সলডিারটি গমেস কুস্ততি ওয়াকওভার: ব্যাখ্যা চয়েছে বওিএ
হার দিয়ে ত্রিদেশীয় প্রীতি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছে মালয়েশিয়ার মেয়েদের কাছে। গতকাল বুধবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিকদের হারের ব্যবধান ১-০ গোলের। যদিও গোল শোধের অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন ঋতুপর্ণারা। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে অক্টোবরে খেলা সর্বশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন ও ডিফেন্ডার নবিরণ খাতুন। সুলতানার সঙ্গে একাদশে জায়গা পান মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার।
২০১২ সালের পর এই প্রথম জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছে মেয়েরা। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৫ মে ফিলিপাইনের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে এই মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল। আর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৯২তম অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১০৪ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলে তিন বছর আগে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে জিতলেও গোলশূন্য ড্র করেছিল দ্বিতীয় ম্যাচ।
আফঈদা খন্দকারদের হারের জন্য মালয়েশিয়ার গোলের চেয়ে বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের কৌশলই বেশি দায়ী। তিনি তার হাই লাইন ডিফেন্স কৌশল চালু রাখেন। হাইলাইন ডিফেন্স করে খেলে গোল করার সুযোগ মিললেও ঋতুপর্ণা-শামসুন্নাহাররা জাল কাঁপাতে পারেননি। ম্যাচের সাত মিনিটে গোছালো আক্রমণে দারুণ সুযোগ তৈরি হয়। লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হওয়া সুলতানার রক্ষণ চেরা পাস ধরে ডান দিক থেকে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়িয়েছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ছুটে গিয়ে লাফিয়ে হেড করতে চেয়েছিলেন মনিকা চাকমা, কিন্তু পাননি বলের নাগাল। একটু পর ঋতুপর্ণার কর্নার থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেডে বল চলে যায় বাইরে।
২৯ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। সতীর্থের লং পাস নুর আইনসাহ বিনতে মুরাদ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সময় তার পাশেই ছিলেন ডিফেন্ডার কোহাতি কিসকু। প্রতিরোধ গড়ার মূল দায়িত্বও ছিল তার, কিন্তু ‘একই সময়ে রুপনা চাকমা পোস্ট ছেড়ে ক্লিয়ার করতে বেরিয়ে আসায় দুজনের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। সে সুযোগে রূপনাকে ডজ দিয়ে বল বের করে নিয়ে বাম পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন নুর (১-০)।
বিরতির পর গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকেন আফঈদা, ঋতুপর্ণারা। বার বার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি সুলতানা, শামসুন্নাহার, ঋতুপর্ণারা। ফলে ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী ২ ডিসেম্বর আজারবাইজানের বিপক্ষে খেলবেন আফঈদারা। তার আগে আগামীকাল লড়বে মালয়েশিয়া ও আজারবাইজান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সলডিারটি গমেস কুস্ততি ওয়াকওভার: ব্যাখ্যা চয়েছে বওিএ
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
হার দিয়ে ত্রিদেশীয় প্রীতি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছে মালয়েশিয়ার মেয়েদের কাছে। গতকাল বুধবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিকদের হারের ব্যবধান ১-০ গোলের। যদিও গোল শোধের অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন ঋতুপর্ণারা। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, (২৭ নভেম্বর ২০২৫) দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে অক্টোবরে খেলা সর্বশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন ও ডিফেন্ডার নবিরণ খাতুন। সুলতানার সঙ্গে একাদশে জায়গা পান মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার।
২০১২ সালের পর এই প্রথম জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছে মেয়েরা। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৫ মে ফিলিপাইনের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে এই মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল। আর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৯২তম অবস্থানে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১০৪ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলে তিন বছর আগে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে জিতলেও গোলশূন্য ড্র করেছিল দ্বিতীয় ম্যাচ।
আফঈদা খন্দকারদের হারের জন্য মালয়েশিয়ার গোলের চেয়ে বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের কৌশলই বেশি দায়ী। তিনি তার হাই লাইন ডিফেন্স কৌশল চালু রাখেন। হাইলাইন ডিফেন্স করে খেলে গোল করার সুযোগ মিললেও ঋতুপর্ণা-শামসুন্নাহাররা জাল কাঁপাতে পারেননি। ম্যাচের সাত মিনিটে গোছালো আক্রমণে দারুণ সুযোগ তৈরি হয়। লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হওয়া সুলতানার রক্ষণ চেরা পাস ধরে ডান দিক থেকে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়িয়েছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ছুটে গিয়ে লাফিয়ে হেড করতে চেয়েছিলেন মনিকা চাকমা, কিন্তু পাননি বলের নাগাল। একটু পর ঋতুপর্ণার কর্নার থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেডে বল চলে যায় বাইরে।
২৯ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। সতীর্থের লং পাস নুর আইনসাহ বিনতে মুরাদ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সময় তার পাশেই ছিলেন ডিফেন্ডার কোহাতি কিসকু। প্রতিরোধ গড়ার মূল দায়িত্বও ছিল তার, কিন্তু ‘একই সময়ে রুপনা চাকমা পোস্ট ছেড়ে ক্লিয়ার করতে বেরিয়ে আসায় দুজনের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। সে সুযোগে রূপনাকে ডজ দিয়ে বল বের করে নিয়ে বাম পায়ের কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন নুর (১-০)।
বিরতির পর গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকেন আফঈদা, ঋতুপর্ণারা। বার বার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি সুলতানা, শামসুন্নাহার, ঋতুপর্ণারা। ফলে ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী ২ ডিসেম্বর আজারবাইজানের বিপক্ষে খেলবেন আফঈদারা। তার আগে আগামীকাল লড়বে মালয়েশিয়া ও আজারবাইজান।