alt

শেরপুরে চায়না কমলার ডালে ঝুলে আছে মাসুদের স্বপ্ন

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া) : বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুর (বগুড়া) : মাসুদুর রহমান মাসুদের কমলা বাগান -সংবাদ

কয়েক বছর আগের কথা। তখন ঢাকায় ছাত্রজীবন কাটাচ্ছিলেন মাসুদুর রহমান মাসুদ। ফলের প্রতি ছিল প্রবল ঝোঁক, বিশেষ করে কমলার প্রতি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে একদিন ঢাকা থেকেই নিয়ে এলেন একটি কমলার চারা। যতেœ লালন করলেন, ফলও ধরল কিন্তু টক! তাতেই থেমে যাননি তিনি। শুরু হলো নতুন এক স্বপ্নের যাত্রা।

খোঁজ পেলেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের নিধিকুন্ডু গ্রামের এক সফল কমলা বাগানের। সেখানে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করলেন ৫০টি চাইনিজ জাতের ছোট কমলার চারা।বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারখান্দি ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে, ১৪ শতক জমিতে রোপণ করলেন নতুন আশার চারা। তারা বলেছিলেন, দুই বছরের মাথায় ফলন পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনটাই হলো। প্রথমে পাঁচটি গাছে ফল এলো, আর তার মধ্যেই দেখা মিলল হলুদ রঙের, রসালো ও মিষ্টি কমলার। উৎসাহ দ্বিগুণ হলো মাসুদুর রহমানের। যতœ-পরিচর্যা আরও বাড়ালেন,কৃষিবিদদের পরামর্শ নিলেন। দ্বিতীয় বছরেই দেখা দিল সফলতা। ১৯টি গাছে পর্যাপ্ত ফলন হলো, বিক্রি করলেন প্রায় ২৬ হাজার টাকার কমলা। পরের বছর সেই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজার টাকায়। এবার আগের গাছ গুলোতে ফলও এসেছে ভালো। এখন তার বাগানে রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫টি গাছ। নিজ হাতে ডাল কলম করে আরও গাছ বাড়িয়েছেন। নতুন গাছগুলোতে আগামী বছর ফল আসবে বলে আশা করছেন তিনি। মাসুদুর রহমান বলেন, ১৪ শতক জমিতে অন্য ফসল করলে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। কিন্তু কমলা চাষে সেখানে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। তাই আমি বাগানটা আরও বড় করছি।” তিনি জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের কাশ্মীর থেকে আপেল ও আঙুরের চারা এনে রোপণ করেছেন। আপেল গাছ এখন বেশ বড় হয়েছে, যদিও আঙুরের গাছ এখনও ছোট। বাগান ঘুরে দেখা যায়, শিবপুরের এই শিক্ষক এখন স্থানীয় কৃষকদের অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু। তার বাগান দেখতে প্রতিদিনই কেউ না কেউ আসেন। বাগান পরিদর্শন শেষে শেরপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন আহমেদ বলেন,তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন কমলা চাষে। এটা আমাদের দেশে বিদেশি ফলের বাগানের এক অনন্য উদাহরণ। এতে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, তিনি নিজ উদ্যোগে এই বাগান করেছেন, কোনো সরকারি প্রণোদনা ছাড়াই। বাগান ও ফলন দুটোই প্রশংসনীয়। তার দেখাদেখি আরও অনেকে বিদেশি ফল চাষে উৎসাহ পাবেন। আমরা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করব। শিবপুর গ্রামের মানুষ এখন গর্ব করে বলেন, তাদের গ্রামেই হয়েছে প্রথম সফল কমলা বাগান। আর এই বাগানের গল্প যেন এক সাধারণ শিক্ষকের অদম্য পরিশ্রম ও সবুজ স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি।

ছবি

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া উদ্বোধনী ম্যাচ বুধবার

ছবি

তিন কোচেরই দল পরখ করে নেয়ার মঞ্চ

ছবি

বাংলাদেশের তিন ম্যাচ কলকাতায় টি-২০ বিশ্বকাপ

ছবি

এনসিএলে তানভিরের ৭ উইকেট আল আমিনের সেঞ্চুরি

ছবি

সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়: আকবর আল

ছবি

৫৪৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বিপদে ভারত

ছবি

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সফল আয়োজনে বাংলাদেশের সক্ষমতার বার্তা

ছবি

ঢাকায় মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল শুরু ২৬ নভেম্বর

ছবি

রোমাঞ্চকর ম্যাচে আবাহনীকে হারালো মোহামেডান

ছবি

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ভারতের

ছবি

ব্রুনাইয়ের জালেও গোল উৎসব লাল-সবুজদের

ছবি

জাতীয় খেলোয়াড়রা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না

ছবি

ইয়ানসেনের তোপে নিজেদের মাঠে ‘ধবলধোলাইয়ের’ শঙ্কায় ভারত

ছবি

সুপার ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা পাকিস্তানের

ছবি

মুশফিকের শততম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

ছবি

এএফসিতে বাংলাদেশের ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ সোমবার

ছবি

টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই তাসকিন, নতুন মুখ মাহিদুল

ছবি

‘১০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটারও এখন স্বপ্ন দেখছে ১০০ টেস্ট খেলার’

ছবি

সেমিতে হেরে ব্রোঞ্জ নিয়েই শেষ বাংলাদেশের

ছবি

গৌহাটি টেস্টে মুথুসামির সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১ম ইনিংসে ৪৮৯

ছবি

সোমবার আবাহনীর সামনে মোহামেডান!

ছবি

গোল করে রোমাঞ্চিত লেভানদোস্কি

ছবি

দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

ছবি

হেডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে দুই দিনে উড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

ছবি

সাকিবকে ছাড়িয়ে চূড়ায় তাইজুল

ছবি

জাতীয় ক্রিকেট লীগে রাজশাহীর ২৬৮ রান

ছবি

বাছাইপর্বে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের

ছবি

মুশফিকের সেঞ্চুরির অপেক্ষা করেনি যে কারণে

ছবি

গৌহাটি টেস্টের প্রথম দিন দ. আফ্রিকার ২৪৭/৬

ছবি

উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো নিউজিল্যান্ড

ছবি

থাইল্যান্ডকে হারিয়ে পদক নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

ছবি

মোস্তাফিজ দল পেলেন আইএল টি-টোয়েন্টিতে

ছবি

দ্বিতীয় টেস্টে ৩৬৭ রানে এগিয়ে চালকের আসনে বাংলাদেশ

ছবি

সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ছবি

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে সাকিবকে স্পর্শ করলেন তাইজুল

ছবি

অ্যাশেজে প্রথম দিনই পড়লো ১৯ উইকেট!

tab

শেরপুরে চায়না কমলার ডালে ঝুলে আছে মাসুদের স্বপ্ন

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

শেরপুর (বগুড়া) : মাসুদুর রহমান মাসুদের কমলা বাগান -সংবাদ

বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

কয়েক বছর আগের কথা। তখন ঢাকায় ছাত্রজীবন কাটাচ্ছিলেন মাসুদুর রহমান মাসুদ। ফলের প্রতি ছিল প্রবল ঝোঁক, বিশেষ করে কমলার প্রতি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে একদিন ঢাকা থেকেই নিয়ে এলেন একটি কমলার চারা। যতেœ লালন করলেন, ফলও ধরল কিন্তু টক! তাতেই থেমে যাননি তিনি। শুরু হলো নতুন এক স্বপ্নের যাত্রা।

খোঁজ পেলেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের নিধিকুন্ডু গ্রামের এক সফল কমলা বাগানের। সেখানে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করলেন ৫০টি চাইনিজ জাতের ছোট কমলার চারা।বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারখান্দি ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে, ১৪ শতক জমিতে রোপণ করলেন নতুন আশার চারা। তারা বলেছিলেন, দুই বছরের মাথায় ফলন পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনটাই হলো। প্রথমে পাঁচটি গাছে ফল এলো, আর তার মধ্যেই দেখা মিলল হলুদ রঙের, রসালো ও মিষ্টি কমলার। উৎসাহ দ্বিগুণ হলো মাসুদুর রহমানের। যতœ-পরিচর্যা আরও বাড়ালেন,কৃষিবিদদের পরামর্শ নিলেন। দ্বিতীয় বছরেই দেখা দিল সফলতা। ১৯টি গাছে পর্যাপ্ত ফলন হলো, বিক্রি করলেন প্রায় ২৬ হাজার টাকার কমলা। পরের বছর সেই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজার টাকায়। এবার আগের গাছ গুলোতে ফলও এসেছে ভালো। এখন তার বাগানে রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫টি গাছ। নিজ হাতে ডাল কলম করে আরও গাছ বাড়িয়েছেন। নতুন গাছগুলোতে আগামী বছর ফল আসবে বলে আশা করছেন তিনি। মাসুদুর রহমান বলেন, ১৪ শতক জমিতে অন্য ফসল করলে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। কিন্তু কমলা চাষে সেখানে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। তাই আমি বাগানটা আরও বড় করছি।” তিনি জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের কাশ্মীর থেকে আপেল ও আঙুরের চারা এনে রোপণ করেছেন। আপেল গাছ এখন বেশ বড় হয়েছে, যদিও আঙুরের গাছ এখনও ছোট। বাগান ঘুরে দেখা যায়, শিবপুরের এই শিক্ষক এখন স্থানীয় কৃষকদের অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু। তার বাগান দেখতে প্রতিদিনই কেউ না কেউ আসেন। বাগান পরিদর্শন শেষে শেরপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন আহমেদ বলেন,তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন কমলা চাষে। এটা আমাদের দেশে বিদেশি ফলের বাগানের এক অনন্য উদাহরণ। এতে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হায়দার বলেন, তিনি নিজ উদ্যোগে এই বাগান করেছেন, কোনো সরকারি প্রণোদনা ছাড়াই। বাগান ও ফলন দুটোই প্রশংসনীয়। তার দেখাদেখি আরও অনেকে বিদেশি ফল চাষে উৎসাহ পাবেন। আমরা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করব। শিবপুর গ্রামের মানুষ এখন গর্ব করে বলেন, তাদের গ্রামেই হয়েছে প্রথম সফল কমলা বাগান। আর এই বাগানের গল্প যেন এক সাধারণ শিক্ষকের অদম্য পরিশ্রম ও সবুজ স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি।

back to top