এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স খেলে দেশে ফিরেছে ‘এ’ দল
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের আসরে ফাইনালে সুপার ওভার রোমাঞ্চে হেরে আসার পর গোটা আসরে নিজেদের কিছু ভুল নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক আকবর আলী।
দোহা থেকে আক্ষেপ নিয়ে মঙ্গলবার,(২৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বিমানবন্দরে আকবর বলেন বেশিরভাগ জায়গায় ভালো খেলেও জিততে পারেননি তারা, ‘প্লেয়ার, কোচিং স্টাফ থেকে সবাই একটু হতাশ, যেখান থেকে আমরা ফিরে এসেছি, এরপর সুপার ওভারে হারা সবার জন্য হতাশাজনক। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেয়ার শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। সব মিলিয়ে বলতে হবে আমরা বেশিরভাগ জায়গায় ভালো ক্রিকেট খেলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে, কোনো কোনো ম্যাচে ভুল কম করলে বলতাম আমরা পারফেক্ট টুর্নামেন্ট খেলে ফিরেছি।’
এই আসরে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুই ম্যাচেই সুপার ওভার খেলে বাংলাদেশ। ভারতকে হারালেও হারে পাকিস্তানের কাছে। ভারতের বিপক্ষে সেমির লড়াই সুপার ওভার পর্যন্ত গিয়েছে আকবরের বিস্ময়কর ভুলে। ভারতীয় ব্যাটারকে সহজ রান আউটের সুযোগ তিনি যেভাবে হাতছাড়া করে তিন রান দেন সেটা ছিলো দৃষ্টিকটু। নিজের এই ভুল স্বীকার করেন আকবর, ‘ওই মোমেন্টে কী হয়েছে, আমি নিজেও জানি না। আমি কেন করেছি, এটার কোনো ব্যাখ্যাও নেই। তবে যে ভুলটা আমি করেছি, ওটা অনূর্ধ্ব-১২-এর খেলোয়াড়েরাও করবে না।’
রিপন মন্ডলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপার ওভারে ভারতের বিপক্ষে লক্ষ্য ছিল ১ রানের, তাতেও ১ উইকেট হারিয়ে ওয়াইডের সৌজন্য জেতে বাংলাদেশ। ফাইনালে ১২৫ রান তাড়ায় ৫৩ রানে পড়ে যায় ৭ উইকেট। রাকিবুল হাসান, আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মন্ডল এই খাদের কিনার থেকে ম্যাচ টাই করে ফেলেন। কিন্তু সুপার ওভারে গিয়ে বাংলাদেশ অতিরিক্ত থেকে ৫ রান পেলেও করতে পারে কেবল ৬ রান। সহজেই তা তাড়া করে পাকিস্তান। সুপার ওভারের এমন বেহাল দশায় আকবর অবাক নন, তিনি যুক্তি দিলেন কেউই নাকি এতে অভ্যস্ত নয়, ‘সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। টানা দুইটা ম্যাচে সুপার ওভার খেলার ঘটনা কমই ঘটে। সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়, অনেক সময় ক্লিক করে, অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটাকে।’
সুপার ওভারে পেসার সাকলাইনকে ব্যাট করতে পাঠানোও ছিলো সমালোচনায়। তবে মূল ম্যাচে মোড় ঘোরানো ইনিংস খেলায় তাকে নিয়ে বাজি ধরা হয়েছিলো বলে জানান আকবর, ‘সুপার ওভারে সোহানকে (হাবিবুর) পাঠানো কারণ হলো পুরো টুর্নামেন্টে ও আমাদের সেরা ব্যাটার ছিল। আর সাকলাইন আবদুল গাফফার) ওই ম্যাচে অনেক ভালো টাচে ছিল।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স খেলে দেশে ফিরেছে ‘এ’ দল
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্সের আসরে ফাইনালে সুপার ওভার রোমাঞ্চে হেরে আসার পর গোটা আসরে নিজেদের কিছু ভুল নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক আকবর আলী।
দোহা থেকে আক্ষেপ নিয়ে মঙ্গলবার,(২৫ নভেম্বর ২০২৫) সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বিমানবন্দরে আকবর বলেন বেশিরভাগ জায়গায় ভালো খেলেও জিততে পারেননি তারা, ‘প্লেয়ার, কোচিং স্টাফ থেকে সবাই একটু হতাশ, যেখান থেকে আমরা ফিরে এসেছি, এরপর সুপার ওভারে হারা সবার জন্য হতাশাজনক। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেয়ার শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। সব মিলিয়ে বলতে হবে আমরা বেশিরভাগ জায়গায় ভালো ক্রিকেট খেলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে, কোনো কোনো ম্যাচে ভুল কম করলে বলতাম আমরা পারফেক্ট টুর্নামেন্ট খেলে ফিরেছি।’
এই আসরে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুই ম্যাচেই সুপার ওভার খেলে বাংলাদেশ। ভারতকে হারালেও হারে পাকিস্তানের কাছে। ভারতের বিপক্ষে সেমির লড়াই সুপার ওভার পর্যন্ত গিয়েছে আকবরের বিস্ময়কর ভুলে। ভারতীয় ব্যাটারকে সহজ রান আউটের সুযোগ তিনি যেভাবে হাতছাড়া করে তিন রান দেন সেটা ছিলো দৃষ্টিকটু। নিজের এই ভুল স্বীকার করেন আকবর, ‘ওই মোমেন্টে কী হয়েছে, আমি নিজেও জানি না। আমি কেন করেছি, এটার কোনো ব্যাখ্যাও নেই। তবে যে ভুলটা আমি করেছি, ওটা অনূর্ধ্ব-১২-এর খেলোয়াড়েরাও করবে না।’
রিপন মন্ডলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপার ওভারে ভারতের বিপক্ষে লক্ষ্য ছিল ১ রানের, তাতেও ১ উইকেট হারিয়ে ওয়াইডের সৌজন্য জেতে বাংলাদেশ। ফাইনালে ১২৫ রান তাড়ায় ৫৩ রানে পড়ে যায় ৭ উইকেট। রাকিবুল হাসান, আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মন্ডল এই খাদের কিনার থেকে ম্যাচ টাই করে ফেলেন। কিন্তু সুপার ওভারে গিয়ে বাংলাদেশ অতিরিক্ত থেকে ৫ রান পেলেও করতে পারে কেবল ৬ রান। সহজেই তা তাড়া করে পাকিস্তান। সুপার ওভারের এমন বেহাল দশায় আকবর অবাক নন, তিনি যুক্তি দিলেন কেউই নাকি এতে অভ্যস্ত নয়, ‘সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। টানা দুইটা ম্যাচে সুপার ওভার খেলার ঘটনা কমই ঘটে। সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়, অনেক সময় ক্লিক করে, অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটাকে।’
সুপার ওভারে পেসার সাকলাইনকে ব্যাট করতে পাঠানোও ছিলো সমালোচনায়। তবে মূল ম্যাচে মোড় ঘোরানো ইনিংস খেলায় তাকে নিয়ে বাজি ধরা হয়েছিলো বলে জানান আকবর, ‘সুপার ওভারে সোহানকে (হাবিবুর) পাঠানো কারণ হলো পুরো টুর্নামেন্টে ও আমাদের সেরা ব্যাটার ছিল। আর সাকলাইন আবদুল গাফফার) ওই ম্যাচে অনেক ভালো টাচে ছিল।’