বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী বাংলাদেশ নারী দল
ভারত যখন দুইবার তারিখ দিয়েও নারী কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারেনি, বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জটা নেয় এবং প্রথমবারেই দারুণ সফল এক আয়োজনে মন জয় করেছে সবার। চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সেই সক্ষমতা শুধু দেখায়নি, সুপরিকল্পিত এক আয়োজনে উদাহরণ তৈরি করে দিয়েছে।
গতকাল সোমবার ফাইনালে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমও বলেন, এ ধরনের বড় মাপের আয়োজনে ভেন্যু ব্যবস্থাপনা, অ্যাথলেটদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত থেকে শুরু করে নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে যেখানে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই- সেসব কিছুই কাবাডি ফেডারেশন সুচারুভাবে সম্পন্ন করে একটা বার্তা দিয়েছে যে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারবে।
কাবাডি ফেডারেশন সরকারের সহযোগিতা পেয়েছে শুরু থেকে। বড় অঙ্কের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ১০টি দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি একেবারে নির্বিঘœ করা হয়েছিল। হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছিল ঢাকা রিজেন্সি হোটেল প্রতিটি খেলোয়াড় সেখানকার আতিথিয়েতার প্রশংসা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশগ্রহণকারী দলের অধিনায়ককে নিয়ে বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচনের মধ্য দিয়ে যে আসরের সূচনা করেছিলেন, আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করে তারই পর্দা নেমেছে গতকাল সোমবার। গত ১৫ নভেম্বর থেকে টানা ১০ দিন মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম মেতেছিল কাবাডি উৎসবে। প্রায় প্রতিটা ম্যাচে গ্যালারি ভর্তি দর্শক সমর্থন জুগিয়ে গেছেন দলগুলোকে। স্বাগতিক বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, ইরান, চাইনিজ তাইপে তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে মুগ্ধ করেছে। সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে। ফলে এই আসর দিয়ে দেশের নারী কাবাডির জনপ্রিয়তাও বেড়েছে বহুগুণ।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগের কণ্ঠেও তাই সন্তুষ্টি, ‘বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছি। আর এ আয়োজনকে পূর্ণতা দিয়েছে আমাদের নারী দল, দারুণ খেলা উপহার দিয়ে পদক জয়ের মাধ্যমে। এই অর্জনে সবার অবদান আছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনেরও সহযোগিতার মাধ্যমে এটা আমরা সফল করেছি।’
তিনটি মহাদেশ মিলেছিল এক মোহনায়। এশিয়া থেকে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ইরান, নেপাল ও চাইনিজ তাইপে। ইউরোপ থেকে জার্মানি ও পোল্যান্ড এবং আফ্রিকা থেকে কেনিয়া, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার টুর্নামেন্টটিকে দিয়েছিল বৈচিত্র্য, বহুমাত্রিকতা। সর্বশেষ উত্তেজনাময় এক ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টের আনন্দমুখর সমাপ্তি। শেষ দিনেও মাঠে ছিল প্রতিটি দল। নেচে-গেয়ে, উচ্ছ্বাস নিয়ে বাংলাদেশকে বিদায় বলেছেন সবাই।
পুরস্কারের তালিকা
চ্যাম্পিয়ন : ভারত (স্বর্ণপদক)
রানার্স-আপ : চাইনিজ তাইপে (রৌপ্যপদক)
তৃতীয় স্থান : বাংলাদেশ (ব্রোঞ্জপদক )
চতুর্থ স্থান : ইরান (ব্রোঞ্জপদক)
টুর্নামেন্টসেরা ডিফেন্ডার : স্মৃতি আক্তার (বাংলাদেশ)
টুর্নামেন্টসেরা রেইডার : মিম লিন (চাইনিজ তাইপে)
টুর্নামেন্টের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড় : সাঞ্জু দেবী (ভারত)
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী বাংলাদেশ নারী দল
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
ভারত যখন দুইবার তারিখ দিয়েও নারী কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারেনি, বাংলাদেশ সেই চ্যালেঞ্জটা নেয় এবং প্রথমবারেই দারুণ সফল এক আয়োজনে মন জয় করেছে সবার। চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সেই সক্ষমতা শুধু দেখায়নি, সুপরিকল্পিত এক আয়োজনে উদাহরণ তৈরি করে দিয়েছে।
গতকাল সোমবার ফাইনালে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমও বলেন, এ ধরনের বড় মাপের আয়োজনে ভেন্যু ব্যবস্থাপনা, অ্যাথলেটদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত থেকে শুরু করে নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে যেখানে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই- সেসব কিছুই কাবাডি ফেডারেশন সুচারুভাবে সম্পন্ন করে একটা বার্তা দিয়েছে যে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারবে।
কাবাডি ফেডারেশন সরকারের সহযোগিতা পেয়েছে শুরু থেকে। বড় অঙ্কের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি ১০টি দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি একেবারে নির্বিঘœ করা হয়েছিল। হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছিল ঢাকা রিজেন্সি হোটেল প্রতিটি খেলোয়াড় সেখানকার আতিথিয়েতার প্রশংসা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশগ্রহণকারী দলের অধিনায়ককে নিয়ে বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচনের মধ্য দিয়ে যে আসরের সূচনা করেছিলেন, আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করে তারই পর্দা নেমেছে গতকাল সোমবার। গত ১৫ নভেম্বর থেকে টানা ১০ দিন মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম মেতেছিল কাবাডি উৎসবে। প্রায় প্রতিটা ম্যাচে গ্যালারি ভর্তি দর্শক সমর্থন জুগিয়ে গেছেন দলগুলোকে। স্বাগতিক বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, ইরান, চাইনিজ তাইপে তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে মুগ্ধ করেছে। সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে। ফলে এই আসর দিয়ে দেশের নারী কাবাডির জনপ্রিয়তাও বেড়েছে বহুগুণ।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগের কণ্ঠেও তাই সন্তুষ্টি, ‘বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছি। আর এ আয়োজনকে পূর্ণতা দিয়েছে আমাদের নারী দল, দারুণ খেলা উপহার দিয়ে পদক জয়ের মাধ্যমে। এই অর্জনে সবার অবদান আছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনেরও সহযোগিতার মাধ্যমে এটা আমরা সফল করেছি।’
তিনটি মহাদেশ মিলেছিল এক মোহনায়। এশিয়া থেকে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ইরান, নেপাল ও চাইনিজ তাইপে। ইউরোপ থেকে জার্মানি ও পোল্যান্ড এবং আফ্রিকা থেকে কেনিয়া, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার টুর্নামেন্টটিকে দিয়েছিল বৈচিত্র্য, বহুমাত্রিকতা। সর্বশেষ উত্তেজনাময় এক ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টের আনন্দমুখর সমাপ্তি। শেষ দিনেও মাঠে ছিল প্রতিটি দল। নেচে-গেয়ে, উচ্ছ্বাস নিয়ে বাংলাদেশকে বিদায় বলেছেন সবাই।
পুরস্কারের তালিকা
চ্যাম্পিয়ন : ভারত (স্বর্ণপদক)
রানার্স-আপ : চাইনিজ তাইপে (রৌপ্যপদক)
তৃতীয় স্থান : বাংলাদেশ (ব্রোঞ্জপদক )
চতুর্থ স্থান : ইরান (ব্রোঞ্জপদক)
টুর্নামেন্টসেরা ডিফেন্ডার : স্মৃতি আক্তার (বাংলাদেশ)
টুর্নামেন্টসেরা রেইডার : মিম লিন (চাইনিজ তাইপে)
টুর্নামেন্টের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড় : সাঞ্জু দেবী (ভারত)