টাইগারদের প্রয়োজন ৪ উইকেট এবং আইরিশদের ৩৩৩ রান
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের দ্বারপ্রান্তে স্বাগতিক বাংলাদেশ। রোববার শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪ উইকেট এবং আয়ারল্যান্ডের দরকার আরও ৩৩৩ রান।
স্বাগতিকদের ছুঁড়ে দেয়া ৫০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৭৬ ও আয়ারল্যান্ড ২৬৫ রান করেছিল। ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬৭ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ২১১ রানে লিডের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ১ উইকেটে ১৫৬ রান করেছিল টাইগাররা। সাদমান ইসলাম ৬৯ ও মোমিনুল হক ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারে স্পিনার ম্যাকব্রিনের বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান। ৭টি চারে ১১৯ বল খেলে ৭৮ রান করেন তিনি।
ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দুই অঙ্কে পা রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। ৮ রান করা শান্ত এবার ১ রান করেন । ১৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর মোমিনুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক। আইরিশ বোলারদের সামনে স্বাচ্ছেন্দ্যে রানের চাকা ঘুরিয়েছেন তারা। এতে মোমিনুল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৭ রানে লেগ স্পিনার গ্যাভিন হোয়ের শিকার হন মোমিনুল। ১১৮ বল খেলে ১০টি চার মারেন তিনি। মোমিনুলের আউটের পরই ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এতে জয়ের জন্য ৫০৯ রানের বড় টার্গেট পায় আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে মোমিনুল-মুশফিক ১২৩ রানের জুটি গড়েন। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। হোয়ে ২টি, জর্ডান নিল-এন্ডি ম্যাকব্রিন ১টি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। বলবির্নিকে ১৩ ও স্টার্লিংকে ৯ রানে ফেরান স্পিনার তাইজুল। বলবির্নিকে আউট করে সাকিবকে টপকে টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ শিকারের মালিক হন তাইজুল। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেন কারমাইকেল ও হ্যারি টেক্টর। ১৯ রান করা কারমাইকেলকে শিকার করে জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের আরেক স্পিনার হাসান মুরাদ।
৭৭ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে ৪১ রান এনে দেন টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে মুরাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৫০ রানেই থেমে যান টেক্টর। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৭৫ রান করা লরকান টাকারকে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত বিদায় দেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৭ রান করেন টাকার।
১২৭ রানে আয়ারল্যান্ডের পঞ্চম উইকেট পতনে আজই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তখনও দিনের প্রায় ১৮ ওভার খেলা বাকি ছিল। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে স্টিফেন ডোহানিকে নিয়ে ৮১ বলে ৩৬ এবং সপ্তম উইকেটে ম্যাকব্রিনের সাথে ২৫ বলে ১৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে টেস্টকে পঞ্চম দিনে নিয়ে যান ক্যাম্ফার। ডোহানি ১৫ রানে তাইজুলের শিকার হলেও, ক্যাম্ফার ৩৪ ও ম্যাকব্রিন ১১ রানে অপরাজিত আছেন। তাইজুল ৩টি, মুরাদ ২টি ও খালেদ ১টি উইকেট নেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
টাইগারদের প্রয়োজন ৪ উইকেট এবং আইরিশদের ৩৩৩ রান
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের দ্বারপ্রান্তে স্বাগতিক বাংলাদেশ। রোববার শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪ উইকেট এবং আয়ারল্যান্ডের দরকার আরও ৩৩৩ রান।
স্বাগতিকদের ছুঁড়ে দেয়া ৫০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৭৬ ও আয়ারল্যান্ড ২৬৫ রান করেছিল। ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬৭ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ২১১ রানে লিডের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ১ উইকেটে ১৫৬ রান করেছিল টাইগাররা। সাদমান ইসলাম ৬৯ ও মোমিনুল হক ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। শনিবার,(২২ নভেম্বর ২০২৫) চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারে স্পিনার ম্যাকব্রিনের বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান। ৭টি চারে ১১৯ বল খেলে ৭৮ রান করেন তিনি।
ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দুই অঙ্কে পা রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। ৮ রান করা শান্ত এবার ১ রান করেন । ১৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর মোমিনুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক। আইরিশ বোলারদের সামনে স্বাচ্ছেন্দ্যে রানের চাকা ঘুরিয়েছেন তারা। এতে মোমিনুল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮৭ রানে লেগ স্পিনার গ্যাভিন হোয়ের শিকার হন মোমিনুল। ১১৮ বল খেলে ১০টি চার মারেন তিনি। মোমিনুলের আউটের পরই ৪ উইকেটে ২৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এতে জয়ের জন্য ৫০৯ রানের বড় টার্গেট পায় আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে মোমিনুল-মুশফিক ১২৩ রানের জুটি গড়েন। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। হোয়ে ২টি, জর্ডান নিল-এন্ডি ম্যাকব্রিন ১টি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। বলবির্নিকে ১৩ ও স্টার্লিংকে ৯ রানে ফেরান স্পিনার তাইজুল। বলবির্নিকে আউট করে সাকিবকে টপকে টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ শিকারের মালিক হন তাইজুল। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেন কারমাইকেল ও হ্যারি টেক্টর। ১৯ রান করা কারমাইকেলকে শিকার করে জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের আরেক স্পিনার হাসান মুরাদ।
৭৭ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে ৪১ রান এনে দেন টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে মুরাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৫০ রানেই থেমে যান টেক্টর। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৭৫ রান করা লরকান টাকারকে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত বিদায় দেন পেসার খালেদ আহমেদ। ৭ রান করেন টাকার।
১২৭ রানে আয়ারল্যান্ডের পঞ্চম উইকেট পতনে আজই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তখনও দিনের প্রায় ১৮ ওভার খেলা বাকি ছিল। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে স্টিফেন ডোহানিকে নিয়ে ৮১ বলে ৩৬ এবং সপ্তম উইকেটে ম্যাকব্রিনের সাথে ২৫ বলে ১৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে টেস্টকে পঞ্চম দিনে নিয়ে যান ক্যাম্ফার। ডোহানি ১৫ রানে তাইজুলের শিকার হলেও, ক্যাম্ফার ৩৪ ও ম্যাকব্রিন ১১ রানে অপরাজিত আছেন। তাইজুল ৩টি, মুরাদ ২টি ও খালেদ ১টি উইকেট নেন।