টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ কলকাতা ও এক ম্যাচ মুম্বাইতে খেলবে বাংলাদেশ। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে লিটন দাসের দলকে যেতে হবে বেঙ্গালুরুতে। সেখানে অফিসিয়াল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তারা। প্রস্তুতি ম্যাচের অফিসিয়াল সূচি এখনও প্রকাশ করেনি আইসিসি। তবে বিসিবি তাদের কাছে আসা সূচি জানিয়ে দিয়েছে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বৃহস্পতিবার, (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, অনুশীলন ম্যাচে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ নামিবিয়া ও আফগানিস্তান। আর খেলা হবে বেঙ্গালুরুতে।
বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে আলাদা কোন প্রস্তুতি ক্যাম্প নেই। এই সময়ে ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকবেন বিপিএলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর শেষের ৫ দিন পর ২৮ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর রওয়ানা হবে টি-টোয়েন্টি দল।
সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে ফাহিম জানান, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা আমরা খুব হিসেব করে সাজাচ্ছি। বিপিএলে যাদের খেলা আগে শেষ হয়ে যাবে, তাদের নিয়ে আগেভাগেই কাজ শুরু হবে। যারা শেষ চারে কোয়ালিফাই করতে পারবে না, কিন্তু জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়-তাদের আগেভাগেই প্রস্তুতির আওতায় আনতে চাই আমরা।’
‘বিপিএল শেষ হলেই দুই-তিন দিনের ছোট একটা ক্যাম্প হবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি দল বেঙ্গালুরুতে যাবে। সেখানে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবো আমরা।’
এবার বিপিএলে সতর্ক নজর রাখবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। টি-টোয়েন্টি দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের সবাইকে ফিট রাখার জন্য উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি, ‘ট্রেইনার পুরো বিপিএল কাভার করবেন। জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড জিপিএসের মাধ্যমে মনিটর করা হবে। কেউ যদি ‘রেড জোনে’ চলে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানানো হবে যেন তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়।’
‘আমাদের ফিজিও ও ট্রেইনাররা নিয়মিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। জাতীয় দলের স্বার্থে পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই এ ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া চলবে।’
৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনেই কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই মাঠে ৯ ফেব্রুয়ারি ইতালি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন লিটনরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে মুম্বাই যাবে বাংলাদেশ দল।