গত ১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের পর র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ভারতকে হারানোয় ফুটবল দলের জন্য ড্রেসিংরুমে তাৎক্ষণিকভাবে ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেই পুরস্কারের টাকা অবশেষে জামাল ভূঁইয়াদের দিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ।
বুধবার,(১০ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে পরিষদ ভবনে সংস্থার পরিচালক প্রশিক্ষণ লাবণী চাকমার কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ম্যানেজার আমের খান ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
২৩ ফুটবলার ও কোচসহ ৭ অফিসিয়ালকে ৭ লাখ টাকা করে পুরস্কার দিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। এতে মোট পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ ঘোষিত ২ কোটি টাকার চেয়ে ১০ লাখ টাকা বেশি। পুরস্কারের জন্য বাফুফে ক্রীড়া পরিষদকে ৪০ জনের একটি তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে ভারত ম্যাচের স্কোয়াডের ২৩ ফুটবলার ও ৭ জনের নামে চেক তৈরি করে ক্রীড়া পরিষদ। বাদ পড়েছেন মিডিয়া ম্যানেজার, ফিজিও, ডাক্তার ও টিম অ্যাটেন্ডেন্ড।
জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বোনাস নিয়ে বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৪০ জনের তালিকা দেয়া হয়েছিল। ভারত ম্যাচের আগে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন ক্যাম্পে ছিল, তাদের নামও ছিল। কারণ তারা দলের অংশ। আমরা আজ এনএসসিতে ৩০ জনের চেক পেয়েছি। ’ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম বোনাস বন্টন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘যারা ভারত ম্যাচের দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং অবদান রেখেছে তাদেরকেই মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকরা বিবেচনা করেছে।’
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ থেকে বাফুফের মোট আয় হয়েছে ৩ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ম্যাচে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচে ১ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা ও বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে।