টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ বছর বাংলাদেশ রেকর্ড ১৫ ম্যাচে জয় পেলেও ব্যাটিংয়ে দুর্ভাবনার জায়গা রয়েই গেছে। মিডল অর্ডারে শূন্যতা তো আছেই, টপ অর্ডারেও আছে ঘাটতির জায়গা। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় উইকেটের পতনও হচ্ছে দ্রুত। ব্যাটারদের নিয়ে চলমান বিশেষ ক্যাম্পে এখানে উন্নতিতেই জোর দেয়া হচ্ছে, জানান ওপেনার তানজিদ হাসান।
এ বছর ৭ দফায় ৫০ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। গত জুলাইয়ে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর তিক্ততাও রয়েছে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মূল সমস্যা চিহ্নিত করার পর বিশ্বকাপের আগে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সদ্যসমাপ্ত আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর মিরপুরে চলছে ব্যাটিংয়ের বিশেষ স্কিল ক্যাম্প। টপ অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে চলছে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ অনুশীলন সেশন। সেখানেই টপ অর্ডারদের দীক্ষা দেয়া হচ্ছে, কম ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে রানের প্রবাহ সচল রাখা যায় এবং নিয়মিত বাউন্ডারি বের করা যায়।
তানজিদের জন্য এমনিতে এই বছরটা কেটেছে দারুণ। ২৭ ইনিংসে ৭৭৫ রান করেছে। ছক্কা মেরেছেন ৪১টি। তার রান ও ছক্কা, দুটিই এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড।
সোমবার,(০৮ ডিসেম্বর ২০২৫) সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তানজিদ জানান, সেই তাগিদেই চলছে তাদের অনুশীলন। ‘ম্যাচ পরিস্থিতিতে কোন ফিল্ড সেট আপে কীভাবে গ্যাপ বের করা যায়, এ নিয়েই কাজ হচ্ছিল। আমরা অনেক সময় কম ঝুঁকিতে রান নেয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলি, আর সেখানেই দ্রুত দুই-তিনটি উইকেট পড়ে যায়। এই অনুশীলনের মূল ফোকাস হলো কীভাবে কম ঝুঁকি নিয়ে বাউন্ডারি এবং স্ট্রাইক দুটোই সচল রাখা যায়, যাতে ব্যাটিংটা স্বাভাবিক ছন্দে চলতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েই কাজ হচ্ছে।’
রান করলেও ডট বলের প্রবণতা এখনও অনেকটাই বেশি তানজিদের ব্যাটিংয়ে। অনেক সময়ই এক-দুই রান বের করতে ভুগতে দেখা যায় তাকে। তার অবশ্য দাবি, কিছু বলে রান না পেলেও পরে তা পুষিয়ে দেয়ার সামর্থ্য তার আছে।
‘আমার নিজের ওপরে বিশ্বাস আছে যে, আমি যদি ডট বল খেলে ফেলি, আমি সেটা কভার করতে পারবো। সেটার সঙ্গে আসলে বাউন্ডারি দিয়ে সবসময় পূরণ হয় না। কোনো সময় সিঙ্গেলও খেলতে হয়, ডাবলসও খেলতে হয়। চেষ্টা করবো, জিনিসটা যখন আমি ভালো শুরু করবো, যাতে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এরকম বড় রান করতে পারি।’
‘আইসিসি ইভেন্টে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি, যেটা আমাকে এখনও কষ্ট দেয়। আমি এই জিনিসটা নিয়ে সবসময়ই ভাবি যে, (দ্বিপক্ষীয়) সিরিজগুলোতে যে রকম ধারাবাহিক পারফর্ম করার চেষ্টা করি বা করি, কতটুকু সফল হতে পারছি জানি না। তবে চেষ্টা থাকবে যে আইসিসি ইভেন্টেও যাতে ধারাবাহিকভাবে ভালো করে দলে অবদান রাখতে পারি।’