স্কোর: বাংলাদেশ ৪৭৬ ও ১৫৬/১; আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৬৫।
ভূমিকম্পের পর শুক্রবার খেলা কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ থাকে
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬৭ রানে এগিয়ে টাইগাররা।
ভূমিকম্পের তীব্র ধাক্কায় থমকে থাকে খেলা
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে ভূমিকম্পের পর প্রায় তিন মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ ছিল।
সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে আয়ারল্যান্ড ইনিংসের ৫৬তম ওভারে হঠাৎ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চারপাশ। ওই সময় ভূমিকম্পের কারণে মাঠ কাঁপতে শুরু করলে খেলোয়াড় এবং ম্যাচ কর্মকর্তারা মাঠের মধ্যে থমকে যান। ফলে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন অনফিল্ড আম্পায়াররা। মিডিয়া কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ছুটে যান মিডিয়া ভবনের সামনে। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও খেলা শুরু হয়।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৭৬ রানের জবাবে ২৬৫ রানে অলআউট হয় সফরকারী আয়ারল্যান্ড। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ২১১ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়ে আইরিশরা। কিন্তু আয়ারল্যান্ডকে ফলোঅন না করিয়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে টাইগাররা। জয় ৬০ এলবিডব্লিউ হন। সাদমান ৬৯* ও মমিনুল ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৯৮ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে ছিল আইরিশরা। ফলোঅন এড়াতে আরও ১৭৮ রান দরকার ছিল তাদের।
শুক্রবার,(২১ নভেম্বর ২০২৫) সকালে টাইগার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার টাকার ও অভিষিক্ত ডোহানি। হাফ সেঞ্চুরির জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। দিনের ২০তম ওভারের প্রথম বলে ডোহানিকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন স্পিনার তাইজুল। ৪টি চারে ৪৬ রান করেন ডোহানি। ষষ্ঠ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন টাকার-ডোহানি। একই ওভারের তৃতীয় বলে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার এন্ডি ম্যাকব্রাইনকে (০) বোল্ড করেন তাইজুল।
১৭৫ রানে সপ্তম উইকেট পতনে ২শ’র নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি টাকার ও জর্ডান নিল। অষ্টম উইকেটে ৭৪ রান যোগ করে দলের স্কোর আড়াইশ’র কাছে নিয়ে যান তারা। হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা নিলকে থামিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার এবাদত হোসেন। ৯ চারে ৪৯ রান করেন নিল।
এরপর গ্যাভিন হোয়েকে পেসার খালেদ আহমেদ এবং ম্যাথু হামফ্রিজকে শিকার করে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ২৬৫ রানে আটকে দেন তাইজুল। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে অন্য প্রান্তে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন টাকার। ১৭১ বল খেলে ৭টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি।
বাংলাদেশের তাইজুল ৭৬ রানে ৪ উইকেট নেন। এই ইনিংসের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। সাকিব ৭১ এবং তাইজুল ৫৭ টেস্টে সমান ২৪৬টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া হাসান মুরাদ ও খালেদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।
আইরিশদের ফলোঅন না করিয়ে আবারও ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। ১৮৭ বল খেলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৬০ রানে আউট হন জয়। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিন শেষ করেন সাদমান ও মমিনুল হক। অষ্টম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া সাদমান ৫টি চারে ৬৯ রানে এবং ৪ বাউন্ডারিতে ১৯ রানে অপরাজিত আছেন মমিনুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৪৭৬ ও ৩৭ ওভারে ১৫৬/১ (জয় ৬০, সাদমান ৬৯*, মমিনুল ১৯*; হোয়ে ১/৫৬)।
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস ৮৮.৩ ওভারে ২৬৫ (আগের দিন ৯৮/৫) (টাকার ৭৫*, ডোহেনি ৪৬, ম্যাকব্রাইন ০, নিল ৪৯, হোয়ে ৪, হামফ্রিজ ৮; ইবাদত ১/৪৭, খালেদ ২/৩৯, তাইজুল ৩৫.৩-৬-৭৫-৪, মুরাদ ২/৫৩, মিরাজ ১/৩৮)।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
স্কোর: বাংলাদেশ ৪৭৬ ও ১৫৬/১; আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৬৫।
ভূমিকম্পের পর শুক্রবার খেলা কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ থাকে
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬৭ রানে এগিয়ে টাইগাররা।
ভূমিকম্পের তীব্র ধাক্কায় থমকে থাকে খেলা
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে ভূমিকম্পের পর প্রায় তিন মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ ছিল।
সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে আয়ারল্যান্ড ইনিংসের ৫৬তম ওভারে হঠাৎ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চারপাশ। ওই সময় ভূমিকম্পের কারণে মাঠ কাঁপতে শুরু করলে খেলোয়াড় এবং ম্যাচ কর্মকর্তারা মাঠের মধ্যে থমকে যান। ফলে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন অনফিল্ড আম্পায়াররা। মিডিয়া কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ছুটে যান মিডিয়া ভবনের সামনে। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও খেলা শুরু হয়।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৭৬ রানের জবাবে ২৬৫ রানে অলআউট হয় সফরকারী আয়ারল্যান্ড। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ২১১ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়ে আইরিশরা। কিন্তু আয়ারল্যান্ডকে ফলোঅন না করিয়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে টাইগাররা। জয় ৬০ এলবিডব্লিউ হন। সাদমান ৬৯* ও মমিনুল ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৯৮ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে ছিল আইরিশরা। ফলোঅন এড়াতে আরও ১৭৮ রান দরকার ছিল তাদের।
শুক্রবার,(২১ নভেম্বর ২০২৫) সকালে টাইগার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার টাকার ও অভিষিক্ত ডোহানি। হাফ সেঞ্চুরির জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। দিনের ২০তম ওভারের প্রথম বলে ডোহানিকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন স্পিনার তাইজুল। ৪টি চারে ৪৬ রান করেন ডোহানি। ষষ্ঠ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন টাকার-ডোহানি। একই ওভারের তৃতীয় বলে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার এন্ডি ম্যাকব্রাইনকে (০) বোল্ড করেন তাইজুল।
১৭৫ রানে সপ্তম উইকেট পতনে ২শ’র নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি টাকার ও জর্ডান নিল। অষ্টম উইকেটে ৭৪ রান যোগ করে দলের স্কোর আড়াইশ’র কাছে নিয়ে যান তারা। হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা নিলকে থামিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার এবাদত হোসেন। ৯ চারে ৪৯ রান করেন নিল।
এরপর গ্যাভিন হোয়েকে পেসার খালেদ আহমেদ এবং ম্যাথু হামফ্রিজকে শিকার করে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ২৬৫ রানে আটকে দেন তাইজুল। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে অন্য প্রান্তে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন টাকার। ১৭১ বল খেলে ৭টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি।
বাংলাদেশের তাইজুল ৭৬ রানে ৪ উইকেট নেন। এই ইনিংসের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। সাকিব ৭১ এবং তাইজুল ৫৭ টেস্টে সমান ২৪৬টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া হাসান মুরাদ ও খালেদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।
আইরিশদের ফলোঅন না করিয়ে আবারও ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। ১৮৭ বল খেলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৬০ রানে আউট হন জয়। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিন শেষ করেন সাদমান ও মমিনুল হক। অষ্টম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া সাদমান ৫টি চারে ৬৯ রানে এবং ৪ বাউন্ডারিতে ১৯ রানে অপরাজিত আছেন মমিনুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৪৭৬ ও ৩৭ ওভারে ১৫৬/১ (জয় ৬০, সাদমান ৬৯*, মমিনুল ১৯*; হোয়ে ১/৫৬)।
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস ৮৮.৩ ওভারে ২৬৫ (আগের দিন ৯৮/৫) (টাকার ৭৫*, ডোহেনি ৪৬, ম্যাকব্রাইন ০, নিল ৪৯, হোয়ে ৪, হামফ্রিজ ৮; ইবাদত ১/৪৭, খালেদ ২/৩৯, তাইজুল ৩৫.৩-৬-৭৫-৪, মুরাদ ২/৫৩, মিরাজ ১/৩৮)।