সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের টিটিতে মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে মো. জাবেদ ও খই খই জুটির অসাধারণ পারফরম্যান্স দেশকে এনে দিয়েছে রুপা। যা বাংলাদেশের টেবিল টেনিসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাই কর্মকর্তারাও আহ্লাদিত। এমন সাফল্য এনে দেয়ায় দুই খেলোয়াড়কে এক লাখ টাকা করে অর্থ পুরস্কার দিচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) বিওএ’র ডাচ-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে টেবিল টেনিস ফেডারেশনের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বলেন, ‘ফেডারেশনের আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দেশের টেবিল টেনিস ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্জনকে সম্মান জানিয়ে এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন- এনএসসি, বিওএ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেও খেলোয়াড়রা যথাযথ সম্মাননা পাবেন।’
দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংকটের মধ্য দিয়ে যাওয়া সিনিয়র খেলোয়াড় জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘এই পদক একদিনে আসেনি। অনেক বছরের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম, চেষ্টা এবং সৌভাগ্যের সমন্বয়ে এসেছে এই ফল।’ তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য মাসিক বেতন বা ন্যূনতম আর্থিক নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। তার কথা, ‘খেলোয়াড়রা যদি পরিবার ও ব্যয় নিয়ে চিন্তিত থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক সাফল্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’ নারী টেবিল টেনিসে নতুন আলো হিসেবে উঠে আসা খই খই মারমা বলেন, গত ইসলামিক গেমসে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমেছিল। এবার তাদের লক্ষ্য ছিল সেই সীমা অতিক্রম করা। কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ পাওয়ার পর জাবেদ আশাবাদ করে বলেছিলেন, ‘চান্স আছে।’ সেই বিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রমেই এসেছে পদক। খই খই’র স্বপ্ন আরও বড় একদিন বাংলাদেশ টেবিল টেনিস অলিম্পিকে খেলবে, হোক তা সিঙ্গেল, ডাবল কিংবা দলীয় ইভেন্টে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের টিটিতে মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে মো. জাবেদ ও খই খই জুটির অসাধারণ পারফরম্যান্স দেশকে এনে দিয়েছে রুপা। যা বাংলাদেশের টেবিল টেনিসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাই কর্মকর্তারাও আহ্লাদিত। এমন সাফল্য এনে দেয়ায় দুই খেলোয়াড়কে এক লাখ টাকা করে অর্থ পুরস্কার দিচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) বিওএ’র ডাচ-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে টেবিল টেনিস ফেডারেশনের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বলেন, ‘ফেডারেশনের আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দেশের টেবিল টেনিস ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্জনকে সম্মান জানিয়ে এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন- এনএসসি, বিওএ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেও খেলোয়াড়রা যথাযথ সম্মাননা পাবেন।’
দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংকটের মধ্য দিয়ে যাওয়া সিনিয়র খেলোয়াড় জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘এই পদক একদিনে আসেনি। অনেক বছরের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম, চেষ্টা এবং সৌভাগ্যের সমন্বয়ে এসেছে এই ফল।’ তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য মাসিক বেতন বা ন্যূনতম আর্থিক নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। তার কথা, ‘খেলোয়াড়রা যদি পরিবার ও ব্যয় নিয়ে চিন্তিত থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক সাফল্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’ নারী টেবিল টেনিসে নতুন আলো হিসেবে উঠে আসা খই খই মারমা বলেন, গত ইসলামিক গেমসে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমেছিল। এবার তাদের লক্ষ্য ছিল সেই সীমা অতিক্রম করা। কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ পাওয়ার পর জাবেদ আশাবাদ করে বলেছিলেন, ‘চান্স আছে।’ সেই বিশ্বাস ও কঠোর পরিশ্রমেই এসেছে পদক। খই খই’র স্বপ্ন আরও বড় একদিন বাংলাদেশ টেবিল টেনিস অলিম্পিকে খেলবে, হোক তা সিঙ্গেল, ডাবল কিংবা দলীয় ইভেন্টে।