২য় ইনিংসে হারমানের বলে বোল্ড হন কে এল রাহুল
প্রথম টেস্ট হেরে ব্যাকফুটে থাকা ভারতের সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের বিকল্প ছিল না । কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হচ্ছে না তাদের। সিরিজ জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রেকর্ড ৫৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
গৌহাটিতে মঙ্গলবার,(২৫ নভেম্বর ২০২৫) ট্রিস্টান স্টাবসের দুর্দান্ত ৯৪ রানের ইনিংসের পর ২৬০-৫ স্কোরে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারতকে রেকর্ড রানের লক্ষ্য দেয় প্রোটিয়ারা। টেস্ট ইতিহাসে যা সফলভাবে তাড়া করার রেকর্ডের অনেক ওপরে।
দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা প্রোটিয়ারা এ ম্যাচ ড্র করলেও ২০০০ সালের পর প্রথমবার ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে। কলকাতায় প্রথম টেস্টে হারের পর ঘরের মাঠে শেষ ছয় টেস্টে ভারতের এটি ছিল চতুর্থ হার। এ ম্যাচে বাঁচতে হলে তিন সেশন ধরে টিকে থাকতে হবে রিশাভ পান্তের দলকে।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান।
ভারতের সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া ছিল ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪০৬। ফলে গুয়াহাটিতে জয় পাওয়া ভারতীয়দের জন্য প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।
সেই কাজ আরও কঠিন হয়ে গেছে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (১৩) ও লোকেশ রাহুলের (৬) বিদায়ে। সাই সুদর্শনের সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা কুলদিপ যাদব উইকেটে আছেন।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ ব্যাটার ছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস।
১৮০ বলের ধৈর্যশীল, দায়িত্বশীল ইনিংসটি শেষ হয় রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে। ৯ চার ও ১ ছক্কায় তার ৯৪ রানের দাপুটে ব্যাটিং ভারতীয় বোলারদের বিপাকে ফেলে দেয়।
স্টাবস চতুর্থ উইকেটে টনি ডি জর্জির সঙ্গে যোগ করেন ১০১ রান। ডি জর্জি ৪৯ রানে পৌঁছানোর পর জাদেজার এলবিডাব্লিউ ফাঁদে পড়েন। জাদেজাই শেষ পর্যন্ত ইনিংসে ৪/৬২ নিয়ে ভারতের সেরা বোলার।
তৃতীয় দিনে ভারতকে মাত্র ২০১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২৮৮ রানের লিড নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবুও তারা ফলো-অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামে এবং স্বাগতিকদের ওপর চাপ বেড়ে যায়।
বিনা উইকেটে ২৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে প্রোটিয়ারা। ওপেনার রায়ান রিকেলটন তুলে নেন ৩৫ রান, তবে কভার দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে জাদেজার বলেই ধরা পড়েন। আরেক ওপেনার আইডেন মার্করামকে জাদেজা বোল্ড করেন ২৯ রানে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৩ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৮৯ ও ২৬০/৫ ডিক্লে. (আগের দিন ২৬/০) (রিকেলটন ৩৫, মার্করাম ২৯, স্টাবস ৯৪, বাভুমা ৩, ডি জর্জি ৪৯, মুল্ডার ৩৫*; জাদেজা ৪/৬২, ওয়াশিংটন ১/৬৭)।
ভারত ২০১ ও ১৫.৫ ওভারে ২৭/২ (জয়সওয়াল ১৩, রাহুল ৬, সুদার্শান ২*, কুলদিপ ৪*; ইয়ানসেন ১/১৪, হার্মার ১/১)।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
২য় ইনিংসে হারমানের বলে বোল্ড হন কে এল রাহুল
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম টেস্ট হেরে ব্যাকফুটে থাকা ভারতের সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের বিকল্প ছিল না । কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হচ্ছে না তাদের। সিরিজ জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রেকর্ড ৫৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
গৌহাটিতে মঙ্গলবার,(২৫ নভেম্বর ২০২৫) ট্রিস্টান স্টাবসের দুর্দান্ত ৯৪ রানের ইনিংসের পর ২৬০-৫ স্কোরে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারতকে রেকর্ড রানের লক্ষ্য দেয় প্রোটিয়ারা। টেস্ট ইতিহাসে যা সফলভাবে তাড়া করার রেকর্ডের অনেক ওপরে।
দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা প্রোটিয়ারা এ ম্যাচ ড্র করলেও ২০০০ সালের পর প্রথমবার ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে। কলকাতায় প্রথম টেস্টে হারের পর ঘরের মাঠে শেষ ছয় টেস্টে ভারতের এটি ছিল চতুর্থ হার। এ ম্যাচে বাঁচতে হলে তিন সেশন ধরে টিকে থাকতে হবে রিশাভ পান্তের দলকে।
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান।
ভারতের সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া ছিল ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪০৬। ফলে গুয়াহাটিতে জয় পাওয়া ভারতীয়দের জন্য প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।
সেই কাজ আরও কঠিন হয়ে গেছে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (১৩) ও লোকেশ রাহুলের (৬) বিদায়ে। সাই সুদর্শনের সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা কুলদিপ যাদব উইকেটে আছেন।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ ব্যাটার ছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস।
১৮০ বলের ধৈর্যশীল, দায়িত্বশীল ইনিংসটি শেষ হয় রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে। ৯ চার ও ১ ছক্কায় তার ৯৪ রানের দাপুটে ব্যাটিং ভারতীয় বোলারদের বিপাকে ফেলে দেয়।
স্টাবস চতুর্থ উইকেটে টনি ডি জর্জির সঙ্গে যোগ করেন ১০১ রান। ডি জর্জি ৪৯ রানে পৌঁছানোর পর জাদেজার এলবিডাব্লিউ ফাঁদে পড়েন। জাদেজাই শেষ পর্যন্ত ইনিংসে ৪/৬২ নিয়ে ভারতের সেরা বোলার।
তৃতীয় দিনে ভারতকে মাত্র ২০১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২৮৮ রানের লিড নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবুও তারা ফলো-অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামে এবং স্বাগতিকদের ওপর চাপ বেড়ে যায়।
বিনা উইকেটে ২৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে প্রোটিয়ারা। ওপেনার রায়ান রিকেলটন তুলে নেন ৩৫ রান, তবে কভার দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে জাদেজার বলেই ধরা পড়েন। আরেক ওপেনার আইডেন মার্করামকে জাদেজা বোল্ড করেন ২৯ রানে। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৩ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৮৯ ও ২৬০/৫ ডিক্লে. (আগের দিন ২৬/০) (রিকেলটন ৩৫, মার্করাম ২৯, স্টাবস ৯৪, বাভুমা ৩, ডি জর্জি ৪৯, মুল্ডার ৩৫*; জাদেজা ৪/৬২, ওয়াশিংটন ১/৬৭)।
ভারত ২০১ ও ১৫.৫ ওভারে ২৭/২ (জয়সওয়াল ১৩, রাহুল ৬, সুদার্শান ২*, কুলদিপ ৪*; ইয়ানসেন ১/১৪, হার্মার ১/১)।