নতুন সূচিতে প্রথম বিভাগ লীগ!
ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে এখন ভজকট পরিস্থিতি। একের পর এক ক্লাবের মাঠে না আসার পরিপ্রেক্ষিতে লীগ কমিটি (সিসিডিএম) বুধবার ও বৃহস্পতিবার খেলা স্থগিত করেছে। লীগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর পক্ষের ক্লাবগুলোর নিজেদের সিদ্ধান্তে অনমনীয় অবস্থান, ওয়াকওভার দেয়া এবং লীগের বাকি ম্যাচগুলো কী পদ্ধতিতে হবে, সেই বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
গত অক্টোবরের বিসিবি নির্বাচন এবং বর্তমান বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে অবৈধ ঘোষণা করে ঢাকার ৭৬টি ক্লাবের ৪৫টিই সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে আছে। এর মধ্যে প্রথম বিভাগের ক্লাব আছে ৮টি। তাদেরকে রেখেই গত বৃহস্পতিবার লীগের সূচি ঘোষণা করে সিসিডিএম। কিন্তু অনুমিতভাবেই কোনো ক্লাব মাঠে আসেনি।
লীগের নিয়ম অনুযায়ী, সেই আট দল অবনমিত হয়েছে। দলগুলো হলো ‘এ’ গ্রুপের পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব, গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি, আম্বার স্পোর্টিং ক্লাব ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্র; ‘বি’ গ্রুপের খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি, সূর্যতরুণ ক্লাব, কাকরাইল বয়েজ ক্লাব ও ওরিয়েন্ট স্পোর্টিং ক্লাব। একই নিয়ম অনুযায়ী এবার প্রথম বিভাগে কোনো রেলিগেশন লীগ হবে না।
এই অবস্থায় লীগের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিসিবি মঙ্গলবার,(১৬ ডিসেম্বর ২০২৫) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, লীগের বাকি ম্যাচগুলো পরিচালনার জন্য শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং নতুন সূচি বা খেলার পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে। লীগের বাকি ১২টি ক্লাবকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করে সংশোধিত সূচি তৈরি করা হবে।
বিসিবির বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি বারবারই জানিয়ে আসছে লীগ বর্জন করা ক্লাবগুলো। মঙ্গলবার বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচে বিসিবি সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদকে সেটি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কিছু না বলে আঙুল তুললেন ক্লাবগুলোর দিকে।
‘৪৫টি ক্লাব খুবই খারাপ একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ভবিষ্যতের জন্য। এখন আমি সবচেয়ে শঙ্কিত, যে ধারাটা তারা চালু করল, যে কোনো সময় যে কোনো জিনিস নিয়ে আপনি এই খেলা বন্ধ করার একটা সিস্টেম চালু হয়ে যেতে পারে। এটা খুব আমাদের ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো না, একটা অশনি সংকেত আমি মনে করি।’
‘ক্রিকেট বোর্ড নিজের ইগো দেখছে না। আমি বলছি, ক্রিকেট বোর্ড সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে ক্লাবগুলো যাতে খেলতে আসে। ক্লাবগুলো খেলতে আসেনি, ৮টি ক্লাব। এখানে ক্রিকেট বোর্ডের কিচ্ছু করার নাই।’