image

প্রতিবাদে সরব কাবাডি

রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

গত দেড় বছরে ক্রীড়াঙ্গণের বিভিন্ন ফেডারেশনে নির্বাচিত কমিটি ভেঙে অ্যাডহক কমিটি করা হলেও এতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কর্মীদের পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। এমনকি তাদের কর্মকাণ্ড নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ ও মানববন্ধন করেছিলেন ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরা। গত বুধবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পদ থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করার পর মিছিল হয়েছে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সামনে। এবার সরব হয়েছেন কাবাডির খেলোয়াড় ও সংগঠকরা। বিদায়ী উপদেষ্টা ও ক্রীড়া পরিষদের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কাবাডির অ্যাডহক কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে এসএম নেওয়াজ সোহাগকে আসীন করার পর থেকেই এ আন্দোলন চলছে। ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ও উপদেষ্টা আসিফের বিদায়ের পর এবার তারা সরব হয়েছেন আওয়ামী লীগের দোসর সোহাগকে সরানোর দাবিতে।

বিদায়ী ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন সোহাগ। শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সোহাগের উপস্থিত থাকার ছবি পোস্ট দিয়ে কাবাডি সংগঠক দেলোয়ার হোসেন ফেইসবুকে লিখেন, ‘বিদায়ী ক্রীড় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও ক্রীড়া পরিষদের বিদায়ী নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম গত দেড় বছরে ক্রীড়াঙ্গনকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। টাকার বিনিময়ে বেশিরভাগ ফেডারেশনে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন করে গেছেন তারা। যার অন্যতম প্রমাণ এসএম নেওয়াজ সোহাগ। এ লোকটির বিরুদ্ধে শত শত ছবি, মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। দুদকে নথি গেছে। মানববন্ধনও হয়েছে। এমন কোনো প্রক্রিয়া নেই যা করা হয়নি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ দুইজন লোকের টনক নড়াতে পারিনি।’ তিনি আরও লিখেন, ‘দেড় বছরের বেশি পার হয়ে গেলেও নির্বাচনের কোনো খবর নেই। কারণ যত বেশি দিন কমিটির কার্য্যক্রম থাকবে তত বেশি লুট-পাট করা যাবে। গত ১৭ নভেম্বর নারী বিশ্বকাপ কাবাডি হয়েছিল। যেখানে বাজেট ছিল ১০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ১৪টি দেশ অংশ নেবে এবং স্ট্যান্ডবাই থাকবে আরও দুটি- এই মর্মে ১৬টি দেশের খেলোয়াড়দের বিমানে আসা যাওয়া, থাকা-খাওয়াসহ এ বাজেট করা হয়েছে। অথচ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে মাত্র ১১টি। তাহলে বাজেটের তিন ভাগের এক ভাগ কমে গেলে নারী বিশ্বকাপ কাবাডির খরচা বেঁচে যায় চার কোটি টাকা। সেই অর্থ কোথায়? এছাড়া সোহাগ ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত অ্যাডটাচ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং ডেকোরেশনের মাধ্যমে বিল ভাউচার জালিয়াতি করে কম করে হলে ২০ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে।

সম্প্রতি