মেজর লীগ সকারের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা দুবার এমভিপি (মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার) জিতে নিলেন আর্জেন্টাইন মহানায়ক লিওনেল মেসি। এর আগে ১৯৯৭ ও ২০০৩ সালে সেরা হয়েছিলেন ক্যানসাস সিটির সার্বিয়ান মিডফিল্ডার প্রেদ্রাগ রাদোসেভিয়াভিচ, যিনি পরিচিত ছিলেন প্রেকি নামে।
মেজর লীগ সকারের নিয়মিত মৌসুমে এবার ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে ‘গোল্ডেন বুট’ জেতেন মেসি। এছাড়া সহায়তা করেন ১৯ গোলে।
গত মৌসুমে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ৩৬ গোলে অবদান ছিল তার। এখানেও তিনি গড়েছেন অনন্য কীর্তি। একাধিক মৌসুমে অন্তত ৩৬ গোলে অবদান রাখা প্রথম ফুটবলার তিনি।
গত মৌসুমে পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছিল মেসির ইন্টার মায়ামি, যা নিয়মিত মৌসুমের সেরার স্বীকৃতি। তবে ট্রফির মূল লড়াই এমএলএস কাপের প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডেই হেরে যায় তারা। এবার নিয়মিত মৌসুমে মায়ামি হয়েছিল তৃতীয়। কিন্তু প্লে-অফে মেসির একের পর এক জাদুকরী পারফরম্যান্সে প্রথমবার এমএলএস কাপ জয়ের সাফল্যের স্বাদ পায় ক্লাবটি।
গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে প্লে-অফে ১৫ গোলে অবদান রেখে রেকর্ড গড়েন মেসি। তবে এমভিপি হয়েছেন তিনি নিয়মিত মৌসুমের পারফরম্যান্সেই। এক মৌসুমে ১০ ম্যাচে একাধিক গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এমভিপির লড়াইয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে ৮৩.০৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি, ফুটবলারদের ভোট পেয়েছেন ৫৫.১৭ শতাংশ ও ক্লাব ভোট পেয়েছেন ৭৩.০৮ শতাংশ।
ব্যক্তিগত সেরার স্বীকৃতি পেয়ে মেসি যথারীতি বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন দলের অর্জনের জন্যই। ‘দীর্ঘ এক বছর ছিল, এত এত ম্যাচ, অনেক ভ্রমণ তবে ক্লাবের জন্য ঐতিহাসিক এক বছরও এটি, প্রথমবার আমরা এমএলএস কাপ জিতেছি। অসাধারণ এক ক্লাব এটি, এখনও বেশ নতুন। সেই বিবেচনায় আমরা যা অর্জন করেছি, তা দারুণ, খুবই স্পেশাল।’
২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর ক্লাবটি জিতে নেয় লীগস ক্লাবের প্রথম আসরের শিরোপা, এই ক্লাবেরও যা প্রথম ট্রফি। এরপর গত মৌসুমে সাপোর্টার্স শিল্ড ও এবার সবচেয়ে বড় ট্রফি এমএলএস কাপ জিতে নেয় তারা। সবকটিতেই আছে মেসির জাদুর ছোঁয়া।