্মা করেন ৩৩ রান, যিনি ফিরতে পারতেন ৬ রানে। নেহাল বাধেরাও পান জীবন। তাতে অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। ৬ বলে ১৩ রান করা আশুতোষ শর্মা জীবন পান একটি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ
জয়ের নায়ক রিপন মন্ডলের উল্লাস
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শুক্রবার,(২১ নভেম্বর ২০২৫) দোহার ওয়েস্ট অ্যান্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মূল ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই দলই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে তুলেছিল।
টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে বল হাতে স্বাভাবিকভাবেই অটোচয়েজ ছিলেন রিপন মণ্ডল। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারি তিনি। আর তার প্রথম দুই বলেই তার প্রমাণ রাখেন এই পেসার। প্রথম দুই বলেই ফেলে দেন ভারতের দুই ব্যাটারকে। তবে তার কৃতিত্ব যেন মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন ইয়াসির আলী। এক রানের প্রয়োজনে যান ছক্কা হাঁকাতে, হন আউট। তবে পরের বল ওয়াইড করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দেন সুয়াশ শর্মা।
এর আগে নিজেদের একের পর এক ভুলের খেসারত দিয়ে জয়ের প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। তাদের সমান ১৯৪ রান করে ভারত ম্যাচ টাই করে ।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় আকবর আলীর দল। শুরুটা খারাপ করেননি দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ও জিসান আলম। তাদের ওপেনিং জুটিতে ৪.২ ওভারেই আসে ৪৩ রান।
এরপর জিসান আউট হয়েছেন ১৪ বলে ২৬ রান করে। এরপর দ্রুত আরও বেশ কিছু উইকেট হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন সোহান। তিনি ৪৬ বলে ৬৫ রান করে আউট হয়ে যান।
তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি জাওয়াদ আবরার, আকবর আলী ও আবু হায়দার রনিও। ব্যর্থ হয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রান দুইশ’র কাছাকাছি নিয়ে গেছেন মেহেরব ও ইয়াসির রাব্বি।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। সেখান থেকে ২০ ওভারের খেলা শেষে স্কোর গিয়ে দাঁড়ালো কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯৪। শেষ দুই ওভারে ৫০ রান তুলেছেন দুই ব্যাটার। ১৯তম ওভারে নামান ধীরকে চার ছক্কা ও এক চারের মারে ২৮ রান তুলেছিলেন টাইগার ব্যাটার এসএম মেহেরব। ইনিংসের শেষ ওভারে যোগ হয় আরও ২২ রান। মেহেরবের সঙ্গে ব্যাট চালালেন ইয়াসির আলি রাব্বিও।
মূল ম্যাচে শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। হার্শ দুবে বল ব্যাটে ঠিকভাবে লাগাতে না পারায় চলে যায় লংঅনে। ফিল্ডার ঠিকভাবে ছুঁড়তে না পারলেও দুই রানের বেশি হওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। বল ধরার পর স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকলেই হতো আকবরের। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে রানআউট করতে গেলেন অধিনায়ক। তাও বল নিয়ে হাত দিয়ে স্টাম্প ভাঙতে গেলেন না, ছুঁড়ে দিলেন বল। তাতে স্টাম্প তো ভাঙেইনি, হলো ওভার থ্রো। বাড়তি রান নিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যায় ভারত।
অথচ এমএম মেহেরবের দানবীয় ইনিংসে পুঁজিটা বিশাল পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল টাইগাররা। কিন্তু ফিল্ডাররা একের পর এক ক্যাচ ছেড়েছেন। ইয়াসির আলী ছেড়েছেন দুটি। একটি ছেড়েছেন অধিনায়ক আকবর। এমনকি শেষ ৩ বলে যখন ৮ রান প্রয়োজন, তখন সহজ ক্যাচ ছেড়ে উল্টো ৪ রান দিয়ে ম্যাচ কঠিন করে ফেলেন জিসান আলম।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের শুরুটা ছিল দারুণ। বৈভব সুরিয়াভানশিকে ৫৩ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন প্রিয়ানশ আরিয়া। তাও মাত্র ২২ বলে। ঝড়ো এই জুটি ভাঙেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন। তাতেই রানের গতিতে লাগাম দিতে পারে টাইগাররা। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টাইগাররা ম্যাচে ফিরলেও, ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ম্যাচে ফেরে ভারত।
দুটি সহজ জীবন পেয়ে জিতেশ শর্মা করেন ৩৩ রান, যিনি ফিরতে পারতেন ৬ রানে। নেহাল বাধেরাও পান জীবন। তাতে অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। ৬ বলে ১৩ রান করা আশুতোষ শর্মা জীবন পান একটি।