প্রথমবারের মত ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ২৩তম ফিফা বিশ্বকাপ। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর ১৬টি শহরে আয়োজিত হবে বড় পরিসরের এ আসর। গত শনিবার টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ সূিচ ঘোষণা করেছে ফিফা। এর আগের দিন ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপের ড্র।
আগামী বছর ১৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস সিটিতে আলজেরিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
২২ জুন টেক্সাসে অস্ট্রেলিয়া ও ২৭ জুন একই ভেন্যুতে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ জর্ডান।
বিশ্বকাপে নবাগত কেপ ভার্দে ও সৌদি আরবের বিপক্ষে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেন গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচ খেলবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আটালান্টা স্টেডিয়ামে। এরপর উরুগুয়ের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে মেক্সিকো সফরে যাবে।
১৭ জুন ডালাসে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে ইংল্যান্ড। গ্রুপ ‘এল’র বাকি ম্যাচগুলো ইংল্যান্ড খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভেন্যুতে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড ২৩ জুন ঘানা ও ২৭ জুন পানার মুখোমুখি হবে নিউইয়র্ক সিটির বাইরে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। গ্রুপের শীর্ষ দল হতে পারলে ১ জুলাই আটালান্টায় শেষ ৩২’র ম্যাচে অংশ নিবে থমাস টাচেলের দল।
২০১৮ বিজয়ী ও ২০২২ রানার্স-আপ ফ্রান্স গ্রুপে সেনেগালের বিপক্ষে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ও বস্টনে নরওয়ের মুখোমুখি হবে। গ্রুপের বাকি ম্যাচে ফিলাডেলফিয়ায় আন্ত:মহাদেশীয় প্লে-অফ বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।
১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ বিজয়ী ব্রাজিল ১৩ জুন মেটলাইফ স্টেডিয়ামে মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে। ১৯ জুন ফিলাডেলফিয়ায় পরবর্তী ম্যাচে হাইতি ও ২৪ জুন মিয়ামিতে শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মোকাবেলা করবে।
এই প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ চার দল- স্পেন, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডকে এমনভাবে ড্র’তে রাখা হয়েছে যাতে করে সেমিফাইনালের আগে তাদের মুখোমুখি হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
শীর্ষ সারির দলগুলোর সবকটি যদি নিজেদের গ্রুপে প্রথম স্থান লাভ করে তাহলে ইংল্যান্ড পরবর্তী রাউন্ডগুলোতে সম্ভাব্য দল হিসেবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে পাবে। এক্ষেত্রে শেষ ১৬’তে মেক্সিকো সিটি, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ও সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে পারে ইংল্যান্ড।
অন্য দলগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় শেষ ১৬’তে সম্ভাব্য দল হিসেবে ফ্রান্স ও জার্মানি একে অন্যের মুখোমুখি হতে পারে। এছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।