ইয়ানসেন
দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজেদের মাঠে ধরাশায়ী করা এক সময় ভারতের জন্য ছিল রুটিন কাজ। সেই প্রোটিয়ারা এবার রিশভ পান্তদের দিচ্ছে চরম বিব্রতকর সময়।
কলকাতায় প্রথম টেস্ট জেতার পর গৌহাটিতেও দাপট দক্ষিণ আফ্রিকার। মার্কো ইয়ানসেনের তোপে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তারা। সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় টেস্টের যে পরিস্থিতি, এই জায়গা থেকে জিততে পারে একটাই দল- দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা আগে ব্যাট করে ৪৮৯ রান করার পর স্বাগতিকদের ইনিংস শেষ করে দেয় ২০১ রানে। বাঁহাতি পেসার ইয়ানসেন নেন ৪৮ রানে ৬ উইকেট।
ভারত ফলোঅনে পড়লেও তা করাননি টেম্বা বাভুমা। আবার ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রান করে। হাতে সব উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড এখন ৩১৪ রানের।
আগের দিনের বিনা উইকেটে ৯ রান নিয়ে সোমবার দিন শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার জয়সওয়াল ও রাহুল। উদ্বোধনী জুটি এগুতে থাকে বেশ ভালোভাবে।
৬৩ বলে ২২ করা রাহুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে যেন উইকেট পতনের দ্বার খুলে দেন কেশব মহারাজ। ৩১ রান যোগ হতে আরেক ওপেনার জয়সওয়াল ৯৭ বলে ৫৮ করে শিকার হন হার্মারের। এরপর যেন তাসের ঘর ভারতের ইনিংস। ২৬ রানের মধ্যে একে একে ৫ ব্যাটার-সাই সুদর্শন, ধ্রুব জুরেল, রিশভ পান্ত, নিতিশ রেড্ডি ও রবীন্দ্র জাদেজা প্যাভিলিয়নে ফিরেন। সুদর্শনকে থামান হার্মার। বাকি উইকেটগুলো নেন ইয়ানসেন। আগের টেস্টে তিনে খেলা ওয়াশিংটন সুন্দর নামেন আটে, তিনিই ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কুলদীপকে নিয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭২ রানের জুটি গড়েন সুন্দর। ৯২ বলে ৪৮ করা সুন্দরকে হার্মার তুলে নিলে বাকি দুই উইকেট দ্রুত ফেলে ইনিংস মুড়ে দেন ইয়ানসেন।
নিজেদের মাঠে লজ্জার সামনে ভারত, গৌহাটি টেস্ট জিতলেই ইতিহাস গড়বে দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় প্রথম টেস্ট হেরে দু’ম্যাচের সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে গৌতম গম্ভীরের দল। এই ম্যাচ হারলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে ভারতের মাটিতেই চুনকাম করার নজির গড়বে। ভারতের মাটিতে ভারতকে প্রথমবার চুনকাম করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাই। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সাচিন টেন্ডুলকারের নেতৃত্বাধীন দল দু’টেস্টের সিরিজ হেরেছিল ০-২ ব্যবধানে। দ্বিতীয় বার এমন হয়েছে গতবছর। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছিলেন রোহিত শর্মারা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ইয়ানসেন
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিজেদের মাঠে ধরাশায়ী করা এক সময় ভারতের জন্য ছিল রুটিন কাজ। সেই প্রোটিয়ারা এবার রিশভ পান্তদের দিচ্ছে চরম বিব্রতকর সময়।
কলকাতায় প্রথম টেস্ট জেতার পর গৌহাটিতেও দাপট দক্ষিণ আফ্রিকার। মার্কো ইয়ানসেনের তোপে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তারা। সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় টেস্টের যে পরিস্থিতি, এই জায়গা থেকে জিততে পারে একটাই দল- দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা আগে ব্যাট করে ৪৮৯ রান করার পর স্বাগতিকদের ইনিংস শেষ করে দেয় ২০১ রানে। বাঁহাতি পেসার ইয়ানসেন নেন ৪৮ রানে ৬ উইকেট।
ভারত ফলোঅনে পড়লেও তা করাননি টেম্বা বাভুমা। আবার ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রান করে। হাতে সব উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড এখন ৩১৪ রানের।
আগের দিনের বিনা উইকেটে ৯ রান নিয়ে সোমবার দিন শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার জয়সওয়াল ও রাহুল। উদ্বোধনী জুটি এগুতে থাকে বেশ ভালোভাবে।
৬৩ বলে ২২ করা রাহুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে যেন উইকেট পতনের দ্বার খুলে দেন কেশব মহারাজ। ৩১ রান যোগ হতে আরেক ওপেনার জয়সওয়াল ৯৭ বলে ৫৮ করে শিকার হন হার্মারের। এরপর যেন তাসের ঘর ভারতের ইনিংস। ২৬ রানের মধ্যে একে একে ৫ ব্যাটার-সাই সুদর্শন, ধ্রুব জুরেল, রিশভ পান্ত, নিতিশ রেড্ডি ও রবীন্দ্র জাদেজা প্যাভিলিয়নে ফিরেন। সুদর্শনকে থামান হার্মার। বাকি উইকেটগুলো নেন ইয়ানসেন। আগের টেস্টে তিনে খেলা ওয়াশিংটন সুন্দর নামেন আটে, তিনিই ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কুলদীপকে নিয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭২ রানের জুটি গড়েন সুন্দর। ৯২ বলে ৪৮ করা সুন্দরকে হার্মার তুলে নিলে বাকি দুই উইকেট দ্রুত ফেলে ইনিংস মুড়ে দেন ইয়ানসেন।
নিজেদের মাঠে লজ্জার সামনে ভারত, গৌহাটি টেস্ট জিতলেই ইতিহাস গড়বে দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় প্রথম টেস্ট হেরে দু’ম্যাচের সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে গৌতম গম্ভীরের দল। এই ম্যাচ হারলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে ভারতের মাটিতেই চুনকাম করার নজির গড়বে। ভারতের মাটিতে ভারতকে প্রথমবার চুনকাম করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাই। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সাচিন টেন্ডুলকারের নেতৃত্বাধীন দল দু’টেস্টের সিরিজ হেরেছিল ০-২ ব্যবধানে। দ্বিতীয় বার এমন হয়েছে গতবছর। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছিলেন রোহিত শর্মারা।