image

বিপিএল ও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভালো লাগা থেকেই জড়িয়েছেন এই আসরে: শোয়েব

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের মেন্টর হয়ে আসা পাকিস্তানের সাবেক গতি তারকা পেসারদের শোয়েব বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন। সোমবার,(১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি

জানান বিপিএল ও বাংলাদেশের ক্রিকেট দূর থেকে অনুসরণ করতেন। সেই ভালো লাগা থেকেই জড়িয়েছেন এই দেশের ঘরোয়া এই আসরে। বিপিএলে শোয়েবের কাজ মূলত ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্র্যান্ডিং করা। দলের পেসারদের পরামর্শ দেয়া। সেক্ষেত্রে তাসকিনের মতো পেসারকে পাশেই পাচ্ছেন। তবে বাংলাদেশের অন্য পেসারদের প্রতিও তার আগ্রহ আছে। সুযোগ পেলে নাহিদ রানাদেরও অনুপ্রাণিত করতে চান শোয়েব।

পাকিস্তানি এই কিংবদন্তি পেসারের ইচ্ছা সবসময় বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি থাকা, তবে এদেশের বোলারদের কোচিং করানোর কোনো পরিকল্পনা তার নেই। তার মতে বাংলাদেশ জাতীয় দল যোগ্য কোচের হাতেই আছে, ‘আমার মনে হয়, ফাস্ট বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আপনারা যে সেরা কোচটি পেতে পারতেন, তিনি হলেন শন টেইট, তিনি আছেন। শন টেইট থাকার পর আমার প্রয়োজন নেই- আমি আপনাদের সঙ্গে সৎভাবেই বলছি। আমার মনে হয়, আপনারা তার সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি অসাধারণ একজন মানুষ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- তিনি খুবই সৎ ও খাঁটি মানুষদের একজন।’

‘আর যদি কখনো আমি বাংলাদেশে আসি, আমি মানুষের হৃদয়ের চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই আসতে চাই- আর এ কারণেই আমি বাংলাদেশে আসতে ভালোবাসি। অন্য কোনো দলকে কোচিং দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই। তবে যদি সুযোগ আসে, কারণ বাংলাদেশিদের প্রতি আমার অসম্ভব ভালোবাসা আছে- আপনারা জানেন, মিডিয়ায় আমি সবসময় আপনাদের নিয়ে ভালো কথা বলেছি। আমি সবসময় নিশ্চিত করেছি যেন বাংলাদেশের সমর্থকরা আমার কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভালোবাসাই পায়।’

‘যদি কোনো সুযোগ আসে, তখন আমরা দেখবো- আমি সময় দিতে পারি কিনা। সময়টাই আসলে আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা। তবে আমি মনে করি, আপনাদের জন্য শন টেইটই সেরা পছন্দ এবং আপনাদের তার সঙ্গেই কাজ করা উচিত।’

তাসকিনকে নিয়ে শোয়েবের বিপুল চাওয়া শুরুতেই জানা হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশের গতি তারকা মূলত নাহিদ রানা। তরুণ এই পেসার ঘণ্টার দেড়শো’ কিলোমিটার গতিতে বল করে জন্ম দেন আলোচনার। বাংলাদেশে জন্ম নেয়া সবচেয়ে গতিময় পেসার বলা হয় নাহিদকে।

নাহিদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন শোয়েব, ‘নাহিদ রানার জন্য আমার পরামর্শ হলো- ট্রেনিংয়ের মাত্রা ধরে রাখা, বিশেষ করে মাসল বিষয়ে। ফাস্ট বোলিং মানেই শরীরের ওপর প্রচ- চাপ নেয়া। শরীর তখনই চাপ নিতে পারে, যখন আপনার পেশি থাকে। লিন মাসল, হাই রিপিটিশন ট্রেনিং- এইগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। গতি ধরে রাখতে হবে এবং মানসিকতা রাখতে হবে আকাশচুম্বী। যদি সে এটা করতে পারে এবং বিশ্বাস রাখে, তাহলে সে এই দুনিয়ার সেরাদের একজন হতে পারে। আমার মনে হয়, তারা অনেক দূর যেতে পারবে।’

‘এখন পর্যন্ত আমি এটা তাসকিনের মধ্যে দেখেছি- সে খুব ভালো দেখাচ্ছে, শার্প, ফোকাসড। নাহিদ রানাও তেমনই। যদি সে ভালো ট্রেনিং সেশন চালিয়ে যেতে পারে এবং সঠিকভাবে অনুশীলন করে, তাহলে আমি তাকে অবশ্যই পরামর্শ দেব। যদি কখনো তার সঙ্গে দেখা হয়, আমি তাকে ট্রেনিংয়ের কৌশল আর গোপন দিকগুলো জানিয়ে দেবো। সেগুলো পেলে, আমার বিশ্বাস, সে অনেক দূর এগোবে।’

সম্প্রতি